skip to content
Sunday, March 16, 2025
HomeScrollAajke | রাম বাম এক হ্যায়
Aajke

Aajke | রাম বাম এক হ্যায়

রাম-বামের মধ্যে কি এক অঘোষিত বোঝাপড়া আছে?

Follow Us :

এমনিতে আমাদের মনেই আছে সেই দিনগুলোর কথা, যখন কংগ্রেসের বিরুদ্ধে মোর্চা তৈরি হয়েছে, বাংলার মাঠ ঘাট ঘাসফুলে একই শ্লোগান- গলি গলি মে শোর হ্যায় রাজীব গান্ধী চোর হ্যায়। সেদিন সেই মোর্চাতে ছিলেন বামপন্থীরা, ছিল সিপিএম, ছিল বিজেপি। সেই গলায় গলায় মূহুর্তের ছবিও আমাদের কাছে আছে বৈকি। একধারে বিজেপি, একধারে বামেদের সমর্থনে চলা সরকারও আমাদের বেশ মনে আছে। এখন এক্কেবারে সনাতনী বাম হয়ে ওঠার তাগিদটা কেন, সেটাও কি বুঝি না? নিজেদের জাত কুল মান খুইয়ে বুঝেছেন ঘটি উল্টেছে, তাই আপাতত সহি বাম হবার চেষ্টা। আর কে না জানে যে, নিজেকে বড় করার সবচেয়ে সোজা উপায় হল অন্যকে ছোট প্রমাণিত করা; নিজেকে সাচ্চা প্রমাণিত করার সরলতম উপায় হল অন্যকে মিথ্যেবাদী বলে দাগিয়ে দেওয়া। যা এই সরকারি বামেরা বেশ কিছুদিন ধরে প্র্যাকটিস করছেন।

তৃণমূল আসলে বিজেপি। বেশ। সমর্থনে লজিক হল এনারা অটল মন্ত্রী সভাতে ছিলেন, অকাট্য যুক্তি মনে হচ্ছে তো? কিন্তু সেই একই অটল মন্ত্রী সভাতে ডিএমকে-ও ছিল, সেই ডিএমকে-র সমর্থনে দু’খানা সাংসদ এই ধর্মনিরপেক্ষ আগমার্কা বামপন্থী সিপিএম-এর, তার বেলাতে কোনও কথা নেই। মমতা দুর্নীতিবাজ, দেখছেন না মন্ত্রিসভার সদস্যরা জেলে। ওদিকে লালু যাদবের সঙ্গে উথালি পাথালি প্রেম, তিনি গরুর খাবার চুরির দায়ে অভিযুক্ত নয়, দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। যদি অভিযোগের ভিত্তিতে, কেষ্ট মোড়ল, বালু, পার্থের জেলবাসের ভিত্তিতে তৃণমূলকে দুর্নীতিবাজ বলা যায়, তাহলে লালু যাদবের আরজেডি-কে শুদ্ধাচারে গলা জড়িয়ে জোট করার কারণ কী? ইন ফ্যাক্ট আজ নয়, সিপিএম-এর দীর্ঘ কংগ্রেস বিরোধিতার ইতিহাসে সংসদে সংসদের বাইরে জনসংঘ, বিজেপি নেতাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক সবাই জানে, আমরাও জানি, সেটাই বিষয় আজকে, রাম বাম এক হ্যায়।

আরও পড়ুন: Aajke | হ্যাঁ, এই মুহূর্তে নির্বাচন হলে তৃণমূল ২৩৫-২৪০টা আসন পাবে

তো হঠাৎ এই আলোচনা কেন? কারণ কেন্দ্র সরকারের অনুদানে ফিল্ম ফেস্টিভাল হচ্ছে সত্যজিৎ রায় ইন্সটিউটে, আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছেন সংঘমিত্রা চৌধুরি। খুব স্বাভাবিকভাবেই এই ফেস্টিভালে জায়গা পেয়েছে ‘বীর সাভারকার’ বা ‘দ্য সবরমতি রিপোর্ট’-এর মত ছবি। এগুলো দেখানোই তো উদ্দেশ্য, তার সঙ্গেই ফেস্টিভালে জায়গা পেয়েছে দেবদূত ঘোষের ‘আদর’ ছবিটা। এমনিতে ইন্ডাস্ট্রিতে দেবদূত ভদ্র সভ্য অভিনেতা এবং সিপিএম কর্মী সমর্থক বলেই চিহ্নিত। তার সঙ্গে ২০২১-এ টালিগঞ্জ থেকে, ২০২৪-এ ব্যারাকপুর থেকে নির্বাচন লড়েছেন। সেই একনিষ্ঠ নেতা কেন এহেন বিজেপির আসরে? শোনা গিয়েছে, তিনি বলেছেন শিল্পে নাকি এরকম ভাগাভাগি করার কোনও মানেই হয় না, সিনেমা তো সিনেমা ইত্যাদি। খেয়ালই করেননি যে, এই প্রোপাগান্ডা ছবিগুলো কেন, কী কারণে, কাদের প্রত্যক্ষ নির্দেশে তৈরি হয়েছে, তা নিয়ে বিপ্লবী সিপিএম দলের বিপ্লবী মুখপত্রতে তক্তা তক্তা লেখা হয়েছে।

আসলে কোথাও সিপিএম-এর তীব্র মমতা বিরোধী প্রচার, মমতা বিরোধী হিসেবেই সিপিএম কর্মী নেতাদের বিজেপির পাশে নিয়ে গিয়ে দাঁড় করায়। কমরেড তন্ময় ভট্টাচার্য অনায়াসে চলে যান বিজেপির বুক স্টলে, কাঁধে হাত দিয়ে ছবি তুলিয়ে চার, ছ’খানা বই উপহার নিয়েই ফেরেন। সেই সিপিএম-এর ২০১৯-এ ঠিক যতটা ভোট কমে, ততটাই ভোট বাড়ে বিজেপির আর এগুলো ঐ বাম রাম এক হ্যায় শ্লোগানকেই পুষ্ট করে প্রতিদিন। এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল আদর্শগত দিক থেকে এক্কেবারে উলটো দিকে বসে থাকা আরএসএস বিজেপির লক্ষ্য আর কাজের সঙ্গে সেই মিল বারবার ঘটে চলেছে কেন? কোন ফর্মুলাতে সিপিএম-এর এক বিরাট শিক্ষিত ভোট ব্যাঙ্ক আজকের দিনেও বুথে গিয়ে অনায়াসে ভোট দিয়ে আসেন বিজেপিকে? কেন দলের পলিটব্যুরো নেতাকে প্রায় শয্যাশায়ী অবস্থাতেও দলকে, দলের কর্মীদের সতর্ক করে বলতে হয় কড়াই থেকে আগুনে ঝাঁপ দেবেন না, ঘরে বসেও তিনি এক দ্বিচারীতা টের পেয়েছিলেন বলেই তো বলেছিলেন। যত দিন বাড়ছে সেলিম-সুজন রাজত্বে সেই দ্বিচারীতা বাড়ছে। নিজেদের এক প্রকান্ড বিজেপি বিরোধী হিসেবে খাড়া করার জন্য এ রাজ্যে তৃণমূলকে, কেরালায় কংগ্রেসকে বিজেপির বি-টিম বলে এক সাচ্চা বিজেপি বিরোধী তকমা নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে এই সিপিএম। মানুষ বুঝে ফেলেছে বলেই ঐ ‘রাম বাম এক হ্যায়’ শ্লোগানটা ক্রমশ পপুলার হয়ে উঠছে। আমরা আমাদের দর্শকদের জিজ্ঞাষা করেছিলাম, এখন অনেকেই বলেন রাম বাম এক হ্যায়? সত্যিই কি রাম বাম এক? তাদের মধ্যে কি এক অঘোষিত বোঝাপড়া আছে? শুনুন মানুষজন কী বলছেন।

জনতাই জনার্দন, গণতন্ত্রে জনতাই নির্ধারণ করেন রাজনৈতিক দলের ভবিষ্যৎ। তাঁদের দৈনন্দিন অভিজ্ঞতা থেকেই তাঁরা বেছে নেন শত্রু মিত্রকে। প্রতিদিনের ঘটনা তাঁদেরকে বুঝিয়ে দেয়, কোনটা সত্যি কোনটা বাওয়াল। দেশের মুসলমানরা, সংখ্যালঘুরা আজ সাফ বুঝে গিয়েছে বিজেপির বিরুদ্ধে যে দল, সেই দলের সঙ্গেই তাঁদেরকে থাকতে হবে, তাঁরা সেই জন্যই এ রাজ্যে সিপিএম-কে বিজেপির বিরুদ্ধে নয়, তৃণমূলকে বিজেপির বিরুদ্ধে সমর্থন জানায়। এদেশের গরীব নিম্নবিত্ত মানুষেরা বিজেপি বিরোধী, তাঁরা এ রাজ্যে তৃণমূলকে বেছে নেয় বিজেপি বিরোধী হিসেবেই। সেই আবহে কমরেড সুজন সেলিম শমীকেরা গলা ফাটিয়ে যত অভিনয় করুন, মানুষ মুচকি হেসে বলছে ‘রাম বাম এক হ্যায়’।

RELATED ARTICLES

Most Popular

Video thumbnail
Kolkata Rain | স্বস্তির বৃষ্টি কলকাতায়, ঝড়ের আশঙ্কা কতটা?
00:00
Video thumbnail
Sukanta Majumdar | সাংবাদিক বৈঠকে বড় কথা বলে দিলেন সুকান্ত মজুমদার, দেখুন সরাসরি
00:00
Video thumbnail
A. R. Rahman | বাড়ি ফিরলেন এ আর রহমান, কেমন আছেন? কী জানালেন চিকিৎসকরা?
00:00
Video thumbnail
Donald Trump | ট্রাম্পের নির্দেশে ইরানকে চাপে রাখতে ইয়েমেনে হামলা আমেরিকার কী হতে চলেছে বিশ্বে?
00:00
Video thumbnail
Kolkata House | ফের কলকাতায় ভেঙে পড়ল বাড়ি, কোথায়? দেখুন কী অবস্থা
00:00
Video thumbnail
Weather | প্রবল ঝড়-বৃষ্টিতে ভিজবে কোন কোন জেলা? দেখুন বড় আপডেট
00:00
Video thumbnail
Hailstorm | Weather | প্রবল গরমে শিলাবৃষ্টি, বাংলায় কোন কোন জায়গায়? দেখুন এই ভিডিও
00:00
Video thumbnail
BJP | সুকান্তর মন্তব্যে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের মনোভাব স্পষ্ট, আরও চাপে শুভেন্দু? দেখুন বিশেষ প্রতিবেদন
00:00
Video thumbnail
Sukanta Majumdar | সাংবাদিক বৈঠকে বড় কথা বলে দিলেন সুকান্ত মজুমদার, দেখুন সরাসরি
03:35
Video thumbnail
Virat Kohli | অবসর ভেঙে টি২০-তে ফিরবেন কিং কোহলি! কবে ফিরবেন? নিজেই জানালেন বিরাট
11:35:25