skip to content
Friday, September 20, 2024

skip to content
Homeচতুর্থ স্তম্ভFourth Pillar | আন্দোলন না অরাজকতা? প্রতিবাদ না হুজুগ?
Fourth Pillar

Fourth Pillar | আন্দোলন না অরাজকতা? প্রতিবাদ না হুজুগ?

এই অরাজকতা চলতে থাকলে আর তাতে ইন্ধন দিতে থাকলে আগুন ছড়াবে

Follow Us :

এক পবিত্র রাগে ফুটছে কলকাতা মহানগর, শহরতলি? নাকি এও এক গণ হিস্টিরিয়া? ও প্রতিবাদ করছে, ওরা অনেকে প্রতিবাদ করছে, আমিও যাব মোমবাতি হাতে। বাচিক শিল্পীরা করছে, তাহলে চিত্রনাট্যকারদেরও পথে নামা উচিত। না, এই মুহূর্তেই এই বিচারের কোনও দরকার নেই, এ নিয়ে কাটাছেঁড়া পরেও হতে পারে। এই মুহূর্তে বহুদিনের জমা পুঞ্জীভূত ক্ষোভা ঝরছে, ঝরে পড়ছে। বেশ কিছু প্রতিবাদী ফেসবুক, সমাজমাধ্যমের পোস্টে লেখা, শেষ দেখে ছাড়বো। এটা ভালো, বহু আন্দোলন তো আমরা দেখেছি, শুরু হয়েছে শেষ হয়ে গেছে, আমাদের মনেও নেই সেসব দাবির কথা। কিন্তু আজ যাঁরা এই কথা বলছেন, তাঁদের সিংহভাগ এই শেষ দেখা বলতে এই ধর্ষণ আর খুনের অভিযুক্তকে চরম শাস্তির কথা বলছেন। বহু মানুষ মনে করেন, এর পিছনে বড়সড় ষড়যন্ত্র আছে, তাঁরা সেই পিছনের জড়িত মানুষগুলোকে চিহ্নিত করার কথা বলছেন। জানি না সত্যিই শেষ দেখতে পাবেন কি না, কারণ আমাদের বিচার ব্যবস্থা, আর আমাদের তদন্তকারী সংস্থাদের ট্র্যাক রেকর্ড তো বলছে না যে খুব দ্রুত একটা টাইম বাউন্ড বিচার কেউ পেয়েছে। শেষ দেখে ছাড়ব বলে যাঁরা পথে নেমেছিলেন তাঁদের বেশিরভাগই হাতে মোমবাতি আর প্ল্যাকার্ড নিয়ে হেঁটেছেন, যেখানে লেখা ছিল, নো ওয়ান কিলড জেসিকা। আমরা সেসব জানি। কিন্তু প্রতিবারই আশায় বুক বাঁধে প্রতিবাদীরা, প্রতিবারই ভাবে এবার শেষ দেখে ছাড়ব, তারপরেও এই বলার মধ্যে কোনও অসঙ্গতি আমি অন্তত দেখি না।

কিন্তু এর দুটো সমস্যা আছে। তার প্রথমটা হল এক প্রি ডিটারমাইন্ড পার্সেপশন। আপনি বলছেন বিচার চাই। কিন্তু আপনি যদি মনে মনে বিচার করে ফেলেন, তাহলে আপনার কাম্য বিচার না এলেই তা যে এক ষড়যন্ত্র এটা বলতে আপনি এক মিনিটও ভাববেন না। আপনি তো জানেন যে আরজি করে ভয়ঙ্কর দুর্নীতি চলছিল, আপনি তো জানেনই যে সেই দুর্নীতির ভাগ কালীঘাটেও যেত, আপনি তো জানেনই যে সেই দুর্নীতির মাথায় বসে আছে সন্দীপ ঘোষ। আপনি তো সন্দেহাতীতভাবে জানেন যে এই সন্দীপ অ্যান্ড কোম্পানির কোনও এক বা অনেকটা দুর্নীতির কথা জেনে ফেলেছিল ওই অভয়া, হিন্দি বাংলা ঝাড়পিটের সিনেমায় এরকম বহু আড়ি পেতে জানার দৃশ্য আমাদের চোখের সামনে আছে, তারপর ভিলেন বা ভিলেনের চামচা পিছন থেকে তাকে দেখে ফেলছে। ওইরকমই এক ডাক্তার জেনে ফেলেছে আরজি করের দুর্নীতির ব্যবসা, পেয়ে গেছে ওই লাল ডায়রিটা, এসব আপনি জানেন। এবার সেই ষড়যন্ত্রের জন্যই তাকে মেরে ফেলা হল, অন্য কোথাও। তারপরে তার মৃতদেহ এনে ফেলে রাখা হল সেমিনার রুমে, আপনার এ নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তারপর সাতসকালে সব্বাই এল একসঙ্গে প্রমাণ লোপাট করতে, সেখানে পুলিশও ছিল আমলারাও ছিল, ছাত্রীটির বন্ধুরাও ছিল, সব্বাই মিলে প্রমাণ লোপাট করে চলে গেল এটাও আপনি জানেন, এবং আপনি এক্কেবারে হান্ড্রেড পার্সেন্ট শিওর যে বাকি যেটুকু প্রমাণ ছিল ফিনাইল আর ঝাড়ু দিয়ে সেসব মুছে ফেলেছে কলকাতা পুলিশ, তাই তো কলকাতা পুলিশের কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছে তদন্তের ভার। কিন্তু আহা রে বেচারা সিবিআই কী আর করবে, এমনকী দেহটাও তুতানখামেনের মতো প্রিজার্ভ করা হয়নি।

