কলকাতা: অগাস্ট বিপ্লবেই দেশ ছাড়লেন শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের গদি ছেড়ে ভারতে চলে এসেছেন হাসিনা। ভারতের গাজিয়াবাদের হিন্ডোন এয়ারবেসে আপাতত রয়েছেন শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তন যে সময়ের অপেক্ষা তা বলার অপেক্ষা রাখে না। জেলবন্দি বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াকে (EX Bangladesh PM Khaleda Zia) মুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট। দুর্নীতি-সহ একাধিক অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন খালেদা জিয়া। পাশাপশি মনে করা হচ্ছে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে ফিরতে চলেছে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত কার্ফু জারি থাকবে সে দেশে। মঙ্গলবার থেকে খোলা হবে স্কুল, কলেজ, দফতর, কলকারাখানা। এমনটাই জানিয়েছে আইএসপিআর।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, হাসিনার দল আওয়ামি লিগের ঢাকার কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ধানমণ্ডিতে আওয়ামি লিগের কার্যালয়ে আগুন ধরানো হয়েছে। ধানমণ্ডিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠেছে। আওয়ামি লিগের নেতাদের উপরও আন্দোলনের প্রভাব পড়েছে। এমপি মাশরাফি মোর্তাজার বাড়িও আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আওয়ামি লিগের বিভিন্ন নেতার বাড়ির পাশাপাশি তাঁর বাড়িও জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঝিনাইদহে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বাড়িতে আগুন দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। পুড়ে মারা গিয়েছেন চেয়ারম্যান-সহ তিন জন। বরিশালে প্রাক্তন মেয়রের বাড়িতে হামলা, আগুন। বাড়ি থেকে উদ্ধার ৩টি পোড়া লাশ।ঢাকায় পুলিশের সদর দফতরে ঢুকে ভাঙচুর চালাতে থাকেন বিক্ষোভকারীরা। দেওয়াল টপকে তখন সেখান থেকে পালিয়ে যান পুলিশকর্মীরা। বাংলাদেশ টেলিভিশনের অফিসে প্রতিবাদীরা ভাঙচুর চালায়। সেখানে বঙ্গবন্ধুর ছবি ফেলে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: অশান্ত বাংলাদেশ, কোথায় কোথায় আগুন লাগালো হল দেখুন
বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সে দেশের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ সাহবুদ্দিন তিন বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে, জাতীয় সংসদ ভেঙে অন্তর্বর্তিকালীন সরকার গঠন করা হবে। বিশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে আনতে পদক্ষেপ করবে সেনা। বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট। এবার কী বাংলাদেশের মসনদে বসতে চলেছেন খালেদা। তাঁর মুক্তির নির্দেশের পরই এমনই প্রশ্ন ঘুরছে সে দেশে। অন্যদিকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হতে পারেন নোবেলজয়ী ইউনুস। সূত্রের খবর, দেশের সর্বস্তরের জনগণকে শান্ত থাকার বার্তা দিয়েছেন খালেদা জিয়ার। হাসিনা সরকারের এই পতন গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে বিএনপির হাতে হওয়া উচিত ছিল। বর্তমান পরিস্থিতিতে বিএনপি সুষ্ঠু সরকার গঠন করতে পারবে বলে মনে হয় না।
দেখুন ভিডিও