দার্জিলিং বলতেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে টয়ট্রেন। পাহাড়ের কোল ঘেঁষে পর্যটকদের নিয়ে সে ছুটে চলে পাহাড় চেনাতে। এবার করোনার প্রকোপে সেই টয়ট্রেনের অস্তিত্বই সংকটে। মারণ ভাইরাসের কারণে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে বিখ্যাত টয়ট্রেন পরিষেবা। করোনার আগে দেশ-বিদেশের পর্যটকদের টানতে নানান প্যাকেজ, পরিষেবা এবং জয় রাইডের সংখ্যা বাড়িয়েছিল উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে যাত্রী এবং পর্যটকদের দেখা না মেলায় লোকোশেডের ভিতরেই একাকী সময় কাটাচ্ছে টয়ট্রেনের ইঞ্জিন এবং কামরাগুলি। ফলে চিন্তার ভাঁজ উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল কর্তৃপক্ষের কপালে।
১৮-এর দশকে ব্রিটিশ আমলে সমতল থেকে পাহাড়ে টয়ট্রেন পরিষেবা শুরু হয়। ১৯৯৯ সালে ইউনেস্কোর তরফ থেকে দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়েকে হেরিটেজের শিরোপা দেওয়া হয়। সেই শুরু তারপর থেকে সেই শিরোপা ধরে রাখতে অবিরাম যুদ্ধ চালিয়ে চলেছে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল কর্তৃপক্ষ। টয়ট্রেনের হাত ধরে উত্তরের পাশাপাশি রাজ্যগুলির পর্যটন শিল্পেও এসেছে আমূল পরিবর্তন। তবে ধস এবং তারপর করোনা আবহের জেরে ইউনেস্কোর প্রদান করা সেই হেরিটেজ শিরোপাটি আদৌ ধরে রাখা সম্ভব হবে কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে। এব্যাপারে, উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক শুভানন চন্দ জানিয়েছেন, করোনা অতিমারিতে যাত্রী এবং পর্যটকদের দেখা নেই৷ যার ফলে শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং টয়ট্রেন পরিষেবা এবং পাহাড়ের জয়রাইডগুলি বন্ধ রাখা হয়েছে। কিন্তু প্রতিনিয়ত রক্ষনাবেক্ষণের কাজ চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে যাতে করোনার প্রকোপ কেটে গেলেই ফের সেই পরিষেবা চালু করা যায়।
করোনার জেরে অস্তিত্ব সংকটে টয়ট্রেন পরিষেবা
Follow Us :