কলকাতাঃ দুই বাসের রেষারেষির মুখে পড়ে প্রাণ গেল এক স্কুল পড়ুয়ার। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় সল্টলেক ২ নম্বর গেটের সামনে। ফের প্রশ্নের মুখে মুখে ট্রাফিক পুলিশের ভূমিকা। এই আবহেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মৃত পড়ুয়ার অভিভাবকদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, গতকালই দু’দিনের জন্য উত্তরবঙ্গ সফরে গেছেন মুখ্যমন্ত্রী। উত্তরবঙ্গ থেকে এখনও ফেরেন নি তিনি। চলছে বিভিন্ন বৈঠক। সেখান থেকেই দুর্ঘটনার খবর সামনে আসায় তৃণমূল সুপ্রিমো ফোন করেন নিহত পড়ুয়ার পরিবারকে।
আরও পড়ুনঃ বেপরোয়া গতির বলি খুদে পড়ুয়া
দুপুরবেলা কলকাতার সল্টলেকে এই ঘটনা ঘটে। তখন মুখ্যমন্ত্রী পাহাড়ের উন্নয়নের জন্য বৈঠক করছিলেন। দুই বাসের রেষারেষিতে স্কুলছাত্রের মৃত্যুর খবর পাওয়া মাত্রই বৈঠক থেকেই টেলিফোনে পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তীর সঙ্গে কথা বলেন তিনি। শুধুমাত্র তাই নয়, ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী এতটাই ক্ষুব্ধ হন যে তিনি ফোনেই পরিবহণ মন্ত্রীকে নির্দেশ দেন, অবিলম্বে বাসের রেষারেষি বন্ধ না হলে তিনি চালকদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় খুনের মামলা রুজু করার প্রস্তাব দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ স্কুল ছুটির পর তৃতীয় শ্রেণীর এক ছাত্র তার মায়ের সঙ্গে বাড়ির পথে যাচ্ছিল। সেই সময় দু’টি বাস রেষারেষি করছিল। দু’টি বাসের মধ্যে একটি বাস পিষে দেয় ওই পড়ুয়াকে। সল্টলেক-হাওড়া রুটের বাসের চাকার তলায় পিষ্ট হয়ে মারা যায় ওই পড়ুয়া। তারপরই উত্তাল হয় গোটা এলাকা। স্থানীয়রা ভাঙচুর চালায় দু’টি বাসেই। করেন রাস্তা অবরোধ। বিক্ষোভের জেরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে বাইপাস। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন পুলিশ। কিন্তু পুলিশের বাঁধাকে অগ্রাহ্য করেই চলে বিক্ষোভ। দফায় সফায় স্থানীয় বাসিন্দারা বিক্ষোভ চালাতে থাকেন। দীর্ঘ বিক্ষোভের পর, পুলিশের সঙ্গে বৈঠকে বসতে রাজি হন বিক্ষোভকারীরা।
দেখুন অন্য খবরঃ