উত্তরকাশী: একে রামে রক্ষা নেই, সুগ্রীব তার দোসর। উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে আটক (Uttarkashi Tunnel Collapse) ৪১ শ্রমিকের ভাগ্যে কী অপেক্ষা করছে, তা গড়াল আবহাওয়ার আদালতে। কারণ টানা তিনদিন বৃষ্টি (Rain) ও তুষারপাতের (Snowfall) পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর (Meteorological Department)। ওই এলাকায় হলুদ সতর্কতা (Yellow Alert) জারি হয়েছে। উত্তরকাশী, চামোলি, রুদ্রপ্রয়াগ এবং পিথোরাগড়ে প্রবল বৃষ্টি ও তুষারপাত হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে যত অত্যাধুনিক মেশিনই আসুক না কেন, উদ্ধারকাজে (Uttarkashi Tunnel Rescue) বড়সড় বিপত্তি আসতে পারে।
১৬ দিনের মাথায় খুশির খবর একটাই, সুড়ঙ্গের মাথার উপর থেকে ড্রিলিংয়ের কাজ রবিবার দুপুরের পর থেকে শুরু হয়েছে। এদিনই হায়দরাবাদ থেকে প্লাজমা কাটার (Plasma Cutter) আকাশপথে নিয়ে আসা হয়েছে। এটা দিয়ে ভিতরে ভেঙে পড়ে থাকা অগার মেশিনের টুকরো এবং লোহার রডের বাধা কাটা যাবে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্য (NDMA) অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল সৈয়দ হাসনান জানান, এই কাজে আরও বেশ কয়েকদিন সময় লাগবে। আন্তর্জাতিক সুড়ঙ্গ বিশেষজ্ঞ আর্নল্ড ডিক্স ফের একবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, ক্রিসমাসের আগে শ্রমিকদের বের করে আনা হবে। অর্থাৎ যা প্রায় আরও মাসখানেকের ব্যাপার।
আরও পড়ুন: খাদে পড়ে যাওয়া গাড়ির চালকের প্রাণ বাঁচালেন শামি
উদ্ধারকারীদের হাতে এখন দুটি রাস্তা খোলা আছে। একটি হল, মেশিনের সাহায্য ছাড়া খোঁড়াখুঁড়ি করে ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে ১০ মিটার ভিতরে ঢোকা। দ্বিতীয়টি হল, সুড়ঙ্গের উপর থেকে ৮৫-৯০ মিটার খুঁড়ে ভিতরে ঢুকে ৪১ জনকে বের করে আনা। এর মধ্যে জানা গিয়েছে, সুড়ঙ্গের মুখে পাথর চুঁইয়ে জল পড়তে শুরু করেছে। যার ফলে আতঙ্ক আরও বাড়ছে। এদিন সকালে আটক শ্রমিকদের পরিজ এবং দুধ খেতে দেওয়া হয়। দুপুরে দেওয়া হয়েছে আলু সিদ্ধ, সয়াবিন এবং বিনস দিয়ে একটি তরকারি, রুটি-ভাত এবং মুগ ডাল।
অন্য খবর দেখুন