skip to content
Saturday, September 7, 2024

skip to content
Homeচতুর্থ স্তম্ভFourth Pillar | এখনই নির্বাচন হলে জিতবে কিন্তু সেই তৃণমূল
Fourth Pillar

Fourth Pillar | এখনই নির্বাচন হলে জিতবে কিন্তু সেই তৃণমূল

আন্দোলন থেকে সরাসরি ফায়দা তোলার মতো রাজনৈতিক দল নেই

Follow Us :

যেদিন এই আরজি করের ঘটনা ঘটেছে, ঠিক সেদিন পর্যন্ত ইন্ডিয়া টুডে একটা সার্ভে চালিয়েছিল, মুড অফ দ্য নেশন। তাতে দেশজুড়ে মোদিজির গ্রাফ নামার কথাই বলা হয়েছিল, পশ্চিমবঙ্গের হিসেবে দেখানো হয়েছিল যে তৃণমূল ২৯ থেকে বেড়ে ৩২ হবে, কংগ্রেস এক থেকে বেড়ে ২ আর বিজেপি আপাতত ১২ থেকে কমে ৮ হবে। মানে তৃণমূলের কাছে হারাবে আরও তিনটে আসন আর কংগ্রেসের কাছে একটা। ওনারা ডিটেল হিসেব দেননি তবুও আন্দাজ করা যায়, মালদহের আর একটা আসন হয়তো কংগ্রেস জিতে গেলেও যেতে পারে, এমনটাই হিসেবে এসেছিল। ভোট শতাংশে ৩৯ শতাংশ ভোট থেকে বিজেপি কমে ৩৮ শতাংশ আর কংগ্রেস বাম তৃণমূলের মিলিত ভোট ৫৭ থেকে ৫৮ শতাংশ হয়ে যাবে বলে জানানো হয়েছিল ওই সমীক্ষায়। কিন্তু সেসব তো ছিল এই আরজি কর ঘটনার আগের হিসেব, এখনও কি সেই হিসেব থাকবে? নাকি বদলাবে? সামান্য বদলাবে? নাকি অনেকটাই বদলাবে? আসুন সেটা নিয়ে একটু কথা বলা যাক। দুটো দিক দিয়ে বিষয়টা বোঝার চেষ্টা করছি। প্রথমটা হল এক আন্দোলন তার সামাজিক প্রভাব শেষমেশ কতটা গভীর? কতটা তার ব্যাপ্তি? এই যে আন্দোলন তা কি সত্যিই এই ধর্ষণ, মহিলাদের উপর অত্যাচার, জেন্ডার ইকুয়ালিটি, লিঙ্গসাম্য নিয়ে কোনও দিশা দেখাতে পারল? সেই দিকে কি নতুন কোনও আলোচনা শুরু হল? যা ছড়িয়ে পড়বে? আর অন্যটা হল যে কোনও জনবিক্ষোভ, যে কোনও আন্দোলনের একটা জায়গাতে এসে তো আমাদের হিসেব করতেই হয় যে ইন টার্মস অফ ইলেকটোরাল পলিটিক্স, নির্বাচনী রাজনীতির ক্ষেত্রে এই ঘটনা, এই আন্দোলনের প্রভাব কী? প্রভাব কতখানি। তো আসুন প্রথমে এই আন্দোলনের সামাজিক প্রভাব নিয়ে ক’টা কথা বলে নিই।

