Friday, May 23, 2025
Homeচতুর্থ স্তম্ভFourth Pillar | আরজি কর নিয়ে প্রতিবাদ আন্দোলন শেষ? নাকি চলবে?
Fourth Pillar

Fourth Pillar | আরজি কর নিয়ে প্রতিবাদ আন্দোলন শেষ? নাকি চলবে?

মমতা জানতেন এসব দাবি মেনে নেওয়াতে কিচ্ছু যায় আসে না

Follow Us :

এক জঘন্য ধর্ষণ, এক নৃশংস হত্যাকাণ্ড নাড়িয়ে দিয়ে গেল নাগরিক সমাজকে। নিরবচ্ছিন্ন আন্দোলনের রেশ এখনও আছে, পুজোর আবহে তা এক্কেবারে শেষ তা বলা যায় না। হ্যাঁ, এটা ঠিক যে এই আন্দোলন ভীষণভাবেই নাগরিক আন্দোলন ছিল, আন্দোলন ছড়িয়েছিল শহর শহরতলিতে। কারও কারও সরকার বিরোধিতা, আরও ভালো করে বলা উচিত ১০০ শতাংশ শুদ্ধ মমতা বিরোধিতার চশমাতে এই আন্দোলন ৪২-এর ভারত ছাড়ো আন্দোলনের মতোও মনে হয়েছে। হতাশা তো গভীর মানসিক রোগও বটে, আর মানসিক রোগে অমন কল্পনার গরুকে গাছে তুলেই গল্প লেখা হয়। কাজেই কারও কারও অমনটা মনে হলেও এই আন্দোলন মূলত এক নাগরিক আন্দোলন এবং তাকে অরাজনৈতিক রাখতে গিয়েই তার ধার ভার ক্রমশ ক্ষয়েছে। কিন্তু ওই যে, যে নদী মরুপথে হারাল ধারা, জানি হে জানি তাও হয়নি হারা। কোথাও তো প্রভাব থেকেই যায়, সফল আর দশটা আন্দোলনের মতোই অসফল আন্দোলনেরও কিছু প্রভাব থাকে, কিছু শিক্ষা থাকে। বিরাট এক সময় ধরে চলতে থাকা ফরাসি বিপ্লবের পরে সেই অর্থে তো সফলতা আসেনি, নেপোলিয়ন এসেছিলেন। আরবের সেই বিশাল পিঙ্ক রেভোলিউশনের পরে ক্ষমতায় এসেছে মুসলিম ব্রাদারহুড, মহিলারা গেছেন বোরখার তলায়, গণতন্ত্র ঝাঁপ দিয়েছে নীল সাহারায়। কিন্তু ওই ফরাসি বিপ্লব শিখিয়েছিল, রাষ্ট্র পরিবর্তনের জন্য একটা রাজনৈতিক দল আর আদর্শের থাকাটা ভারি জরুরি। ওই আরবের পিঙ্ক রেভোলিউশন শিখিয়েছে যে পরিবর্তন মানেই তা প্রগতিশীল তাও নয়, মাঝেমধ্যেই ইতিহাস পিছনে হাঁটে। কেবল উই ওয়ান্ট জাস্টিস বললেই সেই জাস্টিস আকাশ থেকে ঝরে পড়ে না, কারণ যাঁরা জাস্টিস চাইছেন তাঁরা জানেন, সেই ন্যায় যাদের কাছে চাওয়া হচ্ছে তারা হয় এই জরদগব ব্যবস্থা, না হলে বিজেপির সরকার, নাহলে মমতার সরকার। এরমধ্যে কার কাছে জাস্টিস চেয়ে কতটা জাস্টিস পাওয়া যাবে বলে মনে করেন আমাদের সুশীল সমাজ, সে প্রশ্ন করলেই ‘থ্রম্বোশিস’, থম মাইরা বইস্যা, শিশ দিতা দিতা চলিয়া গেল। আর চল রাস্তায় সাজি ট্রামলাইন বলে হাতে মোমবাতি নিয়ে বসলেই ব্যবস্থা পাল্টানো যায় বলে যাঁরা মনে করেন তাঁরা আসলে এই ব্যবস্থাটাকেই বুঝে উঠতে পারেননি। তাঁদের উচিত আগামী কিছু বছর ধরে রাষ্ট্র কাঠামো নিয়ে খানিক পড়াশুনো করা।