এসব যখন আপনি জানেন, তাহলে চাইছেনটা কী? ওই যে থ্রি ইডিয়টস-এ আছে, কহেনা কেয়া চাহতে হো? বিচার তো সারা, কে করেছে, কী হয়েছে, কেন হয়েছে, কীভাবে হয়েছে কখন হয়েছে সবটাই যখন জানাই আছে তখন এর বিচার হল একমাত্র ফাঁসি, মানে আপনি ঠিকই করে ফেলেছেন কী হয়েছে, কে দোষী আর কী শাস্তি হবে, তাহলে খামোখা বিচার চাই বিচার চাই বলে রাস্তায় নামার কী আছে? এক সুস্থ নাগরিক সমাজের কাছ থেকে কিছুটা ভদ্র সভ্য প্রতিক্রিয়া আশা করা যায় না? আপনি বলতেই পারেন, বলতেই পারেন যে এই বিচার ইত্যাদি সবটাই ধাপ্পা, সরকার ষড়যন্ত্রের নায়ক, কাজেই আমরা চাইছি আমাদের মতো বিচার, আমরা সব জানি, সব বুঝি। বিচার চাই, পদত্যাগ চাই, এ একট হুজুগ হয়ে উঠেছে। আসলে বিচার চাই-ই না, যা চাই তাই মানতে হবে, না হলেই সেটা অবিচার। জানি এটা একটা কিউমুলেটিভ এফেক্ট, পুঞ্জীভূত ক্ষোভ, কিন্তু খেয়াল করে দেখুন, মাত্র তিন-চার মাস আগে এই রাজ্যের ৪৬-৪৭ শতাংশ মানুষ সমর্থন করেছে এই সরকারকে, এই দলকে, এদের ২৯ জনকে নির্বাচিত করে সংসদে পাঠিয়েছে। তিন বছর আগে এই সরকার এসেছে অনায়াস সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে। একটা অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে, তাতে আরও কিছু মানুষের জড়িত থাকার কথাও উঠেছে, কাজেই তদন্ত হোক, তদন্তের ফলে যা বেরিয়ে আসবে সেটা সামনে আসুক, বিচার হোক, তদন্তের প্রতিটা বিষয় নিয়ে আলোচনা হোক, যাঁরা এক্সপার্ট তাঁরা বলুন। আজ যা হচ্ছে তাকে অরাজকতা বলে, শুনতে খারাপ লাগবে, এটা একটা অরাজকতা। সাধারণ মানুষের রাগ থাকবে, প্রতিবাদ থাকবে, কিন্তু তা হয়ে উঠছে এক রাজনৈতিক খেলা।

আরও পড়ুন: Fourth Pillar | মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পদত্যাগ করলেই দোষী শাস্তি পাবে?

