গাজা: ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধে (Israel-Hamas War) মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল প্রায় ১৩ হাজার। নিখোঁজ প্যালেস্তিনীয়র সংখ্যা প্রায় ৩ হাজার। গাজার (Gaza) সব থেকে বড় আল শিফা হাসপাতালে (Al-Shifa Hospital) এখনও তল্লাশি চালাচ্ছে ইজরায়েলি বাহিনী। এই হাসপাতালেই শিশুসহ নিরীহ প্যালেস্তিনীয়দের (Palestine) মানববর্ম করে রাখার অভিযোগ হামাসের বিরুদ্ধে। হাসপাতালের নীচে সুড়ঙ্গ থেকে জঙ্গিদের পরিচালনা করা হয়। সেখানে হামাসের ফেলে যাওয়া প্রচুর অত্যাধুনিক অস্ত্র ও গুলি পাওয়া গিয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে (Joe Biden) গোটা ঘটনার জন্য দায়ী করেছে হামাস।
আল শিফা হাসপাতালে ঘাপটি মেরে থাকা হামাস জঙ্গিদের খোঁজ চালাচ্ছে ইজরায়েল। হাসপাতালের ভিতরে ঢুকে পড়েছে ইজরায়েলি সাঁজোয়া ট্যাঙ্ক। জওয়ানরা হাসপাতালের ইমারজেন্সি এবং সার্জারি বিভাগ সহ ভিতরে ঢুকে পড়েছে।
আরও পড়ুন: উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে পাঁচদিন, আকাশপথে হারকিউলিস নিয়ে এল অতিকায় ড্রিলিং মেশিন
এদিকে, হামাসের বিরুদ্ধে প্রায় ৪০ দিন ধরে যুদ্ধ চালানোর নামে নিরীহ প্যালেস্তিনীয় হত্যার সমালোচনার মুখে পড়ছেন প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানইয়াহু (Benjamin Netanyahu)। বিরোধী নেতা ইয়ের লাপিড বলেছেন, এবার নেতানইয়াহুকে সরানোর সময় এসে গিয়েছে। উগ্র জাতীয়তাবাদী অতি ডানপন্থী মন্ত্রিসভার আয়ু ফুরিয়ে এসেছে। আমাদের উচিত জাতীয় পুনর্গঠন সরকার করা। নেতানইয়াহু এবং উগ্রবাদীদের সরানো উচিত। বিরোধী নেতার এই মন্তব্যে পরিষ্কার যে, ইজরায়েলের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটেই এবার নেতানইয়াহুর বিরুদ্ধে জনমত গড়ে উঠতে চলেছে।
অন্যদিকে, ইজরায়েলের প্রেসিডেন্ট গাজাকে হামাসের দখলমুক্ত করার পর সেখানে অস্থায়ী প্রশাসন চালানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন। যদিও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, তিনি নেতানইয়াহুকে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন গাজা দখল করা ভুল সিদ্ধান্ত হবে। দুটি পৃথক রাষ্ট্র গঠনই এই রাজনৈতিক বিবাদের একমাত্র রফাসূত্র বলে মনে করে আমেরিকা।
অন্য খবর দেখুন