কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: মহাকাশ গবেষণায় নতুন যুগের সূচনা করেছে উচ্চপ্রযুক্তি সম্পন্ন জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ। অবশেষে সমস্ত প্রতীক্ষার অবসান ঘটতে চলেছে। সম্প্রতি নাসা জানিয়েছে, চলতি
বছরের ১২ জুলাই মহাকাশ থেকে প্রথম রঙিন ছবি পাঠাবে জেমস। তারই শেষ পর্যায়ের
প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে। কাজ শুরু করার আগে জেমস ওয়েব স্পেস
টেলিস্কোপের বিভিন্ন যন্ত্রাংশের অন্তিম পর্যায়ের
প্রযুক্তিগত পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে এখন। এই টেলিস্কোপের হাত ধরেই মহাকাশের নানান
রহস্য উন্মোচিত হবে বলে আশাবাদী জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা।
নাসা হোডকোয়াটার্সের ওয়েব প্রোগ্রাম
বিজ্ঞানী এরিক স্মিথের মতে জেমসের তোলা প্রথম রঙিন ছবি মহাকাশ গবেষণায় ইতিহাস
গড়বে। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন গবেষণা পরীক্ষা নিরীক্ষার পর মহাবিশ্বের রহস্য
উন্মোচনের দিকে এগোচ্ছি আমরা। কয়েক দশকের গবেষণা, প্রতীক্ষা এবং স্বপ্ন পূরণ করবে
জেমসের তোলা ছবি।
মহাকাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অসংখ্য
রহস্যজনক বিষয়। মহাকাশের গভীরে এমন অনেক এলাকা রয়েছে যেখানে এখনও নজর পৌঁছয়নি। সেই
সমস্ত তথ্য আবিষ্কার করতেই মহাকাশে পাঠানো হয়েছে জেমন ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ। নাসা
সূত্রের খবর, ১০ বিলিয়ন ডলার খরচ করে তৈরি করা হয়েছে এই অতি শক্তিশালী টেলিস্কোপ।
এই টেলিস্কোপ বানাতে নাসার সঙ্গে হাত মিলিয়েছে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি এবং
কানাডিয়ান স্পেস এজেন্সি। পৃথিবী থেকে ১০-১৫ লক্ষ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করবে এই
টেলিস্কোপ।
পুরনো টেলিস্কোপগুলোতে একটিই আয়না বা মিরর
থাকত যেগুলি দূরের নক্ষত্র থেকে আলো সংগ্রহ করত। কিন্তু জেমস ওয়েব স্পেস
টেলিস্কোপে রয়েছে ১৮টি ষড়ভুজাকার আয়না। এই আয়নার
সাহায্যে বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের বহু দূরে থাকা নক্ষত্রের ছবিও ধরা পড়বে টেলিস্কোপে।