কলকাতা: স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতি মামলা (Recruitment Scam) কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) ফিরিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। সিবিআিইকে শীর্ষ আদালতের নির্দেশ, আগামী দুই মাসের মধ্যে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত শেষ করতে হবে। মামলার শুনানি শোনার জন্য কলকাতা হাইকোর্টকে বিশেষ বেঞ্চ গঠন করার কথাও বলেছে সুপ্রিম কোর্ট। এর আগে কলকাতা হাইকোর্টও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত শেষ করতে বলে। বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায় এবং বিচারপতি অমৃতা সিনহা একাধিকবার তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এজলাসে তাঁরা বহুবার সিবিআইয়ের আইনজীবীদের রীতিমতো ধমক দেন।
প্রাথমিকে তো বটেই, নবম থেকে দ্বাদশের শিক্ষক নিয়োগেও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও চাকরি পাননি অনেকেই। টাকার বিনিময় চাকরি পেয়েছে অনেকেই। এমনটাই অভিযোগ।
এই মামলায় ইতিমধ্যেই প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, একাধিক শিক্ষাকর্তা, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্য- সহ একাধিক বিধায়ককে গ্রেফতার হয়ে জেল খাটছেন। এই মামলায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামও উঠে এসেছে। একাধিক বার তাঁকে ইডির দফতরে হাজিরাও দিতে হয়েছে। বৃহস্পতিবারই অভিষেক ইডি দফতরে গিয়ে ছয় হাজার পাতার নথি দিয়ে এসেছেন।
আরও পড়ুন: মহুয়ার পাশে অভিষেক, অধীরও
নবম-দশমের বহু চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। তা নিয়ে চাকরি হারানো শিক্ষকরা সুপ্রিম কোর্টে যান। শীর্ষ আদালত হাইকোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ দেয়। এখনও একাধিক মামলা রয়েছে সুপ্রিম কোর্টে।
এদিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু এবং বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদীর বেঞ্চে নিয়োগ মামলার শুনানি হয়। এসএসসির নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত সমস্ত মামলাই কলকাতা হাইকোর্টে ফেরত পাঠিয়েছে শীর্য আদালত। সব মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি চাইছে শীর্ষ আদালত। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিভগননমকে একটি বিশেষ বেঞ্চ গঠন করতে হবে। নতুন চাকরির নিয়োগ, চাকরি থেকে বরখাস্ত নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে ডিভিশন বেঞ্চ। নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার দ্রুত শুনানি করতে হবে।
আরও অন্য খবর দেখুন