নয়াদিল্লি: রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের (CV Ananda Bose) বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ (Molestation Case Against Governor) তুলে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাজভবনের এক অস্থায়ী কর্মী। এই মামলায় রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকারকে নোটিস পাঠাল শীর্ষ আদালত। সেই সঙ্গে বলা হয়েছে, মামলাকারী চাইলে এই মাময়ায় কেন্দ্রীয় সরকারকে যুক্ত করতে পারবেন। শুক্রবার মামলাটি প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জে বি পারদিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে ওঠে।
এদিনের শুনানিতে বেঞ্চ মামলায় সহযোগিতার জন্য কেন্দ্রের অ্যাটর্নি জেনারেলকে অনুরোধ করেছে। রাজ্যকে জারি করা ওই নোটিসে রাজভবন থেকে দেওয়া বিবৃতির অংশও যুক্ত করা হয়েছে। ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে রাজ্যপালের বদনাম করার জন্য যৌন হয়রানির অভিযোগ তোলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চলতি মাসেই ৩ দিনের দিল্লি সফরে যেতে পারেন মমতা
গত ২ মে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে রাজভবনের ওই অস্থায়ী মহিলা কর্মী যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছিলেন। কিন্তু সাংবিধানিক রক্ষাকবচ থাকায় রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া যায় না বলে মহিলার বয়ানের ভিত্তিতে লালবাজার একটি তথ্যানুসন্ধান কমিটি গঠন করে। কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল এবং ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দ্রানী মুখ্যোপাধ্যায় তাঁদের মতো করে অনুসন্ধান চালান। রাজভবনে গিয়ে কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। রাজভবনের সিসি ক্যামেরার কিছু ফুটেজ সংগ্রহ করে অভিযোগকারিণীর বয়ানের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হয়েছিল। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্টের স্থগিতাদেশে সেই অনুসন্ধান বন্ধ হয়ে যায়। হাইকোর্টের ওই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন ‘নির্যাতিতা’। রাজ্যপাল কেন এবং কতদিন ওই রক্ষাকবচ পাবেন, মহিলা শীর্ষ আদালতে সেই প্রশ্নও তোলেন। শুক্রবার ওই মামলার শুনানি হয় প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় (DY Chandrachud) এবং বিচারপতি জেবি পর্দিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রর বেঞ্চে। শীর্ষ আদালতের কাছে অভিযোগকারিণীর আবেদন ছিল, রাজ্যপালের বিরুদ্ধে তদন্তের ছাড়পত্র দেওয়া হোক।
দেখুন ভিডিও