কলকাতাঃ বাংলায় এখন নতুন আতঙ্ক ট্যাব কেলেঙ্কারি। অভিযোগ পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্ট থেকে গায়েব হয়ে হচ্ছে ট্যাবের টাকা। আবার জানা যাচ্ছে অন্য অ্যাকাউন্টে চলে যাচ্ছে ট্যাবের টাকা। ট্যাবের টাকা নিয়ে দুর্নীতি হচ্ছে, এই অভিযোগকে সামনে রেখে সোমবার দিনিই বৈঠকে বসেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পান্থ। বৈঠক থেকে মুখ্যসচিব নির্দেশ দেন অবিলম্বে যেন এই কেলেঙ্কারি ছক্র ফাঁস করা হয়। তারপরই ট্যাব কেলেঙ্কারি কাণ্ডে মালদহ থেকে একজনকে গ্রেফতার করা হয়। আর এবার ট্যাব কেলেঙ্কারি কাণ্ডে বাড়ল ধৃতের সংখ্যা। উত্তর দিনাজপুর থেকে আজ গ্রেফতার করা হল আরও ৩ জনকে।
ট্যাব কেলেঙ্কারি কাণ্ডে এর আগে মালদহ জেলার বৈষ্ণবনগর থেকে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। আর আজ, উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া এবং ইসলামপুর থেকে আরও তিনজনকে গ্রেফতার করলও পুলিশ। অভিযোগ এই সব অভিযুক্ত পড়ুয়াদের অ্যাকাউণ্ট হ্যাক করে সরকারের প্রকল্পের টাকা নিজদের অ্যাকাউণ্টে স্থানান্তরিত করছে।
আরও পড়ুন: কালিকাপুরের ঝুপড়িতে বিধ্বংসী আগুন
উল্লেখ্য, রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পে পড়ুয়াদের সুবিধার্থের জন্য একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়াদের ট্যাব কেনার জন্য টাকা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু অভিযোগ, বহু পড়ুয়ার নামে টাকা কাটা হলেও সেই টাকা তাদের অ্যাকাউন্টে ঢুকছেনা। বরং চলে যাচ্ছে অন্য অ্যাকাউন্টে।
এই ঘটনার তদন্তে নেমে প্রথমে মালদহ থেকে গ্রেফতার করা হয় এক ব্যক্তিকে। ধৃত ব্যক্তির নাম হাসেম আলি। ইসলামপুর থেকে ধৃত ব্যক্তি আশারুল হোসেন এবং চোপড়া থেকে ধরা পড়েছেন সাদ্দিক এবং মোবারক হোসেন। পুলিশের প্রথমিক অনুমান ঘটনায় শুধু এই কজনই জড়িত নন, আরও অনেকেই ঘটনার সঙ্গে জড়িত।
জানা যাচ্ছে ট্যাব কেলেঙ্কারির জেরে রাজ্য থেকে প্রায় ২ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। এই পরিস্থিতিকে সামনে রেখে সোমবার পূর্ব মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান, হুগলি, মালদহ এবং দক্ষিণ দিনাজপুরের স্কুল শিক্ষা আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্যের মুখ্যসচিব। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার ছাড়াও স্বরাষ্ট্রসচিব, শিক্ষাসচিব, প্রাক্তন শিক্ষাসচিব। ইতিমধ্যেই ট্যাব কেলাঙ্কারিতে ধৃতের সংখ্যা ৪।
দেখুন অন্য খবর: