নয়াদিল্লি: পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা ভোটের পর থেকে বেড়েই চলেছে জ্বালানির দাম। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে গ্যাস সিলিন্ডারের দামও। জ্বালানি সহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে বহুবার সংসদে সরব হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদরা। এবার মূল্যবৃদ্ধি ইস্যুতে সংসদে গান্ধী মূর্তির সামনে বিক্ষোভ দেখাল তৃণমূল। বৃহস্পতিবার দলের সাংসদরা পোস্টার, প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে প্রতিবাদে সামিল হন।
গলায় আলু-পেঁয়াজের মালা ঝুলিয়ে মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ জানান তৃণমূল সাংসদরা। দলের টুইটার হ্যান্ডেলের লেখা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আপনি কি শুনতে পাচ্ছেন? আপনি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধি সম্পর্কিত সমস্ত আলোচনা এড়িয়ে গিয়েছেন সংসদে। মানুষের সমস্যা সমাধানে আপনি ব্যর্থ।
উত্তরপ্রদেশ সহ পাঁচ রাজ্যে ভোট থাকায় দীর্ঘদিন জ্বালানির দাম বাড়ায়নি কেন্দ্র। ভোটের ফল বেরনোর দু’সপ্তাহের মধ্যেই বাড়ানো হয় পেট্রোল, ডিজেল ও রান্নার গ্যাসের দাম। পেট্রোল-ডিজেলের দাম ১৩৭ দিনে প্রথম বার বেড়েছিল ২২ মার্চ, মঙ্গলবার সকাল থেকে। বর্ধিত দর জানানো হয়েছিল আগের দিন রাতেই। সেই থেকে ক্রমেই বেড়ে চলেছে জ্বালানি দাম। সেদিন রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারের দাম একধাক্কায় ৫০ টাকা বাড়ানো হয়।
আরও পড়ুন: Modi-Derek: দম থাকলে সংসদে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা করুন, মোদিকে চ্যালেঞ্জ ডেরেকের
সিলিন্ডার পিছু রান্নার গ্যাসের দাম বেড়ে হয় ৯৭৬ টাকা। যা সর্বকালীন রেকর্ড। মধ্যবিত্তের উপর থেকে চাপ কমাতেই ২০২১ সালের ২ নভেম্বর কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে পেট্রোল-ডিজেলের উপরে যথাক্রমে ৫ ও ১০ টাকা করের ছাড় দেওয়া হয়েছিল। তার পর থেকে পেট্রোল-ডিজেলের দাম অপরিবর্তিতই ছিল। কিন্তু ৫ রাজ্যে ভোট মিটে যাওয়ার পর পরই দাম বাড়তে শুরু করে। গত ১৬ দিনে ১০ বার বেড়েছে জ্বালানি তেলের দাম।
Mr @narendramodi, ARE YOU LISTENING?
You have avoided all discussions regarding the soaring prices of essential commodities, you have failed to look out for your people!
Your silence is deafening!#FuelPriceHike pic.twitter.com/gn0kFJsrFR
— All India Trinamool Congress (@AITCofficial) April 7, 2022
দিন কয়েক আগে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আক্রমণ করে টুইট করে তৃণমূল কংগ্রেস। টুইটে লেখা হয়, নির্বাচন পরবর্তী সময়ে দেশবাসীর দুর্দশা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী চিন্তাই করেন না। মোদির ‘নিউ ইন্ডিয়া’য় মূল্যবৃদ্ধি থেকে মুক্তির কোনও অবকাশ নেই। দেশবাসীর সমস্যার মধ্যে থাকলেও প্রধানমন্ত্রী নীরব থাকতে ভালোবাসেন বলেও কটাক্ষ করা হয়েছিল।