রান্নাঘরে এমন অনেক উপকরণ আছে যা আমরা ব্যবহার করি ঠিকই কিন্তু এগুলির বিষয়ে বিশেষ কিছু জানি না। এই যেমন ধরুণ কিশমিশ আর মুনাক্কা। দু’টো দেখতে অনেকটা একই রকম, আবার ইংরেজি নামও এক, রেজ়িন। আর এই কারণে তবে দু’টোর মধ্যে বেশ কিছু পার্থক্য রয়েছে যা হয়ত অনেকেই জানেন না। সেগুলি কী কী জেনে নিন-
দু’টোর মধ্যে আকারের পার্থক্য রয়েছে
মুনাক্কা ও কিশমিশের সব থেকে প্রধান পার্থক্য হল আকারের। মুনাক্কা কিশমিশের থেকে আকারে বড়। এর ভেতরে বীজ থাকে ও এগুলি বাদামী রঙের হয়। আর কিশমিশ আকারে ছোট হয় এবং এর ভেতরে বীজ থাকে না। এগুলো হালকা সবুজ ও বাদামী রঙয়ের হয় এবং এতে হল্দেটে দাগ থাকে। কিশমিশ ও মুনাক্কা দু’টো খাওয়ারই অনেক উপকারিতা আছে।
দু’টোর মধ্যে স্বাদের পার্থক্য রয়েছে
মুনাক্কা কিশমিশের তুলনায় বেশি মিষ্টি হয়। কিশমিশের স্বাদে তুলনামূলক ভাবে টক হয়। খেতে গিয়ে অবশ্য বোঝা যায়না কিন্তু এই টক ভাবই কিশমিশ খেলে অ্যাসডিটির কারণ হয়।
কিশমিশ না মুনাক্কা শরীরের পক্ষে কোনটা বেশি উপকারী?
আর্য়ুবেদে কিশমিশের তুলনায় মুনাক্কাকে বেশি উপকারী বলা হয়। যদিও পুষ্টির নিরিখে কিশমিশ ও মুনাক্কার মধ্যে উনিশ-বিশের পার্থক্য। তবে কিশমিশ খেলে অ্যাসিডিটি হতে পারে কিন্তু মুনাক্কা অ্যাসিডিটি রোধ করে। মুনাক্কা জলে ভিজিয়ে খাওয়া যেতে পারে এটা যাদের বাতের সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য উপকারী। তবে এক্সপার্টের পরামর্শ ছাড়া এটা না করাই উচিত। অনেক সময় মুনাক্কা খেলে পেট গরমও হয়।
কীভাবে তৈরি হয় কিশমিশ ও মুনাক্কা?
কিশমিশ ও মুনাক্কা তৈরির পদ্ধতি একই তবে উপকরণ হয় আলাদা আলাদা।
মুনাক্কা ভেতরে বীজ যুক্ত বড় আঙুর থেকে তৈরি হয়। আর কিশমিশ ছোট আঙুর থেকে তৈরি হয়।
মুনাক্কা ও কিশমিশ বানানোর আগে আঙুর ফোটানো হয়। ফোটানোর সময় আঙুরের রঙ পরিবর্তন হতে শুরু হয়।
ফোটানোর সময় যখন আঙুর রঙ বদলাতে শুরু করে তখন আগুন থেকে সরিয়ে আঙুরগুলো রোদে শুকোতে দেওয়া হয়। রোদে শুকোনোর সময় এই আঙুরগুলো উল্টে পাল্টে দেওয়া হয়।
আঙুর শুকোতে কমপক্ষে ৩ থেকে ৫ দিন পর্যন্ত কড়া রোদ্দুরে শুকিয়ে নিতে হয়।
এরপর এদের একত্রিত করে প্যাক করা হয়। মুনাক্কা ও কিশমিশ চাইলে বাড়িতেও বানিয়ে ফেলা যায়।