কলকাতাঃ আরজি কর কাণ্ড নিয়ে উত্তপ্ত গোটা দেশ। রাতের অন্ধকারে ট্রেনি চিকিৎসককে ওঠে খুন এবং ধর্ষণ করার অভিযোগ। নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে জুনিয়র চিকিৎসকেরা এখনও আন্দোলনরত। আর সেই আবহেই, আরজি করের এক নার্সিং পড়ুয়া আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন বলে জানা যাচ্ছে। ঘটনার জেরে উত্তপ্ত আরজি কর হাসপাতাল চত্বর। ছড়িয়েছে আতঙ্ক।
জানা যাচ্ছে, রুমমেটের সঙ্গে বচসার জেরেই নার্সিং পড়ুয়া আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তড়িঘড়ি সেই খবর পেয়ে পড়ুয়ার বন্ধুরা তাঁকে উদ্ধার করে। ভর্তি করানো হয় আরজি করের ট্রমা কেয়ার উনিটে। তবে আপাতত, সেই পড়ুয়ার অবস্থা স্থিতিশীল বলেই জানানো হয়েছে হাসপাতালের তরফ থেকে।
উল্লেখ্য, গত ৯ অগাস্ট আরজি করে ঘটে যায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। এক ট্রেনি চিকিৎসককে ওঠে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ। আপাতত সেই ঘটনার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে। সুপ্রিম কোর্টে চলছে শুনানি। ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে সিভিক ভলাণ্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে। সিবিআই হাফাজতে তিনি।
আরও পড়ুন : ঝাড়গ্রামে চিকিৎসক মৃত্যুতে বাড়ছে রহস্য
দুদিন আগেও ঝাড়গ্রামে এক চিকিৎসকের রহস্য মৃত্যুর খবর সামনে আসে। তারপর থেকেই শুরু হয় জল্পনা। ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজের অ্যানাস্থেসিয়া বিভাগের ছাত্র দীপ্র ভট্টাচার্যের নিথর দেহ গত বৃহস্পতিবার উদ্ধার হয় তাঁর ফ্ল্যাট থেকেই। তড়িঘড়ি ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে বলা হয়, মৃত চিকিৎসকের শরীরে কোনও কিছু একটা ইনজেক্ট করা হয় যার জেরে মাল্টি অর্গান ফেলিওর হয়ে মৃত্যু কোলে ঢলে পরেন দীপ্র। শুধুমাত্র তাই নয়, দীপ্রর নিথর দেহ উদ্ধারের আগে দীপ্রর ফোন থেকে একটি মেসেজ বিভিন্ন নম্বরে ফরওয়ার্ড হয়। সেই মেসেজে নিহত চিকিৎসক ‘থ্রেট কালচার’ নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। বিভিন্ন গ্রুপে পাঠানো শেষ হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে দীপ্র লিখেছে, “বছর দেড়েক আগেও তিনি আরজি করে ছিলেন। অধ্যাপকরাও চাকরি বাঁচাতে দুর্নীতিতে মদত দেন।” তিনি আরও লেখেন, “যদি আন্দোলনরত ডাক্তারদের ফেল করিয়ে দেওয়া হয় বা কেউ থ্রেট দেয়, তাহলে সেই ব্যক্তিকে আমার আত্মা তাড়া করে বেড়াবে, ছিন্ন ভিন্ন করে দেব।”
আর তার দু’দিনের মাথায় আবারও আরজি করের এক নার্সিং পড়ুয়া আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন, যা নিয়ে ফের প্রশ্নের মুখে আরজি কর হাসপাতাল।
অন্য খবর দেখুন ঃ