মুম্বই: আট কোটি টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ। নারকোটিক কন্ট্রোল ব্যুরোর অফিসার সমীর ওয়াংখাড়ের বিরুদ্ধে এ বার বিভাগীয় তদন্তে নামল এনসিবি। পাঁচ সদস্যের তদন্তকারী দল বুধবার নয়াদিল্লি থেকে মুম্বই পৌঁছেছে। তদন্তের শুরুতেই মুম্বই মাদক মামলার অন্যতম দুই প্রত্যক্ষদর্শী কে ভি গোসাভি এবং প্রভাকর সেইলের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন তদন্তকারীরা।
আরিয়ান খান মাদক মামলায় এনসিবি’র তদন্তকারী অফিসার সমীর ওয়াংখাড়ে। অভিযোগ এই মামলার অন্যতম প্রত্যক্ষদর্শী কে ভি গোসাভির মাধ্যমে তিনি শাহরুখ খানের কাছ থেকে আট কোটি টাকা ঘুষ নিয়েছেন। এই অভিযোগ জানিয়ে একটি হলফনামা দায়ের করেছেন গোসাভির ব্যক্তিগত দেহরক্ষী প্রভাকর সেইল। তিনি জানিয়েছেন, ‘গোসাভি ফোনে শাহরুখের ম্যানেজার পূজা দাদলানির সঙ্গে যোগাযোগ করেন।’ এরপর গোসাভি তাঁর দেহরক্ষী সেইলকে পাঠায় ঘুষের টাকা নিয়ে আসার জন্য। প্রথমে পঞ্চাশ লক্ষ টাকা নেয় সেইল। গোসাভির দেহরক্ষী সেইল এই সমস্ত তথ্যই হলফনামার মাধ্যমে আদালতে জমা দিয়েছে। যার ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু করেছে এনসিবি।
আরও পড়ুন-বেসরকারি হাসপাতালে সন্তান প্রসব ও ছানি অপারেশন ছাড়া সব ক্ষেত্রেই স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে চিকিৎসা
এনসিবির ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল জ্ঞানেশ্বর সিংয়ের বক্তব্য, মুম্বইয়ের দক্ষিণ-পশ্চিম শাখার অফিসের মাধ্যমে দুই প্রত্য়ক্ষদর্শীকে নোটিস পাঠানোর কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু গোসাভি বা সেইল কারও সঙ্গেই যোগযোগ করা যায়নি। তাই মিডিয়ার মাধ্যমেই দুই প্রত্যক্ষদর্শীর কাছে আবেদন রাখছেন তাঁরা। বান্দ্রার সিআরপিএফ ক্যাম্পে হাজির হতে বলা হয়েছে গোসাভি এবং সেইলকে। উপযুক্ত তথ্য-প্রমাণ পেশ করতে বলা হয়েছে।
প্রভাকর সেইল হচ্ছেন কে ভি গোসাভি’র ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী। আর গোসাভি হচ্ছেন সেই রহস্যময় ব্যক্তি এনসিবি’র তল্লাশি অভিযানে যাঁকে দেখা গিয়েছিল। দেখা গিয়েছিল আরিয়ান খানকে সঙ্গে নিয়ে গোসাভি বেরিয়ে আসছেন তল্লাশির পর।
আরও পড়ুন-পাকিস্তানের সরকারি চ্যানেলে অন-এয়ার কথা কাটাকাটি, রেগে শো ছেড়ে বেরিয়েই গেলেন শোয়েব আখতার
পরে এনসিবি জানায়, গোসাভি নারকোটিক কন্ট্রোল ব্যুরোর সদস্য নন। একজন প্রাইভেট ডিটেকটিভ। এবং ঘটনার একজন প্রত্যক্ষদর্শী। প্রশ্ন ওঠে এনসিবির তল্লাশিতে কি কোনও বেসরকারি গোয়েন্দা থাকতে পারেন? আরিয়ান খানের সঙ্গে তোলা গোসাভির একটি সেলফি সোশাল মিডিয়ায় ঘুরতে থাকে। এর পর থেকেই বেপাত্তা কে ভি গোসাভি।