নির্বাচন হয়েছে হেরেছেন বার বার, মানুষের সমর্থন জোটাতে পারছেন না তাই পদত্যাগ করুন মুখ্যমন্ত্রী? উনি পদত্যাগ করবেন আর পাকা আমের মতো টুক করে তুলে আপনি শাঁস খেতে বসে পড়বেন। হয় নাকি? ভারতবর্ষে এরকম ঘটনা এই প্রথম? এটাই সবচেয়ে জঘন্য ঘটনা? ঘটনা ঘটার পরে সরকার পুলিশ চুপ করে বসে ছিল? আমি কোনও রাজ্যের সঙ্গে তুলনা টেনে এই ঘটনাকে ছোট করার বিন্দুমাত্র চেষ্টাও করছি না করা উচিত নয়, কিন্তু তার প্রতিক্রিয়াতে যা হচ্ছে তা ভয়ঙ্কর। আপনি মুখে বলছেন বিচার চাই, কিন্তু মনে মনে বিচার আর শাস্তি দুটোই ঠিক করেই বসে আছেন। কাজেই এরপরে তিন চার পাঁচ মাস বা ছ’ সাত আট বছর পরে যদি অন্য কোনও রায় আসে। আপনি বলবেন বলেছিলাম, সব ধামাচাপা পড়ে গেল। দু’ নম্বর সমস্যাটা আমাদের রাজ্যের রাজনৈতিক দলগুলোর, সারদা চোর নারদা চোর, মুকুল চোর, ববি চোর, শুভেন্দু চোর, তখন শুভেন্দু অধিকারী তো তৃণমূলেই, হাতে টাকা নিচ্ছেন সে ছবিও আছে, কিন্তু রেজাল্ট তৃণমূলের পক্ষে। এইভাবেই এসেছে সারদা, এসেছে শিক্ষা দুর্নীতি, চাকরি দুর্নীতি, কাটমানি, কিন্তু সবকিছু হওয়ার পরেও নির্বাচনের পর নির্বাচন বিজেপি হেরেছে, বাম কংগ্রেসের উঠোনে শূন্যতা। তো এবারে এই ধর্ষণ আর খুন একটা এক্সট্রা পার্লামেন্টারি ওয়ে আউট এনে দাঁড় করিয়েছে, সংসদের বাইরে থেকেই এক সুযোগ সামনে এনে দিয়েছে, দাবি এক দফা এক, পদত্যাগ পদত্যাগ।

তার মানে মানুষের এক প্রিকনসিভড আইডিয়া অফ ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড জাস্টিস, আগে থেকেই ঠিক করে রাখা তদন্ত এবং বিচার, অন্যদিকে রাজনৈতিক দলের কাছে এক সুযোগ, নির্বাচন ছাড়াই ক্ষমতা দখলের সুযোগ, আর এই দুটো সমস্যা জুড়ে গিয়েই এক ঝাঁঝালো ককটেল তৈরি হয়েছে। আপাতত ধর্ষণের খুনের শাস্তির চেয়েও বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের শাস্তি, মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ। ৫৩৭ জন মারা গিয়েছিলেন, তাঁরা ছিলেন আমাদের অন্নদাতা, তাঁরা লড়ছিলেন এক অন্যায় আইনের বিরুদ্ধে। আমাদের রাজপথে কোনও আলোড়ন? নিয়মরক্ষার দু’ চারটে মিছিল বাদ দিলে এ বাংলাতে কোথাও কোনও প্রতিবাদ? এ পর্যন্ত মণিপুরের জাতিদাঙ্গায় ২২১ জন মারা গেছেন, কোনও প্রতিবাদ? ৩৭ জন মহিলার ধর্ষণের মামলা নথিবদ্ধ হয়েছে, রাজপথে মিছিল? কতজনের মিছিল হয়েছে? সেই ধর্ষণের পরে সেই ধর্ষিতা মহিলাদের নগ্ন করে ঘোরানো হয়েছে। সারা দেশে কত প্রতিবাদ হয়েছে? এই বাংলার রাজপথে ক’টা মিছিল হয়েছে? আবার সেদিন হয়নি বলে আজ হবে না, অনেক দূরের বনের আগুন লেগেছে তার উত্তাপ গায়ে না এসে পড়লেও কাছের ঘরের আগুনে গায়ে ছ্যাঁকা তো পড়বেই। বেশ তো, কিন্তু সেই প্রতিবাদটা কী নিয়ে? কারা করবেন? ক’দিন আগেই কেরালার এক বিধায়ক, তিনি আবার অভিনেতাও বটে, তাঁর বিরুদ্ধে এক অভিনেত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ, সেই অভিযোগ সামনে আনলেন কে? অ্যানি রাজা, সিপিআই নেত্রী। সেখানে মিছিল হচ্ছে? সিপিআই এম বা বামেরা দীর্ঘদিন ক্ষমতায় ছিল, ধর্ষণ হয়েছে, মহিলাদের উপর নির্যাতন হয়েছে, মানুষ প্রতিবাদ করেছেন। বিজেপির কথা তো বাদই দিলাম, তাঁরা তো দর্শনগতভাবেই ধর্ষণের সমর্থক। তৃণমূলের জমানাতেও ধর্ষণ আর খুন কম হয়নি। কেবল মাথাতেই ঢুকছে না যে আরজি করের ধর্ষণ আর হত্যাকাণ্ড কোথায় এতটাই ইউনিক, কোন জায়গাতে এতটা আলাদা যে এর জন্য প্রশাসন থেকে সরকার সব্বাইকে সরে যেতে হবে এমন দাবি তোলা যায়।

