পূর্ব বর্ধমানঃ গরু বোঝাই গাড়িকে আটক করে তোলাবাজির অভিযোগে পূর্ব বর্ধমানের পালসিট থেকে গ্রেফতার করা হলো পাঁচ দুষ্কৃতীকে। ঘটনার খবর সামনে আসার পর জেলা জুড়ে ছড়িয়েছে আলোড়ন।
পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাতে জাতীয় সড়ক দিয়ে যাচ্ছিল একটি গরু বোঝাই গাড়ি। গাড়িটি মেমারি থানার পালসিট এলাকায় পৌঁছনোর পরই কিছু দুষ্কৃতী গাড়িটিকে বেআইনি ভাবে আটক করে ভয় দেখিয়ে চালকের কাছ থেকে ৫ দুষ্কৃতী ১২০০টাকা তোলাবাজি করে। শুধুমাত্র তাই নয়, চালকের ফোন ছিনিয়ে নেয় দুষ্কৃতীরা। ভেঙে দেওয়া হয় ফোন। এমনকি গাড়ির চালক এবং খালাসিকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগও ওঠে ৫ দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন ঃ মাঠে ফিরেই চার উইকেট, বাংলাকে উদ্ধার করলেন শামি
ঘটনায় গুরুতর আহত হন চালক মেঘদূত পাল। সেই অবস্থাতেই চালক পালসিট থানাতে অভিযোগ দায়ের করতে যায়, কিন্তু সেখানে তার কোন কথাই শোনা হয়নি বলে অভিযোগ তোলেন তিনি। তারপর সেই গাড়ি চালক পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ সুপারকে গোটা ঘটনার বিষয় বিস্তারিত জানান। পরবর্তী ক্ষেত্রে মেমারি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন গাড়ি চালক মেঘদূত পাল।
অভিযোগ পেয়েই মেমারি থানার পুলিশ তদন্তে নামে। তদন্তে নেমে পাল্লা রোড থেকে গ্রেফতার করা হয় ৫ দুষ্কৃতীকে। তারপরই গতকাল অর্থাৎ বুধবার ৫ দুষ্কৃতীকে পেশ করা হয় বর্ধমান আদালতে। বিচারক তাদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। পাশাপশি দোষী ব্যক্তিদের চিহ্নিতকরণের জন্য পুলিশের আবেদনে টিআই প্যারেডের সম্মতি জানিয়েছেন বিচারক। আগামী ১৬নভেম্বর বর্ধমান কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে এই টিআই প্যারেড হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে তৃতীয় জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট।
উল্লেখ, ধৃতদের পরিচয় দেওয়া হয়েছে বর্ধমান কোর্টের পক্ষ থেকে। ধৃতরা হলো সন্তু ঘোষ, কামাল মন্ডল ওরফে ছোটন, সোমনাথ পালিত, দেব্রজিৎ ঘোষ ওরফে দেবু ও বিপদতারণ রায়। ধৃতদের কারুর বাড়ি আউসগ্রাম, আবার কেউ গুসকরা, ভাতার, মেমারি এলাকার বাসিন্দা। ধৃতরা সকলেই মেমারি থানার ডাক পার্টির কাজ করতো বলে সূত্র মারফত জানা গেছে।
দেখুন অন্য খবর