আলিপুরদুয়ারঃ অতিমারিতেও গোরু পাচার বন্ধ নেই৷ শ’য়ে শ’য়ে গোরু ছোটো দলে ভাগ করে পাচার হয়ে যাচ্ছে৷ জাতীয় সড়ক ধরে অসম সীমানা, মাথাভাঙা, দিনহাটায় হাঁটিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে৷ দালালের নির্দেশ মতো গোরু গুলিকে হাঁটিয়ে নির্দিষ্ট ঠিকানায় পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্বে থাকছেন ‘ডাঙ্গোয়াল’রা। নামটা অদ্ভুত হলেও গোরুর কারবারীদের কাছে তাঁরাই ‘মসিহা’ হয়ে উঠেছেন। কিন্তু, ডাঙ্গোয়ালদের বেশির ভাগের বয়স ষাট ছুঁই ছুঁই বা তারও বেশি।
সূত্রের খবর, দৈহিক পরিশ্রমের ক্ষমতা হারিয়ে পেটের দায়ে গোরু স্থানাল্তর করেন তাঁরা। গোরু পিছু কিলোমিটার প্রতি মাত্র এক টাকা পঁচিশ পয়সার পানা তাঁরা৷ বিনিময়ে রোদ-বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে চলতে থাকে তাঁদের অনন্ত পথ চলা। একটি গোরুর কত দাম, জানেন না তাঁরা। তবে, গন্তব্যে পৌঁছনোর আগে গোরুর কোনো ক্ষতি হলে পুরো দায় ডাঙ্গোয়ালদের৷ দিনের পর দিন বিনে পয়সার কাজের বিনিময়ে দালালদের ঋণ শোধ করতে হয় মুখ বুজে। প্রাণের ভয়ে মুখ খুলে কথাও বলতে চান না তাঁরা। ছবি তোলাতেও প্রবল আপত্তি তাঁদের৷ বহু জিজ্ঞাসার পর তাঁদের মধ্যে ইদ্রিশ আলি জানান, সারা পথ তাঁদের উপর দালাল বাহিনীর কড়া নজর থাকে৷ গোরু কোথা থেকে কোথায় নিয়ে যাওয়া সে বিষয়ে মুখ খোলা বারণ৷ জয়গাঁ’র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কুন্তল বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, গোরু পাচার হলে গুরুত্ব দিয়ে নজরদারি চালানো হবে৷