কলকাতা: সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে আরজি কর কাণ্ডে নির্যাতিতার বিচারের মামলায় গাফলতির অভিযোগ তুলে আজ ডাক্তারদের পক্ষ থেকে সিজিও কমপ্লেক্স অভিযান। যা ঘিরে সিজিও কমপ্লেক্স চত্বর জুড়ে বাঁধে ধুন্ধুমার। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় পুলিশ। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পরেন ডাক্তাররা।
ডাক্তারদের তরফ থেকে প্রতীকী তালা নিয়ে সিজিও কমপ্লেক্স অভিযানে নামেন ডাক্তার-সহ একাধিক সংগঠন। আর সেই অভিযানেই পুলিশ বাঁধা দিলে ডাক্তারদের সঙ্গে পুলিশের শুরু হয় ধস্তাধস্তি। যার জেরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। ঘটনায় আটকে যায় রাস্তা। ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকা জুড়ে।
আরও পড়ুন: আবাস যোজনা নিয়ে বড় ঘোষণা কেন্দ্রের
উল্লেখ্য, গত ৯ অগাস্ট আরজি কর হাসপাতালে ঘটে যায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। কর্মরত অবস্থায় রাতের অন্ধকারে ধর্ষণ করে খুনের করা হয় আরজি করের এক ট্রেনি চিকিৎসককে। সেই ঘটনায় তারপর থেকেই উত্তাল হয় গোটা দেশ সহ রাজ্য। প্রথমে ঘটনার তদন্ত থাকে কলকাতা পুলিশের হাতে। ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে। কলকাতা হাইকোর্টে চলতে থাকে এই মামলার তদন্ত। হাইকোর্টের তরফ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই এই ঘটনার তদন্ত করবে। সিবিআইয়ের তরফ থেকে ধর্ষণ এবং খুন মামলায় সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়-সহ গ্রেফতার করা হয় আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ, এবং টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে। সন্দীপ ঘোষ শুধুমাত্র ধর্ষণ খুন মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হন নি পাশাপাশি আরজি করে আর্থিক দুর্নীতির মামলাতেও তিনি গ্রেফতার হন। তবে সিবিআই ৯০ দিন পেরিয়ে গেলেও সঠিক চার্জশিট কোর্টে পেশ করতে না পারায় ধর্ষণ-খুন মামলায় জামিন পান সন্দীপ ঘোষ সহ টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডল। আর তারপর থেকেই আবারও সরব হন ডাক্তাররা। বিভিন্ন সংগঠন সহ ডাক্তারদের স্পষ্ট দাবি সিবিআইয়ের গাফিলতির কারণে নির্যাতিতা সঠিক বিচার পাচ্ছেন না। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় আবারও আন্দোলনের পথে নামতে চলেছেন জুনিয়ার চিকিৎসকেরা তা স্পষ্টত ইঙ্গিত করেছেন। ইতিমধ্যেই হাইকোর্টেও দ্বারস্থ হন তারা আন্দোলনের অনুমতি চেয়ে। যাতে অনুমতিও দেয় হাইকোর্ট। আর তারপরেই আজ সিজিও কমপ্লেক্স অভিযানে নামেন ডাক্তার সংগঠন। অন্যদিকে সূত্র মারফত খবর, আজ সন্ধ্যেবেলা সাংবাদিক বৈঠক করতে চলেছেন জুনিয়ার চিকিৎসকেরা। সেখান থেকে কি এবার বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দিতে চলেছেন তাঁরা? উঠছে প্রশ্ন।