বীরভুম: গরু পাচার কাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডলের প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। এদিন সায়গলকে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে তোলা হলে তাকে ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক রাজেশ চক্রবর্ত্তী। অবশেষে দুই পক্ষের আইনজীবির শুনানি শোনার পর আগামী ১৮ আগস্ট পরবর্তী শুনানির নির্দেশ দেয়।
পাশাপাশি যেহেতু সায়গলের ৬০ দিন জেল হেফাজত হওয়ার কারণে বিচারক আগামী ৮ অগাস্ট জামিনের শুনানির দিন ধার্য্য করেন। কিন্তু যদি সিবিআই আদালতে এই কেসের চার্জশিট জমা না দেয় তবেই ৮ অগাস্ট শুনানি হবে। অন্যদিকে, আগামী সোমবারই অর্থাৎ ৮ অগাস্ট সিজিও কমপ্লেক্সে অনুব্রত মণ্ডলকে গরু পাচার কাণ্ডে ফের তলব করেছে সিবিআই। ওইদিন সকাল ১১টায় নিজাম প্য়ালেসে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছে সিবিআই।
আরও পড়ুন: Anubrata Mandal: গরু পাচার-কাণ্ডে ফের অনুব্রত মণ্ডলকে সিবিআই তলব
বুধবারই অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ বীরভূম জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আব্দুল করিম খানের ঘনিষ্ঠ মুখতার শেখের মোবাইল বাজেয়াপ্ত করে সিবিআই। তাঁর বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বেশ কিছু নথিও। সেগুলি হেফাজতে নেয় সিবিআই।
ওইদিনই বীরভূমের একাধিক জায়গায় পৃথকভাবে সিবিআই ও ইডি হানা দেয়। শান্তিনিকেতনের রতনকুটির গেস্ট হাউস থেকে দুটি দলে বিভক্ত হয়ে নানুরের বাসাপাড়া ও সিউড়ির দিকে যায় তদন্তকারী অফিসারেরা। তৃণমূলের জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আব্দুল করিম খান ও সিউড়ির পাথর ব্যবসায়ী টুলু মণ্ডলের বাড়িতেও হানা দেয় তারা।
একইসঙ্গে আব্দুল করিম খানের ঘনিষ্ঠ মুখতার শেখের বাড়িতে যায় ৪ সদস্যের সিবিআই প্রতিনিধি দল। সকাল ৮টা থেকে টানা তল্লাশি চালানো হয় প্রায় দুপুর ১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত। মুখতার শেখ জানিয়েছেন, তল্লাশি করে বিশেষ কিছু পাওয়া যায়নি। তবে, বেশ কিছু নথি ও তাঁর মোবাইল ফোনটি বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে গিয়েছে সিবিআই।