সারা বছর সুস্থ থাকতে বছরভর পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। এর ফলে যেমন স্বাস্থ্য ভাল থাকবে ঠিক তেমনি চাঙ্গা থাকবে শরীর। নিত্যদিনের খাদ্যতালিকায় এই পুষ্টির নিরিখে কোন খাবার রাখবেন আর কোন খাবার রাখা চলবে না এই নিয়ে রয়েছে নানা মুনির নানা মত। তৈরি হয়েছে একাধিক ভ্রান্ত ধারণাও। নানা রকমের খাদ্য সামগ্রীর থেকে কোন খাবারে তুলানামূলক পুষ্টির মাত্রা বেশি রয়েছে সেই বাছাই করার কাজ সহজ করে দিয়েছেন পুষ্টিবিদ লাভনিত বাতরা(Loveneet Batra) জানিয়েছেন কোনও খাবারে ক্যালোরির নিরিখে পুষ্টির মাত্রা কত তার ওপর নির্ভর করছে সেই খাবার কতটা পুষ্টিকর। তাই কোনও খাবার বাছতে হলে আমাদের এই বিষয়গুলো দেখে নিতে হবে। সম্প্রতি এই নিয়ে তাঁর ইনস্টাগ্রাম(instagram) অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন তিনি। সেই সব পুষ্টিকর খাবার কোনগুলি দেখে নিন-
কাবলি ছোলা (chickpeas)
কাবলি ছোলায় প্রচুর পরিমানে পুষ্টির উপাদান রয়েছে যেমন প্রোটিন, ফোলেট(ভিটামিন বি৯), আয়রন, জিঙ্ক ও ফাইবার। তাই নিয়মিত কেউ যদি কাবলি ছোলা খায় তাহলে বেশ কিছু ক্রনিক ডিজিসের বেড়ে ওঠার সম্ভাবনা অনেকটা কমিয়ে দেয়। কারণ, এতে প্রচুর মাত্রায় ফাইবার ও প্রোটিন রয়েছে।
আমারন্থ (amaranth)
দক্ষিণে এই শস্য ব্যবহারের চল রয়েছে। এই অমারন্থের পুষ্টির পরিমাণে উল্লেখযোগ্য। এতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে। পাশাপাশি মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট যেমন আয়রন, ফসফরাস, ম্যাগনেশিয়াম , ভিটামিন এ ও ভিটামিন ই রয়েছে।
মুগ ডাল (moong lentils)
মুগ ডালে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে উপকারী অ্যামিনো অ্যাসিড। অন্যান্য ডাল ও শস্যের তুলনায় মুগ ডালে ফাইটিক অ্যাসিডের পরিমাণে বেশ কম। এই ফাইটিক অ্যাসিড প্রোটিনের হজমে ব্যাঘাত ঘটায়। মুগ ডাল সহজপাচ্যএর ফলে মুগ ডাল খেলে পেট ফোলার মতো সমস্যা হয় না।
কাজু (cashew)
বাদামের মধ্যে কাজুর জনপ্রিয়তা আলাদা করে বলার প্রয়োজন পড়ে না। তবে কাজু খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য কতটা ভাল না খারাপ এই নিয়ে বিতর্কেও রয়েছে প্রচুর। কিন্তু এই কাজুতেই রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভেজিটেবিল প্রোটিন ও ফ্যাট (বেশিরভাগ আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড)। তবে শুধু প্রচুর মাত্রায় প্রোটিনই নয় কাজুতে রয়েছে অন্যান্য পুষ্টিকর উপাদান যেমন ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ও পোটাশিয়ামের মতো স্বাস্থ্যকর প্রাকৃতিক খনিজ পদার্থ ও ভিটামিন।
রাগি (ragi)
সব ধরণের মিলেট-ই পুষ্টিকর তবে রাগির বেশ কিছ বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা একে বাদ বাকি মিলেট ভ্যারাইটির থেকে আলাদা করে। প্রথমত রাগি গ্লটেন ফ্রি ও এতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে। মিলেটের অন্যান্য ভ্যারাইটির তুলনায় রাগিতে বেশি পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও পোটেশিয়াম রয়েছে। এখানেই শেষ নয়। রাগিতে রয়েছে পলিফেনল ও ডায়টারি ফাইবার, এই দুধরণের উপাদান শরীরের জন্য একাধিক কারণে উপকারী।
শেয়ার করুন