আর মাত্র কয়েক দিনের অপেক্ষা। তারপরেই শুরু রংয়ের উৎসব দোল ও হোলি। ফাল্গুন মাসের পূর্ণিমা তিথিতে পালিত হয় দোলযাত্রা (Dol Purnima)। পশ্চিমবঙ্গে যা দোলযাত্রা হিসেবে পরিচিত বিশেষত উত্তরভারতে তাকেই বলে হোলি (Holi Utsav 2023)। এই দোলযাত্রা এবং হোলি নিয়ে সারা দেশের মানুষের মধ্যে উৎসাহের অন্ত থাকে না। দোল বা হোলির কথা বললেই চলে রাধা-কৃষ্ণের প্রেমলীলাক্ষেত্র মথুরা-বৃন্দাবনের প্রসঙ্গ। সারা বিশ্ব থেকে বহু মানুষ আসেন মথুরা-বৃন্দাবনের হোলি উৎসবে শামিল হতে।
পুরাণ মতে, এই বৃন্দাবনেই রাধা এবং গোপিনীদের সঙ্গে দোল খেলতেন কৃষ্ণ। কৃষ্ণের লীলাভূমি নামে পরিচিত মথুরায় দোল উৎসব যে আলাদা চেহারা পাবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এই বছর দোল উত্সব পালিত হবে ৭ মার্চ এবং হোলি উদযাপন হবে ৮ মার্চ। দোলের আগের দিনটি ন্যাড়া পোড়া বা হোলিকা দহনের দিন নামে পরিচিত। হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ফাল্গুন মাসের পূর্ণিমা তিথিতে দোল (Holi Utsav 2023) উৎসব পালন করা হয়। দোলের আগে এক সপ্তাহ ধরে নানা উৎসবে মেতে ওঠে শ্রীকৃষ্ণধাম মথুরা ও বৃন্দাবন। এখানে বিভিন্ন পর্যায়ে অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে হোলি খেলা অনুষ্ঠিত হয় যেমন- ব্রজ কি হোলি, লাঠমার হোলি প্রভৃতি। আবার বৃন্দাবনে বসবাসকারী বিধবাদের হোলিও এখানে বিখ্যাত।
আরও পড়ুন:Bolly Stars OTT Platfom: ৫ জনপ্রিয় বলিউড অভিনেতা এবার ওটিটি ডেবিও করতে চলেছেন
কথিত আছে, ছোটবেলায় কৃষ্ণ তাঁর মা যশোদার কাছে গিয়ে অভিযোগ করেন, কেন তিনি শ্যামবর্ণ আর রাধা কেন ফর্সা? তখন যশোদা তাঁকে বলেন রাধাকে ভালো করে রং মাখিয়ে দিতে, যাতে গায়ের রং বোঝা না যায়। তখন কৃষ্ণ তাঁর বন্ধুদের নিয়ে রাধা ও অন্য গোপিনীদের রং মাখিয়ে দেন। এর উত্তরে রাধা ও গোপিনীরা লাঠি দিয়ে কৃষ্ণ ও তাঁর বন্ধুদের মারেন। এর থেকে চালু হয় লাঠমার হোলির প্রথা। এখনকার দিনেও হোলির সময় মথুরা-বৃন্দাবনে পালিত হয় লাঠমার হোলি। মহিলারা মজা করে লাঠি দিয়ে মারতে থাকেন পুরুষদের। মহিলারা গোপিনীদের মতো পোশাক পরেন এবং পুরুষরা সেজে ওঠেন গোপের মতো পোশাকে।
বিধবাদের হোলি কী- প্রাচীন কাল থেকেই বিধবাদের এই উৎসবে আসা নিষেধ। শুভ উৎসবের নানান কাজ থেকে বঞ্চিত থাকেন বিধবারা। কিন্তু এখন পাগল বাবার আশ্রমে একত্রিত হন। তাঁরাও মনের আনন্দে হোলি খেলেন। বৃন্দাবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানগুলির মধ্যে এটি কিন্তু একটি। যা দেখে চোখ ফেরানো কঠিন হয়ে পড়ে। ভারতীয় বিধবাদের শুধু সাদা রঙের পোশাক পড়া কথিত আছে। এই বিশেষদিনে ভক্তরা একে অপরের মুখে আবির ছিটিয়ে দেন। আবার অনেকে এই দিনে রঙের সঙ্গে জল মিশিয়ে সবার গায়ে ছিটিয়ে মেতে উঠেন আনন্দে। ভক্তিমূলক গান ও ভজনেরও আয়োজন করা হয়।