এই আন্দোলনের তিনটে মূল প্রতিবাদের বিষয় ছিল, ট্রিগার করেছে যে ঘটনা, যে ঘটনা না ঘটলে এতকিছু ঘটতই না সেটা অবশ্যই ওই জঘন্য ধর্ষণ আর নৃশংস হত্যাকাণ্ড। দু’ নম্বর বিষয় ছিল নারী নির্যাতন, নারী অবমাননা, মহিলাদের উপরে নির্যাতন, জেন্ডার ইকুয়ালিটি, নারী পুরুষ সমানাধিকারের প্রশ্নগুলো। তিন নম্বর বিষয় ছিল রাজ্যসরকারের র‍্যাম্প্যান্ট দুর্নীতি, স্বাস্থ্য দফতরের দুর্নীতি, তাকে ঢাকতে আরও দুর্নীতি, এক ভয়ের পরিবেশ ইত্যাদি। এবারে আন্দোলনের অংশগ্রহণকারীদের দিকে যদি তাকাই তাহলে দেখব সেখানেও দুটো স্পষ্ট ভাগ। প্রথমজনেরা হলেন সাধারণ নাগরিক সমাজ, মহিলা পুরুষ, প্রথমদিকে তাতে একটা দলমত নির্বিশেষে অংশগ্রহণের ব্যাপার ছিল। দাবিটা ছিল মূলত নারী সুরক্ষার, পরে তা এক বাম চেহারা নেয়, যা বিজেপিকে এই পরিসরে ঢুকতেই দেয়নি। অন্যদিকে ছিল ডাক্তারদের আন্দোলন যা ধর্ষণ বা হত্যার পিছনে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের দুর্নীতি ইত্যাদির কথা বলা শুরু করে। প্রথম দিন থেকেই এই আন্দোলনেরও চেহারা মেজাজ ছিল বাম আর এই আন্দোলনে বিজেপির প্রবেশ নিষেধ তা কিন্তু আন্দোলনকারীরাও শুরু থেকেই বলে গেছেন। আমরা দেখেছি দিলীপ ঘোষ থেকে রুদ্রনীল ঘোষ, অভিজিৎ গাঙ্গুলি থেকে অগ্নিমিত্রা পল কাউকেই ধর্নামঞ্চে অ্যালাও করেননি জুনিয়র ডাক্তাররা। ওদিকে রাজনৈতিক আন্দোলনে বিজেপির বকলমে লড়ার কৌশল প্রথম ক’দিনেই সুপার ডুপার ফ্লপ। এবং হচ্ছে তো জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন, হচ্ছে তো নাগরিক আন্দোলন যার অগ্রভূমিতে আছেন সিপিএম ঘনিষ্ঠ বা সমর্থকেরা, কাজেই তারাঁও নিজেদের দলীয় মঞ্চ থেকে বিরাট কিছু করতে নামেননি। এবং মজা হল ওই কল্পবিলাসী যাঁরা মনে করেন এ ছিল লবণ আইন ভঙ্গ বা ৪২-এর ভারত ছাড়োর চেয়েও বড় আন্দোলন তাঁরা খেয়ালই করেননি যে এই আন্দোলন এক শাসকের বিনিময়ে অন্য শাসকের দাবি পর্যন্ত করছে না। নাগরিক আন্দোলনের স্লোগান শেষমেশ দাঁড়াল দাবি এক দফা এক তিলোত্তমা বিচার পাক। অন্যদিকে জুনিয়র ডাক্তারেরা শুরু থেকেই বলে দিয়েছেন, আমরা মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি করছি না। বেশ মুখে দাবি করছি না কিন্তু কাজে সেটাই চাইছি এমনটাও তো হতেই পারত। হল না কারণ হই হই করে এগিয়ে এলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লক্ষ্মীপ্যাঁচা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য।