এই আন্দোলনের কেবল সূত্রপাতই নয়, এই আন্দোলনের ফর্ম থেকে শুরু করে কনটেন্ট, সবটাই মূলত নাগরিক, ভীষণভাবেই শহর বড়জোর শহরতলির ব্যাপার। কেন? ধরুন রাতদখল। শহরে এসে মহিলাদের কাছে রাত এক অন্য মানে নিয়ে হাজির হয়েছে, সেখানে রাত এক অজানা আতঙ্কে ভোগে। অন্যদিকে শ্রমজীবী প্রান্তিক মানুষের কাছে সারা দিনের অক্লান্ত পরিশ্রমের পর রাতের বিশ্রাম শেষ করেই ভোরবেলায় পেটের তাগিদে নামা রাতদখল হয়ে যায়নি, তাঁদের কাজেই নতুন করে পুনর্দখলের ডাক তাদের কাছে খুব উদ্ভট শোনায়। দ্বিতীয় হল লিঙ্গসাম্যের বিষয়, সেখানে আবার উল্টোটা, এ সম্বন্ধে ন্যূনতম ধারণা এখনও নেই, গাঁ-গেরামে মহিলারা লিঙ্গসাম্য তো দূরে থাক, পুরুষ শাসনের বিরুদ্ধে সরব হওয়ার জন্য যেটুকু ভয় কাটিয়ে কথা বলতে হয়, তাও তারা জোগাড় করে উঠতে পারেননি। হ্যাঁ, সুরক্ষার প্রশ্ন তাদেরও আছে, কিন্তু তা হল একেবারেই মহিলাদের ইজ্জত মহিলাদের শুচিতা সংক্রান্ত ধারণা। সেরকম একটা অবস্থায় এই রাতদখলের আন্দোলন, তাতে পরিচিত মুখেদের পার্টিসিপেশন, সেসব খবরের রিল তৈরি হওয়া, টিভি বা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ার ফলে কোথাও একটু হলেও তো এই সামাজিক আন্দোলনের পরিধিটা বাড়ল। কোথাও ওই মহিলারা কথাগুলো শুনে একবার তো ভাববেন, কথাগুলোর মানে কী? আচ্ছা এরকমও বলা যায়? অবাক হয়েই ভাববেন। আমি আমার ঘরের লোকটাকে না বলব, সে শুনবে? হ্যাঁ বৃত্তের বাইরে এই খবর পৌঁছল। রাতদখল বলুন মহিলা নির্যাতন বলুন, নারী সুরক্ষার কথা বলুন কোথাও একটা চর্চা ছড়িয়ে পড়ল, তার একটা সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়বে বইকী। নারীকে আপন ভাগ্য জয় করিবার কেন নাহি দিবে অধিকার, হে বিধাতা? এই প্রশ্ন যে বৃত্তে আটকে ছিল সেই বৃত্তটা এই আন্দোলনের ফলে আরও বেড়ে গেল, এটা তো ঘটনাই।

এবারে আসুন এই ধর্ষণ আর মৃত্যুকে ঘিরে যে প্রতিবাদ, আন্দোলন মিছিল মিটিং রাজনৈতিক অরাজনৈতিক কাণ্ডকারখানা চলছে, আরও কিছুদিন চলবে, তার প্রভাব আমাদের ইলেকটোরাল পলিটিক্স-এ কী হতে পারে? আন্দোলনের এক অংশ নিজেদেরকে দলহীন অরাজনৈতিক হিসেবে ঘোষণা করেছে। ধরুন ডাক্তারদের আন্দোলন। আমরা দেখেছিল দিলীপ ঘোষকে চিৎকার করে বের করে দিতে, মাঝরাতে হাজির হয়েছিলেন সেই তমলুকের সাংসদ অভিজিৎ গাঙ্গুলি আর আগে সিপিএম, পরে তৃণমূল এখন বিজেপির রুদ্রনীল ঘোষ, ডাক্তার-ছাত্ররা রীতিমতো স্লোগান তুলে তাঁদের ঘরে পাঠিয়েছেন। অধীর চৌধুরী খানিক ফুটেজ খেতে গিয়েছিলেন, কিন্তু ফল আমরা দেখেছি, সাফ জানিয়ে দিয়েছেন ওই ছাত্ররা, যে আজ্ঞে আসুন। হ্যাঁ ওরা কাউকেই অ্যালাও করেনি। কাজেই ওই জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন থেকে সরাসরি ফায়দা তোলার মতো রাজনৈতিক দল নেই। আন্দোলন থেকে সরাসরি ফায়দা তোলার মতো রাজনৈতিক দল নেই। এরপরে আমরা তিলোত্তমা, তাদের অন্যতম উদ্যোক্তা সুদীপ্তা চক্রবর্তী মাত্র গতকালই বিভিন্ন চ্যানেলে এসে জানিয়েছেন যে দাবি এক দফা এক মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ স্লোগানটা তিনি নিজেই বদলে দাবি এক দফা এক সব দোষীরা শাস্তি পাক করেছেন, এই নতুন কয়েনেজ তাঁর। মানে এখানেও দেখছি যে ওঁরা এক দলহীন আন্দোলনের কথা বলছেন। তার মানে হল এই যে রোজ বিরাট মিছিল বা মিটিং হচ্ছে তা অন্তত মুখে দলহীন, তাঁদের মঞ্চে সরাসরি দলের আন্দোলনের নেমন্তন্ন নিয়েও কেউ হাজির হয়নি। এবং উল্লেখযোগ্যভাবে এই বিরাট কোট আনকোট অরাজনৈতিক আন্দোলনের উদ্যোক্তারা বিজেপি সম্পর্কে ভয়ঙ্কর ক্রিটিক্যাল, ভীষণ।

আরও পড়ুন: Fourth Pillar | আন্দোলন না অরাজকতা? প্রতিবাদ না হুজুগ?

