skip to content
Thursday, May 1, 2025
HomeCurrent Newsবিসিসিআই : করোনা কালেই আয় ৩ হাজার কোটি!

বিসিসিআই : করোনা কালেই আয় ৩ হাজার কোটি!

Follow Us :

একটা বছর মানে ৩৬৫ দিন। আর তা করোনা কালেও একই ছিল। আর তারই মধ্যে আয় ৩৭৩০ কোটি টাকা! প্রতিদিন প্রায় ১০ কোটি টাকা করে আয়। ২০২০-২১ সালের বার্ষিক আয় – ব্যয়ের হিসাব তো তাই বলছে। হতে পারে এই সময় সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বোর্ডের সভাপতি। কিন্তু এটা ভারতীয় ক্রিকেট বলেই সম্ভব। বিশ্ব ক্রিকেটে তাই ভারতের “দাদাগিরি” মানানসই।

শনিবার ছিল বোর্ডের বিশেষ বার্ষিক সাধারণ সভা। সেখানেই এই হিসেব পেশ করা হয়।
সৌরভ আর জয় শাহের জুটি এই মহামারীতেও কোটি কোটি আয় করে নিয়েছে!

আসলে বিসিসিআই বিশ্বের অন্যতম ধনী সংস্থা হতে পারে কারণ অতি পেশাদার মানসিকতা নিয়ে নানান চ্যালেঞ্জ নিতে পারে। প্রথম
করোনা আক্রমণের মাঝে পরিস্থিতি যখন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে ছিল, তখন দেশের মাঠে সফলভাবে ইংল্যান্ড সিরিজও আয়োজন করেছিল বিসিসিআই। এমনকি কয়েকটি সীমিত ওভারের ফরম্যাটে তো সীমিত সংখ্যক দর্শক নিয়েই খেলা হল।

বিসিসিআই কিন্তু নিজের দেশে ঘরোয়া ক্রিকেট আয়োজন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সিরিজ বা টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ, মহিলাদের ক্রিকেট, স্পন্সরশিপ, বড় টুর্নামেন্ট আয়োজন করে আইসিসির কাছ থেকে অর্থ আদায়, টিকিট বিক্রির টাকা- সবমিলিয়ে ক্রিকেটে থেকে অর্থ কিভাবে তোলা যায় তা দেখিয়ে দিয়েছে।

বিশ্বের সব দেশের ক্রিকেট বোর্ডই নিজেদের আয়ের মাপকাঠি মেপে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের সঙ্গে এক একটি বছরের চুক্তি করে। এখন অধিকাংশ দেশের ক্রিকেট বোর্ড নিজস্ব ওয়েবসাইট করে ফেলেছে। সব ধরনের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে এইসব ওয়েবসাইটে আর্থিক বিষয়টি দেওয়া হয়। আর প্রত্যেক বছরের ব্যালেন্স শিট মিলিয়েই দেখা যায় কোন বোর্ড কত অর্থ উপার্জন করে চলেছে।

এই করোনা কম্পনে ক্রিকেট অর্থনীতিতে বেজায় ধাক্কা সমস্যার জন্ম দিয়েছে। একের পর এক বড় টুর্নামেন্ট বাতিল, দ্বিপাক্ষিক সিরিজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অর্থ উপার্জন করতে গিয়ে বিশ্বের ধনীতম ক্রিকেট বোর্ড রীতিমত হিমশিম খেয়েছে।

তবে অতিমারীতেও বিসিসিআই লাভের মুখ দেখেছে। বিশ্বের বাকি সব দেশের তুলনায় অর্থ উপার্জনে এখনো শীর্ষে। এই অতিমারীর মধ্যেও। গত বছর অতিমারীর কারণে ভারত একাধিক দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে না পারলেও, আমিরশাহিতে আইপিএল আয়োজন করে বিশাল লাভের মুখ দেখেছে। আইপিএল স্পনসরশিপ এবং সম্প্রচার স্বত্ত্ব বাবদ বিশাল অর্থ পেয়ে থাকে বিসিসিআই। তাই বিদেশে কোনো দর্শক ছাড়াও আইপিএল আয়োজন করলেও সমস্যা হয়নি বিসিসিআইয়ের। লাভের অংক ঠিক ঘরে তুলেছে বোর্ড।

এছাড়াও করোনা পরিস্থিতি যখন কিছুটা উন্নত ছিল, তখন দেশের মাঠে সফলভাবে ইংল্যান্ড সিরিজও আয়োজন করেছে বিসিসিআই। সীমিত ওভারের ফরম্যাটে তো কিছু দর্শক নিয়েই খেলা হয়েছিল। যদিও টেস্টগুলি খেলা হয়েছিল ফাঁকা স্টেডিয়ামে ।

গত আর্থিক বছরে (২০২০/২১) কোন দেশের ক্রিকেট বোর্ড কত টাকা উপার্জন করল, তা একবার দেখে নেওয়া যাক-

* বিসিসিআই: ৩৭৩০ কোটি টাকা
* ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া: ২৮৪৩ কোটি টাকা
* ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড: ২১৩৫ কোটি টাকা
* পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড: ৮১১ কোটি টাকা
* বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড: ৮০২ কোটি টাকা
* দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেট বোর্ড: ৪৮৫ কোটি টাকা
* নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড: ২১০ কোটি টাকা
* ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড: ১১৬ কোটি টাকা
* জিম্বাবোয়ে ক্রিকেট বোর্ড: ১১৩ কোটি টাকা
* শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড: ১০০ কোটি টাকা

এবারের আইপিএল মাঝপথে আটকে গেছে বায়ো বাবলের মধ্যেও সংক্রমণ হওয়ায়। সেই সময়ে বোর্ড সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় স্বয়ং জানিয়েছিলেন, চলতি বছরে আইপিএল আয়োজন করতে না পারলে ২৫০০ কোটির বেশি টাকা ক্ষতি হবে বোর্ডের। সকলে জেনে গেছেন আইপিএল-১৪ র বাকি ৩১ টি ম্যাচ সেপ্টেম্বর – অক্টোবর মাসে আরব আমির শাহিতে হতে চলেছে। এরপর ভারত টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজক। অর্থাৎ ২০২১-২০২২ আর্থিক বর্ষের আয় আরও বাড়িয়ে নিতে পারবে বিসিসিআই।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular