
ভাঙ্গড়: পথ দুর্ঘটনায় ভেঙেছে পা। অর্থের অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছিলেন না। এদিক ওদিক ঘুরে যখন দিশেহারা তখন মাথায় আসে দুয়ারে সরকারে করা স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের আবেদনের কথা। যেই ভাবনা সেই কাজ। স্বাস্থ্যসাথীর কার্ডে আবেদনের রশিদ নিয়ে সঠান হাজির বিডিও সাহেবের কাছে। বিডিও সাহেবের তৎপরতায় বেসরকারি নাসিংহোমে বানানো স্বাস্থ্যসাথীর কার্ডে পেলেন রোগী। চিকিৎসা নিশ্চিত হতেই বিষন্নতার মাঝে ঠোঁটের কোণে হাসি বৃদ্ধা।
ঘটনাটি দক্ষিণ ২৪ পরগণার ভাঙড়ের চড়িশ্বরের। গত বৃহস্পতিবার ষাটর্দ্ধো রসিদ তরফদার ভোজেরহাট থেকে পা ভ্যানে চড়িশ্বরে নিজের বাড়ি ফিরছিলেন। হঠাৎ সামনের দিক থেকে আসা একটি জেসিবি তাঁকে ধাক্কা মারে বলে অভিযোগ। ঘটনায় পা ভাঙে রসিদের। অর্থের অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছিলেন না।
আরও পড়ুন টানা বৃষ্টিতে জমছে জল, আশঙ্কা যানজটের, পরিস্থিতি মোকাবিলার আশ্বাস দিচ্ছে লালবাজার
ভাঙা পায়ের অবস্থার অবনতি হতে থাকলে বাধ্য হয়ে ঘটকপুকুরের একটি বেসরকারি নাসিংহোমে ভর্তি হন। কিন্তু টাকা আসবে পাবে কোথায় থেকে? এই ভাবনা যখন গ্রাস করেছে, তখন মাথায় আসে দুয়ারে সরকার ক্যাম্পের কথা।
কদিন আগে চড়িশ্বরে হওয়া দুয়ারে সরকার ক্যম্পে স্বাস্থ্যসাথীর কার্ডের জন্য আবেদন করেছিলেন পরিবারের সদস্যরা। সেই আবেদনের রসিদ নিয়ে সোমবার দুপুরে ভাঙর ২ বিডিও কার্তিক চন্দ্র রায়ের দারস্থ হন পরিবারের সদস্যরা। বিডিও সাহেব নিজে উদ্যোগ নিয়ে কাশিপুর থানার ওসিকে সঙ্গে নিয়ে রাতেই নাসিংহোমে উপস্থিত হয়ে সেখানেই স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড বানিয়ে তাঁদের হাতে তুলে দেন। প্রশাসনিক আধিকারিকদের এমন সহযোগিতায় খুশি রসিদের পরিবার।