গতকাল সুদীপ্তা বললেন যে আমরা তপ্ত কড়াই থেকে জ্বলন্ত আগুনে ঝাঁপ দিতে চাই না। মানে বিজেপি সম্পর্কে তাঁর, তাঁদের মনোভাব পরিষ্কার। এবারে আসুন এই আন্দোলনে বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেসের ভূমিকা ঠিক কী? কংগ্রেসের কুষ্ঠিতে রয়েছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, কাজেই আন্দোলনে থাকবে না তা তো হয় না। তাদের এক গোষ্ঠী আজ মিছিল বার করেছিল। তাদের স্লোগান, সেটিং ছেড়ে বিচার দাও নইলে সিবিআই ফিরে যাও। মানে খুব সোজা, বল এখন সিবিআই-এর কোর্টে তাদের বিচার করতে হবে, মিছিলে ছিলেন প্রদীপ ভট্টাচার্য, আবদুল মান্নান ইত্যাদিরা। অন্যদিকে হারের দগদগে ঘা নিয়ে অধীর চৌধুরির বিশ্বাস, সিবিআই বিচার দেবে, জাতীয় স্তরে মণিপুর থেকে হাথরসে দেয়নি তো কী আছে, বাংলাতে দেবে। আর কংগ্রেসের রাজনৈতিক স্ট্যান্ড তো শেষমেশ বাংলার নয় মালদহ আর মুর্শিদাবাদের, এখনও এই জনকলরোল সেখানে সেভাবে পৌঁছয়নি। হ্যাঁ, বামেরা মাঠে, তাঁরা সুযোগ তো পেয়েছেন কিন্তু সেই লড়াই কোথায়? কেমন যেন মেপে মেপে পা ফেলছেন, ছকভাঙা আন্দোলন নয়, বরং ওনাদের আস্থা আর ভরসা সিভিল সোসাইটির যে আন্দোলন গড়ে উঠছে তার উপর, তাঁরা জল মাপছেন। আর চরম বিভ্রান্তিতে বিজেপির নেতারা। প্রথমত বিজেপিতে মহিলা নির্যাতন নিয়ে কথা বলবে কে? রুদ্রনীল ঘোষ না দিলীপ ঘোষ? না অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়? শুভেন্দু বিষয়টাকে স্বতঃস্ফূর্ততার উপর ছেড়ে নবান্ন দখলের কথা ভাবছিলেন বাংলাদেশের কায়দায়, আটারলি ফেল করেছেন, ডাহা গাড্ডা। না মানুষ ওই নবান্ন অভিযানে সাড়া দিয়েছেন, না মানুষ বনধে শামিল হয়েছেন। লাগাতার ধরনাতে বসেছেন সুকান্ত মজুমদার কিন্তু তার কোনও ছবিছাবাও ছাপছে না সংবাদমাধ্যম, এতটাই জৌলুসহীন সেই সভা।

