সাম্প্রতিককালে হইচই ফেলে দিয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (Artificial Intelligence) নতুন আবিষ্কার চ্যাটজিপিটি (ChatGPT)। এবার তার থেকেও আধুনিক এবং উন্নততর জিপিটি-৪ (GPT-4) আসতে চলেছে। চ্যাটজিপিটির থেকে ৫০০ গুণ শক্তিশালী জিপিটি-৪ প্রকাশিত হবে আগামী সপ্তাহে। মনে করা হচ্ছে, এই নতুন আবিষ্কার বদলে দেবে গোটা পৃথিবীকে।
চ্যাটজিপিটির বর্তমান ভার্সান জিপিটি-৩.৫-এ (GPT-3.5) রয়েছে ১৭৫ বিলিয়ন মেশিন লার্নিং প্যারামিটার (Machine Learning Parameter)। কিন্তু নতুন জিপিটি-৪ এ আছে ১০০ ট্রিলিয়ন প্যারামিটার। ছবি, অডিও, ভিডিও, সংখ্যা সহ সমস্ত ধরনের ডেটা প্রসেস করতে পারবে এই নতুন আবিষ্কার। জিপিটি-৪ কে কোনও নিষিদ্ধ কনটেন্ট প্রসেস করতে দেওয়া হলে তা জিপিটি-৩.৫ এর থেকে ৮২ শতাংশ কম সাড়া দেবে।
আরও পড়ুন: Newzealand Earthquake | তুরস্কের স্মৃতি উস্কে নিউজিল্যান্ডে জোরালো ভূমিকম্প
সামনের সপ্তাহ থেকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) ব্যবহার আপনি লিখে ফেলতে পারবেন একটি সিনেমার চিত্রনাট্য। তৈরি করে নিতে পারবেন নিজের অভিনেতা, ছবি বানিয়ে তা দর্শকের সামনে এনে ফেলতে পারবেন একাই। কোনও রক্তমাংসের অভিনেতার প্রয়োজন পড়বে না। তবে যে প্রযুক্তি শুধুমাত্র লিখিত আকারে আউটপুট দেয় তা অভিনেতার কাজ কীভাবে করবে তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই।
পরের সপ্তাহ থেকে একটা ২০০ পাতার বই লিখে ফেলতে পারবেন একদিনেই। মোদ্দা কথা, যে কাজ এতদিন সমষ্টিগত ভাবে ছাড়া এতদিন অসম্ভব ছিল, তা এবার একার হাতে করে ফেলা যাবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগামী দিনে আসতে চলেছে সিঙ্গুলারিটির (Singularity) যুগ। চ্যাটজিপিটির ক্রমাগত উত্থান সেই যুগেরই প্রথম সোপান।
চ্যাটজিপিটি যে সংস্থার 'প্রোডাক্ট' সেই ওপেনএআই (OpenAI) জানিয়েছে, আমরা জিপিটি-৪ সৃষ্টি করেছি যা এক মাইলফলক। এটি মাল্টিমোডাল মডেল অর্থাৎ ছবি, লেখা সহ বিভিন্ন ধরনের ইনপুট গ্রহণ করতে সক্ষম এবং তা লিখিত আকারে আউটপুট দিতে পারবে। বাস্তব জগতের ঘটনাবলির পরিপ্রেক্ষিতে এটি মানুষের মতো দক্ষ না হলেও, নানাবিধ পেশাভিত্তিক এবং শিক্ষাভিত্তিক মাপকাঠিতে মানুষের সমান কাজ করতে সক্ষম।
শেয়ার করুন