ওয়েবডেস্ক- শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল, দিল্লির (Delhi) এইমস (AIIMS) থেকে ছুটি পেলেন প্রাক্তন বিচারপতি, তমলুকের (Tamluk) বিজেপি সাংসদ (Bjp Mp) অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay) । তবে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে থাকবেন তিনি। তাঁকে বেশি পরিশ্রম, জার্নি করতে নিষেধ করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, জুনের মাঝামাঝি সময় হঠাৎ করেই অসুস্থ হয়ে পড়েন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বাড়িতেই তাঁর হঠাৎ করে বমি ও পেটে যন্ত্রণা শুরু হয়।
তড়িঘড়ি তাকে আলিপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিভিন্ন পরীক্ষা হয় অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। জানা যায়, গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সেপসিসে আক্রান্ত তিনি। এছাড়াও ডায়াবিটিসের সমস্যা রয়েছে তাঁর। সুস্থতার পথে মধুমেয় রোগ যে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে সে কথাই মনে করেছিলেন চিকিৎসকরা।অবস্থার ক্রমশ অবনতি হওয়ায় বিজেপি সাংসদকে দিল্লির এইমসে ভর্তি করা হয়। সেখানে আইসিউতে অক্সিজেন সাপোর্টে রাখা হয় তাঁকে। চিকিৎসকদের চেষ্টায় সুস্থ হয়ে ওঠেন তিনি। চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে এখনই কলকাতা ফিরছেন না অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আপাতত দিল্লিতেই থাকবেন তিনি।
আরও পড়ুন- কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে বাড়ল ভর্তির সময়সীমা, কতদিন পর্যন্ত আবেদন করতে পারবে পড়ুয়ারা?
দিল্লিতে এইমসে থাকার সময় তাঁর শরীর থেকে অতিরিক্তি ফ্লুইড বের করতে হয়। কিছুদিন আগেই তাঁকে আইসিইউ থেকে জেনারেল ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়। এইমসে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে যান বাংলার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এছাড়াও, কলকাতার হাসপাতালে ভর্তি থাকার সময় বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং সাংসদ দিলীপ ঘোষও তাঁর আলাদা করে খোঁজ খবর নেন। এমইসে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা এবং সংসদীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু নিজে থেকে অভিজিতের চিকিৎসা প্রক্রিয়া তদারকিতে ছিলেন বলে খবর। সেই সময় বিজেপির একটি সূত্র জানিয়েছিল, ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বিচারপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন, বিজেপিতে যোগদান করেন। তমলুক কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করা হয় তাঁকে, জয়ী হন তিনি।
দেখুন আরও খবর-