আর বিজেপির কাঁধে নারী নির্যাতনের এত বিশাল দায় আছে যে কথা উঠলেই হাথরস, উন্নাও, কাঠুয়া, বাবা রাম রহিম থেকে আশারাম বাপুর পরে মণিপুর এসে যাচ্ছে, সব মিলিয়ে এই আন্দোলনে বিজেপি কোথায়? মাইক্রোস্কোপিক প্রেসেন্সও নেই। এবং তৃণমূল, ফ্রিজ মোডে চলে গেছে, পার্সেপশন ব্যাটল, ধারণা তৈরির লড়াইয়ে কিছু কাজ চলছে। হ্যাঁ, ভুল হয়েছে গোছের কিছু কথাবার্তার সঙ্গে সঙ্গে অপরাজিতা বিল, ধর্ষণের শাস্তি ফাঁসি, তাড়াতাড়ি বিচার ইত্যাদির দাবি আর তার সঙ্গে চুপ করে বসে থাকা, সময় কত ব্যথাই তো সারিয়ে দেয় এই থিওরি মেনে দু’পা পিছিয়ে সময় বুঝে এক পা আগে নিয়ে যাওয়ার স্ট্রাটেজি নিয়েছে তারা। তবে এটা দৃশ্যতই দলকে ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছে তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। অনেকের হঠাৎ করে বাম জমানার শেষের দিকে সিঙ্গুর নন্দীগ্রাম আন্দোলন ইত্যাদির কথা মনে পড়ছে, অনেকের মনে পড়ছে খাদ্য আন্দোলনের কথা, শিক্ষকদের আন্দোলনের কথা, ট্রামভাড়া বৃদ্ধির বিরুদ্ধে আন্দোলনের কথা, মিছিলনগরী হয়ে ওঠার সেই দিনগুলোর কথা। কিন্তু একটা বেসিক ফারাক হলো সেসব আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিল একটা আগুনুখেকো রাজনৈতিক দল। ৬০, ৭০-এর দশকে ছিল কমিউনিস্ট পার্টি। সিঙ্গুর নন্দীগ্রামের সময়ে ছিল তৃণমূল দল, তাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিল সিভিল সোসাইটির মানুষজন, বুদ্ধিজীবীরা। ষাটের দশকে কমিউনিস্ট পার্টির আন্দোলনের পাশে বাম বুদ্ধিজীবীরা, ইন ফ্যাক্ট বুদ্ধিজীবী বললেই তখন বাম বুদ্ধিজীবীই বোঝাত। কিন্তু আজ? পুরোটাই ধাঁধা। সবথেকে বড় মিছিল সমাবেশ যে যে গ্রুপ, গোষ্ঠী বা এখনই গড়ে ওঠা সংগঠন থেকে হচ্ছে তাদের সবক’টাই প্রবলভাবে বিজেপি বিরোধী, সামাজিকভাবে প্রগতিশীল অংশের কিন্তু সরাসরি বাম রাজনৈতিক দলের পাশেও দাঁড়াতে নারাজ। বিজেপির বুদ্ধিজীবী হলেন নারী নির্যাতনের দায়ে অভিযুক্ত রুদ্রনীল ঘোষ এবং পাপিয়া অধিকারী। যার ফলে ইলেকটোরাল পলিটিক্স-এ সরাসরি এর কোনও প্রভাব পড়বে না।

