
ঝালদা: সাত কাণ্ড রামায়ন পড়া হয়ে গিয়েছে। হারিয়ে যাওয়া মোবাইল নিয়ে বিরোধীদের ধারালো বাণের বন্যাও বয়ে গিয়েছে। অবশেষে সেই হারিয়ে যাওয়া মোবাইল-রহস্যের জলের মতো সমাধান করল সিবিআই। ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনের অন্যতম সাক্ষী মৃত নিরঞ্জন বৈষ্ণবের ঘর থেকে উদ্ধার হল সেই রহস্যময় মোবাইল।
গত ৬ এপ্রিল সকালে এই বাড়ি থেকেই ঝুলন্ত অবস্থায় নিরঞ্জনের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিস। তারপর থেকে তাঁর মোবাইলটি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। প্রায় ১৫ দিন পর শুক্রবার বিকেলে সিবিআইয়ের একটি দল তাঁর বাড়িতে আসে। সেখান থেকেই উদ্ধার করা হয় মোবাইলটি। নিহতের বউদি পবিতা বৈষ্ণব জানান, এদিন তাঁর ঘর থেকেই সিবিআই মোবাইলটি উদ্ধার করে। টিভির কাছেই মোবাইলটি সুইচড অফ করা ছিল। আশা করি, এবার সঠিকভাবে তদন্ত করতে এই মোবাইলটি সাহায্য করবে। উঠে আসবে কারা ফোন করত। বেরিয়ে আসবে আসল রহস্য।
আরও পড়ুন:Bengal BJP: সময় হলেই সব ঠিক হয়ে যাবে, দিলীপের কটাক্ষের পরও চুপ সুকান্ত
কিন্তু, প্রশ্ন হচ্ছে— তদন্তে নেমে পুলিস নিরঞ্জন বৈষ্ণবের মোবাইলটির খোঁজ পায়নি কেন? আর কেনই বা গত ১৫ দিন ধরে নিরঞ্জন বৈষ্ণবের বাড়ির লোকজন মোবাইল পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগের সুরে কথা বলছিলেন। যেখানে মোবাইলটি বিরাট কোনও গোপন জায়গা থেকে সিবিআই খুঁজে বের করেনি। টিভির কাছেই সেটি পাওয়া গিয়েছে। তাহলে উধাও হওয়া মোবাইলের পিছনে আসল রহস্য কী?
থানায় গিয়ে ভাইয়ের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনার অভিযোগ করেছিলেন দাদা নেপাল বৈষ্ণব। তিনি তখনই বলেছিলেন, ভাইয়ের দেহের ময়নাতদন্তের পর শেষকৃত্য সম্পন্ন। কিন্তু এখনও নিরঞ্জনের মোবাইল পাওয়া যায়নি। মৃ্ত্যুর অভিযোগ পেয়ে ঝালদা থানার পুলিস তাঁদের বাড়িতেও আসে। একাধিক বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করে। নিরঞ্জনের ঘরে নিখোঁজ মোবাইলের সন্ধান চালায়। কিন্তু না পেয়ে পুলিস ফিরে যায়।