আরও পড়ুন: Fourth Pillar | এলাটিং বেলাটিং সই লো, অথ সিবিআই কথা

যে বিচারের দাবি উঠছিল মমতার কাছে, কলকাতা পুলিশের কাছে, মানুষ বলছিল বিচার চাই বিচার দাও। তা চলে গেল সিবিআই-এর কাছে, অর্থাৎ এবারে বিচার দেবে সিবিআই মানে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছোটা মোটা ভাই, এবং ক’দিনের মধ্যেই আর একজন লক্ষ্মীপ্যাঁচা সুপ্রিম কোর্ট আসরে, মানে তাদের দেখরেখেই তদন্ত হবে, বিচার হবে। ব্যস, চুপ করে ছিলেন কুণাল ঘোষ বা ব্রাত্য বসু, তাঁরাও হাক দিলেন বিচার চাই বিচার দাও। এরপরে আর নবান্ন অভিযান করা যায়? লালবাজার অভিযানেরও কি সেই ধার থাকে? এরপর হল আরও একটা বিরাট ভুল, বিরাট আন্দোলনটা ডাক্তারদের ছিল না, ছিল নারী সুরক্ষার প্রশ্নে, ছিল লিঙ্গসাম্যের প্রশ্নে, ছিল নারী পুরুষ সমানতার প্রশ্ন। সেটাই ছিল বিরাট অংশ, এক বড় সামাজিক আন্দোলন। কিন্তু সেই দাবি থেকে কোনও কংক্রিট দাবি উঠল কি? দাবি উঠল পড়ে থাকা ২৮ হাজার ধর্ষণের মামলাগুলোর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে রায়দান, দোষীদের শাস্তি? দাবি উঠতেই পারত কেবল অফিসে দফতরেই নয়, ইটভাটা থেকে ঝুপড়ি বস্তিতে প্রতিটা নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে এক মানুষের ভিজিলেন্স গড়ে তোলার। দাবি উঠতে পারত রাতভর আরও পাবলিক ভেহিকলের, দাবি উঠতে পারত এই সমস্ত ক্ষেত্রে এক আলাদা ইনফরমেশন পোর্টালের, দাবি উঠতে পারত সেই পোর্টালে বিচার আর রায়ের তারিখ রাখার। দাবি উঠতে পারত যেসব অভিযোগ চেপে যাওয়া হয়েছে, ভিআইপি নাগরিকদের সেই সব নির্যাতনের ঘটনাগুলোকে বাইরে আনার, দাবি উঠতে পারত মহিলা সুরক্ষা কর্মীর সংখ্যা বাড়ানোর। এসব উঠল না, কেবল শুনলাম উই ডিমান্ড জাস্টিস। এবং এই সময় থেকে গরু ল্যাজকে নয়, ল্যাজ গরুকে নাড়ানো শুরু করল। এই বিশাল সামাজিক আন্দোলনকে ডাক্তারদের ফোরাম থেকে সমর্থন করে একে আরও বিশাল প্রেক্ষিত দেওয়ার বদলে এই বিশাল আন্দোলনের কুশীলবেরা উঠেপড়ে নামলেন ডাক্তারদের আন্দোলনের সমর্থনে। প্রথমেই সরাসরি ন্যায়বিচার তদন্তের দায় মুখ্যমন্ত্রী বা তৃণমূলের সরকারের ঘাড় থেকে নেমেই গিয়েছিল, এবারে তাঁদের হাতে আবারও একটা লোপ্পা ক্যাচ। আন্দোলন সিসিটিভির, ডাক্তারদের সুরক্ষার, হেট কালচার আর হাসপাতালের দুর্নীতির। ক্রমশ আন্দোলন মমতার চেনা ছকে, চেনা বৃত্তে ঢুকে পড়ছিল, কাজেই মমতাও আর একটি মিনিট সময় না নষ্ট করে এই আন্দোলনকে জুনিয়রস ডক্টরস মুভমেন্ট-এ নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেন। চলে এলেন ধর্না মঞ্চে, রোজ অপেক্ষা করলেন দফতরে, তিনি একলা অপেক্ষা করছেন ছবিও ছাপা হল, ডাক্তারদের উপরে চাপ বাড়ছিল। তাঁদের ওই ছেলেমানুষি লাইভ স্ট্রিমিং-এর দাবি ইত্যাদি রেখেই নামলেন আলোচনায় আর সেখানে মমতা জানতেন এসব দাবি মেনে নেওয়াতে কিচ্ছু যায় আসে না।

কিছু ট্রান্সফার, রদবদল, সিসিটিভি, রেস্টরুম, বায়োমেট্রিক এন্ট্রি, সুরক্ষা ব্যবস্থা এসবে কোনও সমস্যা থাকার কথা নয়, কাজেই উনি সব মেনে নিলেন। পাকা মাথার পরামর্শে আবার দাবি আবার মেনে নেওয়ার পরে আর কিছু করার ছিল না, ওদিকে সামাজিক আন্দোলন তো তাদের নিজেদের দাবি দাওয়া ছেড়ে হাততালি দিচ্ছিলেন ডাক্তারদের ধর্না মঞ্চে। তাঁরা অবাক হয়ে দেখলেন, ডাক্তারদের ধর্না উঠতেই রাস্তার ধারে বিজ্ঞাপনের কাঠামো, নিউ মার্কেটে ভিড়, গড়িয়াহাটে পুজোর পশরা। এবং যাঁরা এই সামাজিক আন্দোলনে ছিলেন, তাঁদের গলায় অন্য সুর ইতিমধ্যেই। তাহলে কোথায় ভুল হয়ে গেল? তাহলে কী করা উচিত ছিল, তাহলে এখনই ভোট হলে কে জিতবেন? ধরুন নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়, যিনি এই আন্দোলনের এক বিরাট মুখ, তিনি মাত্র দু’দিন আগেই ইনস্টাগ্রামে ভিডিও পোস্ট করে বলেছেন এই আন্দোলন ছিল নাগরিক, কাজেই এখনই ভোট হলে মমতাই জিতবেন, গ্রামের মানুষ ওনাকে ভগবান মনে করেন। এটা বোধোদয়? নাকি পেছনে আর্থিক চাপ আছে? মেডিক্যাল কাউন্সিলের চাপ আছে? জানি না। কিন্তু বলেছেন। মহালয়ার রাতেই আবার রাত দখল করো নিয়ে নামবেন প্রতিবাদীরা, প্রস্তাব এসেছে অনেক আগেই, তিনদিনের ফেসবুক পোস্টে রাত দখল করতে নেমেছিলেন লক্ষ লক্ষ মানুষ, এবারে সাতদিন আগের প্রস্তাব নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নিতে পারা যায়নি। আচ্ছা তার মানে কি সব শেষ? খতম। এটাও যাঁরা ভাবছেন, তাঁরা ভুল ভাবছেন, কারণ রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতরে দুর্নীতি আছে, অতি ঘোর তৃণমূল সমর্থককেও রেশন পেতে ঘাম ঝরাতে হয়, ওষুধ পেতে হত্যে দিতে হয়, একটা বিছানা পেতে দালালকে ধরতে হয়, আম আদমির অভিজ্ঞতা একই রকম। কাজেই এই দুর্নীতিই আবার যে কোনও মুহূর্তে হয়ে উঠতে পারে আবার এক আন্দোলনের বিষয়, এই আন্দোলন সেই কাজটা করে গেছে। মন্ত্রীসান্ত্রী, আমলা দামলা এমনকী মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে যাঁরা রা কাড়তেন না, তাঁরা সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট দিচ্ছেন, বিভিন্ন শ্রী আর ভূষণের পুরস্কার বিতরণী আর পুজো উদ্বোধনে যাঁরা পাশে দাঁড়িয়ে দাঁত ক্যালাতেন, বোঝাই যাচ্ছে যে তাঁরা খানিক ভয়েই ওসব করতেন, সেই আড়টা ভেঙেছে, সেই আগলটা খুলেছে। না, এখনই কোনও বিকল্প নেই, কিন্তু বিরোধিতা বিকল্পের জন্ম দেয় এটাও তো ঠিক, সেই বিরোধিতা ভারি ছোঁয়াচে, ছড়িয়ে পড়ার এক প্রবণতা তার জন্মজাত, কাজেই তা ছড়াতে পারে, নতুন কোনও ইস্যুতে। শাসকদলকে এই দিকে একটা চোখ তো রাখতেই হবে, এবারের আন্দোলনে ছিল না গ্রামের মানুষ, বাংলার উত্তর থেকে দক্ষিণের প্রান্তিক মানুষেরা হাজির ছিলেন না, কিন্তু হাজির থাকবেন না, এমন গ্যারান্টি তো নেই। হ্যাঁ, এটাই এই আন্দোলনের এক বিরাট ফল, প্রতিবাদের আগল খুলে গেছে, প্রতিবাদের ভাষা যে কোনও মুহূর্তে আবার ধ্বনিত, প্রতিধ্বনিত হতেই পারে।

