২৪ ঘণ্টা কেটে গেলেও এখনও অব্যাহত রেল অবরোধ কুরমি জাতির। কুরমি জাতিকে তপশিলি উপজাতি তালিকাভুক্ত করার দাবি সহ কুরমালি ভাষাকে সংবিধানের অষ্টম তপশিলে তালিকাভুক্ত ও অবিলম্বে সারনা ধর্মের কোড চালু করার দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য রেল অবরোধ। ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে অবরোধ ও ধর্না চালিয়ে যাচ্ছে আন্দোলনকারীরা।
মঙ্গলবার ভোরবেলা থেকে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের আদ্রা চান্ডিল শাখার কুস্তাউর স্টেশনে ও নিমডি স্টেশনে অবরোধ শুরু করে পূর্বাঞ্চল আদিবাসী সমাজের নেতৃত্ব ও সমর্থকেরা। আন্দোলনের জেরে সমস্যায় পড়েছেন রেলযাত্রী। ইতিমধ্যেই আদ্রা ডিভিশনের পক্ষ গতকাল বিজ্ঞপ্তি দিয়ে প্রায় ১৭টি ট্রেন বাতিল ও ১২টি প্যাসেঞ্জার ও এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রা পথ কমিয়ে দেওয়া হয়। পাশাপাশি ১৩টি ট্রেনকে অন্য পথে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। গতকাল বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এদিন গোলকুণ্ডা এলাকায় পুরুলিয়া-বরাকর রাজ্যসড়ক অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা। সমস্যায় পড়েন স্কুল পড়ুয়া থেকে সাধারণ যাত্রীরা। সন্ধ্যার ত্রটা নাগাদ অবরোধ তুলে নেয় আন্দোলনকারীরা।
আরও পড়ুন: Tala Bridge: বৃহস্পতিবার খুলছে টালা ব্রিজ, পুজোর আগে কলকাতাবাসীকে উপহার মুখ্যমন্ত্রীর
বাতিল করা হয়েছে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনও। সেগুলি হল, চক্রধরপুর-টাটানগর-খড়্গপুর, টাটানগর-খড়্গপুর প্যসেনঞ্জার, চক্রধরপুর-গোমো এক্সপ্রেস, খড়্গপুর-ঝাড়গ্রাম স্পেশাল (দুটি ট্রেন), খড়্গপুর-টাটানগর স্পেশাল, ধানবাদ-ঝাড়গ্রাম এক্সপ্রেস, আসানসোল-রাঁচী প্যাসেনঞ্জার। বাতিল করা হয়েছে হাওড়া-মুম্বই দুরন্ত এক্সপ্রেস।
গতকাল সন্ধ্যায় পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার-সহ একজন জেলা প্রশাসনের কর্তা ও দক্ষিণ-পূর্ব রেলের আদ্রা ডিভিশনের বেশ কয়েকজন আধিকারিক আন্দোলনকারীদের নেতা অজিত মাহাতোর সঙ্গে আলোচনা করলেও আন্দোলন থেকে সরে আসতে নারাজ। অজিত মাহাতোর ৪৮ ঘন্টা অতিক্রান্ত না হলে কোনওভাবেই আলোচনায় বসা যাবে না। ফলত খালি হাতে ফিরে আসতে হয় রেল ও জেলা প্রশাসনের কর্তাদের। বুধবার অন্যান্য সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে আন্দোলনকারীদের তরফে জানা গিয়েছে। পরে রাজ্য প্রশাসনের তপশিলি জাতি ও আদিবাসী দফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি এবং রাজ্যের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি সহ সিআরআই দফতরের ডিরেক্টরকে উপস্থিত থাকতে হবে তারপরেই আলোচনা হবে বলেও জানান তাঁরা।