সাম্প্রতিক কালের ফুটবল বিশ্বের সবচেয়ে বড় অঘটনটি ঘটল বৃহস্পতিবার রাতে। বিশ্ব কাপ কোয়ালিফাইং রাউন্ডের প্লে অফ ম্যাচে হেরে গেল চার বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইতালি। নিজেদের মাঠে হারল কদিন আগেই ইউরো কাপ চ্যাম্পিয়ন ইতালি। তাদের ১-০ গোলে হারাল উত্তর ম্যাসিডোনিয়া। মাদার টেরিজার দেশকে জেতালেন আলেকজান্দার ট্রাজকোভস্কি। ম্যাচের ৯২ মিনিটে গোল করে প্লে অফ ফাইনালে পর্তুগালের সঙ্গে খেলার যোগ্যতা অর্জন করল ৬০ লক্ষ লোকের দেশ উত্তর ম্যাসিডোনিয়া। পোর্তোতে রোনাল্ডোর পর্তুগাল ৩-১ গোলে হারিয়ে দিল তুরস্ককে। প্রথম একাদশের এক গাদা ফুটবলার ছাড়াই পর্তুগালের এই জয় কাতার বিশ্ব কাপে রোনাল্ডোকে দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা আরও উজ্জ্বল করল। আগামি মঙ্গলবার উত্তর ম্যাসিডোনিয়াকে হারাতে পারলেই কাতারে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে পর্তুগাল।
বিভিন্ন কারণে পর্তুগাল তাদের প্রথম একাদশ নামাতে পারেনি। চোটের জন্য দলে ছিলেন না রুবেন ডায়াস, রুবেন নেভেস, পেদ্রো নেটো, রেনেতো স্যাঞ্চেস এবং পেপে। তা সত্ত্বেও নিজেদের মাঠে শুরু থেকেই দাপিয়ে বেড়িয়েছে পর্তুগাল। তবে ভাগ্যও তাদের সহায় হয়েছে। কারণ দ্বিতীয়ার্দ্ধে যখন তুরস্ক গোল করে ম্যাচটা ১-২ করে ফেলেছে তখন পেনাল্টি মিস করেন ব্রুণো ইলমাজ। তার কিছুক্ষণ আগেই তিনি একটি গোল করে ব্যবধান কমিয়েছিলেন। একটু পরেই বক্সের মধ্যে জোস ফঁতে ফাউল করেন এনাস উনালকে। কিন্তু ইলমাজ পেনাল্টি শটটা বারের উপর দিয়ে উড়িয়ে দেন।
১৫ মিনিটের মধ্যেই গোল করে পর্তুগালকে এগিয়ে দেন অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার ওটাভিও। ৪২ মিনিটে সেটা ২-০ করেন ফরোয়ার্ড দিয়েগো জোটা। ৬৫ মিনিটে ইলমাজের গোলে ম্যাচ দাঁড়ায় ২-১। এর পর ইলমাজের পেনাল্টি মিসের পর ৯৪ মিনিটে পরিবর্ত ফুটবলার ম্যাথেউস নুনেস গোল করে পর্তুগালের জয় নিশ্চিত করেন। রোনাল্ডো গোল না পেলেও দলের জয়ে খুবই আনন্দ প্রকাশ করেছেন। ২০১৬ সালে তাঁরই অধিনায়কত্বে পর্তুগাল ইউরো কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। ২০০৬ সাল থেকে তিনি বিশ্ব কাপে খেলছেন। এর পর ২০১০, ২০১৪ এবং ২০১৮ বিশ্ব কাপে খেলেছেন পর্তুগালের হয়ে। এবার কোয়ালিফাই করলে এটা হবে ৩৭ বছর বয়সী রোনাল্ডোর পঞ্চম বিশ্ব কাপ।