সরাসরি না-ই বা পড়ল, এত মানুষ বের হলেন ঘর থেকে, প্রতিবাদ তো শেষমেশ জানাচ্ছেন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে, পুলিশের বিরুদ্ধে, তাদেরও তো ভোট আছে, হ্যাঁ আছে। কিছুদিন আগেও যাঁরা বামেদের ভোট দিতেন, যাঁরা বসে গিয়েছিলেন, উপায় না দেখে বিজেপির পদ্মতে ছাপ দিয়েছিলেন, তাঁরা বা তাঁদের এক অংশ বামমুখো হচ্ছেন, নির্বাচনে তার প্রভাব পড়বে, শহর শহরতলিতে বামেদের কিছু ভোট বাড়বে। বিজেপির ইলেকটোরাল গেইন? না, সেরকম কোনও ইঙ্গিত জমিতে নেই, উল্টোদিকে তৃণমূলের মধ্যে একটা কোর্স কারেকশন তাদেরকে আরও সুসংহত করে তোলার দিকে নিয়ে যাচ্ছে। সব মিলিয়ে নির্বাচনী অঙ্কে খুব বিরাট কোনও পরিবর্তন হওয়ার কোনও চান্স নেই এমনকী এই মুহূর্তে নির্বাচন হলেও নয়। এবং যখন এই কথাগুলো বলছি তখন মাথায় রাখুন এর মধ্যে বিজেপির এই জোট সরকার নড়বড় করছে। এত দুর্বল সরকার অটলবিহারীরও ছিল না, ইতিমধ্যেই ওয়াকফ বিল সমেত ৫৫টা বিল পেশ করে থমকে গেছে মোদি সরকার। মাথায় রাখুন আর ক’দিন পরেই চার রাজ্যের নির্বাচন, আপারেশন কমল চালিয়ে ঝাড়খণ্ডে তবু লড়াইয়ের মতো জায়গাতে এসেছে বিজেপি। কাশ্মীর, হরিয়ানা বা মহারাষ্ট্রে হার ঠেকাতে পারবে না কেউ, কাজেই সেই জাতীয় রাজনীতির চাপ এখানেও পড়বে। বিজেপি আজ যেখানে দাঁড়িয়ে আছে তার চেয়ে অনেকটাই কমবে। আজ বলছি লিখে নিন, ২০২৬-এর নির্বাচনে বিজেপির পক্ষে ৫০ পার করাটাও অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে। তবে এটা ঠিক যে এই আন্দোলন সামাজিক ক্ষেত্রে মনে রাখার মতো এক আন্দোলন হয়ে থাকবে, তৃণমূলের হাজার দুর্বলতার পরেও অপরাজিতা বিল সত্যিই ইতিহাস হয়ে থাকবে কিন্তু সবচেয়ে যেটা বেশি উল্লেখযোগ্য সেটা হল জেন্ডার ইকুয়ালিটি নিয়ে চর্চার পরিসর বেড়ে গেল, মহিলাদের উপর নির্যাতন নিয়ে কথা বলার সাহস বেড়ে গেল। আগামী দিনে ফাঁসি নয় একজন নির্যাতনকারীর চোখের সামনেই ভাসবে এই উত্তাল শহর, এই রাজপথে অসংখ্য মানুষের দৃপ্ত পদচারণা। হ্যাঁ, আন্দোলন, বিক্ষোভ সমাবেশ, তাতে মানুষের যোগদানের ফলে পালাবদল তখনই সম্ভব যখন সেটার নেতৃত্বে থাকবে এক রাজনৈতিক দল, পাশে থাকবে সিভিল সোসাইটি। এখানে ঘটেছে ঠিক উল্টোটা, ঠিক উল্টোটাও নয়, সিভিল সোসাইটির নামে যে আন্দোলন হচ্ছে তার উদ্যোক্তারা কোনওভাবেই নিজেদেরকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে একমঞ্চেও দেখতে রাজি নন। কাজেই এই আন্দোলন ইলেক্টোরাল পলিটিক্স-এ কোনও বিরাট প্রভাব ফেলবে না, পালাবদল ইত্যাদি তো দূরের কথা।

RELATED ARTICLES

Most Popular

Video thumbnail
Vinesh Phogat | Bajrang Punia | হরিয়ানা নির্বাচনের আগে কংগ্রেসে বিনেশ-পুনিয়া দেখুন সরাসরি
01:00:56
Video thumbnail
Sandip Ghosh | Supreme Court | সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা, সন্দীপ ঘোষের আবেদনে সাড়া দিল না শীর্ষ আদালত
03:15:11
Video thumbnail
CBI | RG Kar | একদিকে বয়ান অন্যদিকে DNA টেস্টের রিপোর্ট, অন্ধকারে CBI গোয়েন্দারা!
01:14:01
Video thumbnail
CBI | RG Kar | পরস্পর বিরোধী বয়ানে বাড়ছে বিভ্রান্তি, সিবিআই তদন্ত কোন পথে?
01:17:31
Video thumbnail
Sanjay Ray | RG Kar | সঞ্জয়ের বয়ানে বিভ্রান্তি বাড়ছে, ধন্দে সিবিআই!
01:51:05
Video thumbnail
Manoj Pant | রাজভবনে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, কী বিষয়ে আলোচনা?
01:18:05
Video thumbnail
Kunal Roy | ED | হুগলির কুণাল রায়ের বাড়িতে ইডির হানা, সন্দীপের সঙ্গে কোন যোগ
03:57:36
Video thumbnail
RG Kar | CPIM | আরজি কর-কাণ্ডে, CBI-এর ভূমিকা নিয়ে জনমত জানতে, সিপিএমের নয়া উদ্যোগ
02:00:21
Video thumbnail
RG Kar | Viral News | রাত ২.০৩, মৃতার ফোন থেকে কার কাছে হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ? দেখুন ভিডিও
03:31:54
Video thumbnail
Madhya Pradesh | আরজি কর কাণ্ডের মধ্যে মধ্যপ্রদেশে হাড়হিম করা ঘটনা, প্রভাব ফেলবে নাগরিক সমাজে?
07:09:00