RELATED ARTICLES

Most Popular

Video thumbnail
Madhya Pradesh Incident | সম্ভ্রম বাঁচাতে ঝাঁ/প দেখুন শিউরে ওঠা ভিডিও
00:00
Video thumbnail
Weather Update | বাংলায় কবে ঢুকছে বর্ষা? কোন কোন জেলায় ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস? দেখুন লেটেস্ট আপডেট
00:00
Video thumbnail
Fake Medicine | জাল ওষুধ আটকাতে বিরাট সিদ্ধান্ত নবান্নের, কী হতে চলেছে? দেখুন এই ভিডিও
00:00
Video thumbnail
SSC | চিহ্নিত অযোগ্যদের মামলা খারিজ সুপ্রিম কোর্টে, কী হবে এবার? দেখুন বড় খবর
00:00
Video thumbnail
Purnam Kumar Shaw | বাড়ি ফিরে বিরাট মন্তব্য পূর্ণম সাউয়ের, কী বললেন? দেখুন এই ভিডিও
00:00
Video thumbnail
China-Pakistan Relations | ভারত-পাক সংঘ/র্ষে, পাকিস্তানকে সাহায্য চিনের, সামনে এল চাঞ্চল্যকর খবর
00:00
Video thumbnail
Muhammad Yunus | পদত্যাগ করবেন ইউনুস? সেনা কী ব্যবস্থা নিচ্ছে? বাংলাদেশে কী পরিস্থিতি?
00:00
Video thumbnail
BJP | এই বিজেপি বিধায়কের না/রকী/য় ঘটনায় স্তম্ভিত গোটা দেশ, এবার কী বলবে বিজেপি?
09:30:59
Video thumbnail
SSC LIVE | SSC পরীক্ষার নিয়মে বড় বদলশিক্ষা দপ্তর সূত্রে কী জানা যাচ্ছে? দেখুন বড় আপডেট
05:50:11
Video thumbnail
Fake Medicine | জাল ওষুধ আটকাতে বিরাট সিদ্ধান্ত নবান্নের, কী হতে চলেছে? দেখুন এই ভিডিও
02:31