এ এক ভয়ঙ্কর প্রিসিডেন্স তৈরি হচ্ছে, এই অরাজকতা চলতে থাকলে আর তাতে ইন্ধন দিতে থাকলে আগুন ছড়াবে, সে আগুনে বহু কিছু পুড়বে। চার মাস আগে বিজেপি বাদ দিয়ে বিরোধীরা আওয়াজ দিয়েছিলেন সংবিধান বাঁচাও। কেন? কারণ মোদি-শাহের সরকার সংবিধানের সমস্ত অধিকার, সমস্ত আইনকে কলা দেখিয়ে এক সংখ্যাগরিষ্ঠতার রাজনীতি চায়। তার বিরুদ্ধে রায় দিয়েছেন মানুষ। বিক্ষোভ দেখালেই বুলডোজার চলবে, মানুষ মেনে নেয়নি, অপারেশন লোটাস মেনে নেয়নি, মেনে নেয়নি অগণতান্ত্রিকভাবে সরকার ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা। কিন্তু আজ এক অদ্ভুত অন্যায় আবদার শুনছি আমরা। যে কোনও মূল্যে এক অস্থিরতা তৈরি করাটাই কি লক্ষ্য? মহারাষ্ট্রে একই ঘটনা ঘটল, বিরোধীরা প্রতিবাদে উত্তাল, মানুষ রাজপথে, বনধ ডাকা হল। সঙ্গে সঙ্গে বম্বে হাইকোর্ট জানিয়ে দিল এই বনধ বেআইনি। বাংলায় একই ঘটনা, আদালত জানাল বনধ বেআইনি ঘোষণা করাটা আদালতের কাজ নয়। বনধের দিনে ২৬ জন পুলিশ আহত, ৪ জন গুরুতর আহত, একজনের দৃষ্টিশক্তি চলে গেছে, একজন ধৃত, আদালত জানাল তাকে ছেড়ে দিতে হবে, স্রেফ মিছিল করেছে, আদালতের সম্মতি নিয়ে উত্তরপ্রদেশে তার ঘর ভাঙা হয়েছে। অথচ এখানে স্রেফ ভাঙচুর করার জন্য এক বন্ধ হল, তার উদ্যোক্তাকে রাজ্যের পুলিশ গ্রেফতার করেছে, ফাঁসি দেয়নি, তার বিচার হবে, তার পক্ষে উকিল থাকবে, প্রমাণ আসবে, কিন্তু তার আগে আদালত জানাচ্ছে তাকে ছেড়ে দিতে হবে। কিসের ভিত্তিতে? কোন প্রমাণের ভিত্তিতে? জানা নেই। এটা যুক্তরাষ্ট্র? না মামদোবাজি? দেশের আইনসভার নতুন ভবন উদ্বোধন হচ্ছে, রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদে বসে থাকা রাষ্ট্রপতি সেই অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রণ পর্যন্ত পান না, কৃষক আন্দোলন, ৫০০ জনের বেশি মারা গেছেন, রাষ্ট্রপতির কোনও বয়ান নেই। মণিপুরে মহিলা ধর্ষিতা, নগ্ন করে হাঁটানো হয়েছে, রাষ্ট্রপতি ঘুমিয়ে ছিলেন, আজ আরজি করে তাঁর মনে হয়েছে ‘এনাফ ইজ এনাফ’। ওই সময়গুলোতে, যখন ৩৭ জন মহিলা ধর্ষিতা হলেন তখন আপনি এনাফ মনে করেননি আজ আরজি করের ঘটনাতে আপনি মনে করলেন এনাফ ইজ এনাফ, সেটা আমাদের শুনতে হবে? মানতে হবে? আমাদের বুঝতে হবে যে এগুলো সব এমনি এমনি হচ্ছে?

