হয়েছে ব্যাপক ফলন, কিন্তু বাজারে নেই চাহিদা। ফলে মাথায় হাত চাষিদের। মালদা, মুর্শিদাবাদ, নদিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকায় মাইলের পর মাইল জুড়ে রয়েছে আমবাগান। এবছরও আমের ফলন ভালোই হয়েছে কিন্তু করোনা অতিমারি পরিস্থিতির কারণে বাজারে চাহিদা নেই। হতাশ চাষিদের বক্তব্য, গত বছরের আমফানের ক্ষতি এবার সামাল দেওয়া যাবে বলে প্রথমে আশা করলেও এখন দেখা যাচ্ছে চাষের দামটুকুও মিলবে না। এমনই এক চাষি ভরত ঘোষ, কৃষ্ণনগরের আমবাগানের ইজারা নিয়েছিলেন। তাঁর ক্ষোভ, আমের ফলন যথেষ্ট হলেও বাজারে নেই চাহিদা। কাজ হারিয়ে সাধারণ মানুষেরও নেই রোজগার। ফলে বাজারে আম নিয়ে গেলেও বিক্রি হচ্ছে না ন্যায্যমূল্যে। সাড়ে তিন লক্ষ টাকায় ইজারা নিয়েছিলেন তিনি। পাশাপাশি আমের ফলন ও পরিচর্যা করতে গিয়ে বিগত চার মাসে আরও দু লক্ষ টাকা খরচ হয়ে গেছে। সেই টাকাটুকুও মিলবে না বলেই জানিয়েছেন ওই চাষি।কম বেশি একই হাল সব জায়গাতেই। বাজারেও দেখা যাচ্ছে, হিমসাগর, বোম্বাই এবং ল্যাংড়া কোনওটাই ১৫ টাকার ওপরে বিক্রি হচ্ছে না। আবার গণপরিবহন চালু না থাকায় কলকাতা সহ আসানসোল-দুর্গাপুর-ব্যারাকপুর কোথাও আম নিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এর পাশাপাশি পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাড়ায় গাড়ি খরচও বেড়েছে অনেকটাই। এদিকে সামনেই জামাইষষ্ঠী। সেদিকেই তাকিয়ে ছিলেন অনেকে। কিন্তু করোনার বিধিনিষেধ না ওঠায় সমস্যার কতটা সুরাহা হবে সে নিয়ে চিন্তায় চাষিরা।
Html code here! Replace this with any non empty text and that's it.