‘মুকুটটা তো পড়েই আছে, রাজাই শুধু নেই।‘ বাড়ি আছে, লোকজন আছে, পরিবার-পরিজন আছে। শুধু কুলতিলকই নেই। হ্যাঁ, অনুব্রত মণ্ডলের গ্রামের বাড়িতে এবারেও হচ্ছে পারিবারিক দুর্গাপুজো। কিন্তু, তিনি নেই। ফলে, সবকিছুর মধ্যেও যেন একটা অভাব হা-হা রবে ঘুরে বেড়াচ্ছে ঠাকুরদালান-অলিন্দের চারপাশে।
অন্যান্যবার এই বাড়িতেই যেন আলোর রোশনাই জ্বলে ওঠে। যাঁর কথায় বীরভূমের গাছের পাতা নড়ে, সেই কেষ্টদার বাড়ির পুজো মানে গোটা হাটসেরান্দি গ্রামের চেহারায় যেন জৌলুস ফুটে উঠত। জমিদারবাড়ির ধাঁচে লোকলস্কর, পুলিশ, মোসাহেবের দলে চারদিন গমগম করত বাড়ির চারধার। কারণ কেষ্ট এসেছেন পুজোয়। আর এবার সবকিছু নিয়মমতেই চলছে। শুধু বংশের পিদিম এখন গারদঘরে। ফলে, দুর্গাপুজোর এই আনন্দেও যেন মণ্ডলবাড়ির অন্দরে সর্বক্ষণ বিজয়ার সুর।
আরও পড়ুন: Mid-day Meal Scheme: মিড ডে মিলের খরচ বাড়াচ্ছে কেন্দ্র, স্কুল পড়ুয়াদের জন্য সুখবর
অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ির দুর্গাপুজো হয় হাটসেরান্দি গ্রামে। গ্রামের পুজোতে অংশগ্রহণ করেছেন কেষ্টর পরিবার। এদিন সকাল থেকে নিষ্ঠাভরে চলে সপ্তমী পুজো। রয়েছেন অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডল। তাঁর ভাই প্রিয়ব্রত মণ্ডল। এছাড়াও ছোড়দি বাসন্তী দাস, বড়দি সুলেখা মণ্ডল, মেজদি শিবানী ঘোষ সকলেই। শুধু অনুব্রতই নেই।
অথচ প্রত্যেকবার তাঁকে ঘিরেই বসত আসর। কেউ পা ছুঁয়ে, কেউ করজোড়ে নমস্কার করে যেতেন। কপালে লাল তিলক কেটে মধ্যমণি হয়ে বসে থাকতেন মা দুর্গার ভক্ত। কিন্তু, এবার আর তা না হওয়ায় মন খারাপ গ্রামের অনেকেরই। আপাতত যা পরিস্থিতি, তাতে সম্ভবত ভাইফোঁটা পর্যন্ত জেলেই কাটাতে হবে বীরভূম তৃণমূলের জেলা সভাপতিকে।