মুম্বইয়ে বসে থাকা জন আব্রাহাম থেকে আলিয়া ভাট, পরিণীতি চোপড়া তাঁদের প্রতিবাদ জানাচ্ছেন আরজি কর ধর্ষণ আর হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে যাঁরা মণিপুরের বিষয়ে, হাথরস, কাঠুয়া, উন্নাওয়ের বিষয়ে একটা শব্দও খরচ করেননি। আমরা শুনিনি অরিজিৎ সিং বা শ্রেয়া ঘোষালের গান বা তাঁদের প্রতিবাদ মণিপুরে কার্গিল যুদ্ধের সৈনিকের স্ত্রীকে ধর্ষণ করে নগ্ন প্যারেড করানোর বিরুদ্ধে। এগুলো সবই কি এমনিই হয়েছে? না করানো হচ্ছে? একশোবার এই ঘটনার প্রতিবাদ করব, দাবি করব তদন্তের, এখনও পর্যন্ত তদন্ত থেকে বেরিয়ে আসা একটা তথ্যও প্রমাণ করে না যে এই ঘটনা রাজ্য প্রশাসনের মদতে এক বিরাট ষড়যন্ত্রের অংশ। এখনও পর্যন্ত যা জানা গেছে তাতে খুব পরিষ্কার যে আরজি কর প্রশাসনের গাফিলতি ছিল, সুরক্ষা ব্যবস্থার গাফিলতি ছিল, ঘটনা ঘটার পরে প্রশাসনের তরফে কিছু টেকনিক্যাল মিসটেক হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তদন্তের কোথাও কোনও সূত্র এমনটা বলছে না যে এই হত্যা-ধর্ষণ এক বিরাট পরিকল্পনার অঙ্গ। এবং সবচেয়ে বড় কথা হল দেখুন আমরা এই পাত্রাধারে তৈল না তৈলাধারে পাত্র তর্ক করতে করতে কতটা ডিভিয়েট করেছি, মূল বিষয় থেকে কতটা সরেছি? সেই ১৩ তারিখে এই তদন্তের দায়িত্ব নিয়েছে সিবিআই, তদন্ত চলছে সুপ্রিম কোর্টের দেখরেখে। আজ ৩ সেপ্টেম্বর, ২৪ দিন পার হয়ে গেল, আমরা যে তিমিরে সেই তিমিরে, কেবল গ্যালারি গরমের খেলা চলছে। এ এক ভয়ঙ্কর প্রবণতা, এর পিছনে অবশ্যই মোদি-শাহ সরকারের এক বিরাট খেলা আছে যা না বুঝেই বহু মানুষ এই খেলায় নেমেছেন। এই খেলা শুরু হয়েছে, এই খেলার প্রথম শর্ত হল লাশ, দ্বিতীয় শর্ত লাশ, তৃতীয় শর্ত লাশ। যে কোনও মূল্যে একটা মিছিল, একটা সমাবেশ, একটা জমায়েতের থেকে ফুলকি বের হবে লাশ পড়বে, সেই লাশের তল্লাশে শকুনেরা ঘুরছে। ন্যূনতম বুদ্ধি যাদের আছে তাদের আজ এক জায়গাতে আসতেই হবে, এই ঘটনার প্রতিবাদ করুন, তদন্ত চান, রাজ্য সরকারের দুর্নীতি আর তাদের গাফিলতির বিরুদ্ধে আন্দোলন হোক কিন্তু এই নৈরাজ্য আমাদের এক খাদের কিনারায় এনে দাঁড় করিয়েছে, সাধু সাবধান।

RELATED ARTICLES

Most Popular

Video thumbnail
Sandip-Abhijit | CBI | সন্দীপ-অভিজিতের নারকো টেস্ট? বিচারকের প্রশ্নের মুখে সিবিআই
00:00
Video thumbnail
Anubrata Mondal House Exclusive | জামিনের খবরের পর অনুব্রতর বাড়িতে কী অবস্থা? দেখুন EXCLUSIVE ভিডিও
00:00
Video thumbnail
Anubrata Mondal | BJP | অনুব্রতর জামিন, বিস্ফোরক বিজেপির জেলা সভাপতি
00:00
Video thumbnail
Chandranath Sinha | Anubrata Mondal | অনুব্রতর জামিন, কী বললেন কারামন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা?
00:00
Video thumbnail
Kajal Sheikh | Anubrata Mondal | অনুব্রতর জামিন, কী বললেন কাজল শেখ?
00:00
Video thumbnail
Jadavpur University | ঠিক মত ক্লাস হচ্ছে না, অনশন চলছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে
00:00
Video thumbnail
বাংলা বলছে | ঠান্ডা মাথায় থ্রেট কালচারটা কী বিষয়? বলে ফেল ঢোক গিললেন তৃণমূলের প্রদীপ্ত মুখোপাধ্যায়
00:40
Video thumbnail
Sealdah Court | 'সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডলের বিরুদ্ধে প্রমাণ পেয়েছেন?'
04:50
Video thumbnail
বাংলা বলছে | Pradipta Mukherjee | কলতানের জামিন, কী বললেন তৃণমূল নেতা প্রদীপ্ত মুখোপাধ্যায়
02:09
Video thumbnail
Anubrata Mandol | দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে জামিন অনুব্রতর
08:40