গাইঘাটা: দিদির দূত (Didir Doot) হিসেবে গাইঘাটায় (Gaighata) গিয়ে বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে (Jyotipriya Mallick) বউমা ফিরিয়ে দেওয়ার আবদারও শুনতে হল শুক্রবার। ঘটনা গাইঘাটা থানার (Gaighata Police Station) তরঙ্গহাটি গ্রামের। দিদির সুরক্ষাকবচ কর্মসূচিকে সামনে রেখে জেলায় জেলায় শাসকদলের নেতা-মন্ত্রী-বিধায়ক-সাংসদরা দূত হয়ে মানুষের অভাব-অভিযোগ শুনছেন। অধিকাংশ জেলায় গিয়ে তাঁদের স্থানীয় মানুষের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Chief Minister Mamata banerjee) সহ সকলেই দাবি করেন, প্রায় ১০০ শতাংশ কাজ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু দিদির দূতরা গিয়ে টের পাচ্ছেন, সেই দাবির সঙ্গে বাস্তবের বিস্তর ফারাক। জল, বিদ্যুৎ, শৌচালয়, বাড়ি সবকিছু নিয়েই গ্রামের মানুষের ক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে তৃণমূল নেতাদের। তবে, শাশুড়ির মুখ থেকে যে বউমা ফিরিয়ে দেওয়ার আবদার শুনতে হবে, তা ভাবতে পারেননি মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick)।
ঠিক কী ঘটল গাইঘাটায়?
জ্যোতিপ্রিয় যখন তরঙ্গহাটি গ্রামে সাধারণ মানুষের অভাব-অভিযোগ শুনছিলেন তখন তাঁর সামনে এসে দাঁড়ান গীতা সরকার নামে এক মহিলা। তিনি তাঁর ছেলের বউকে ফিরিয়ে আনার জন্য দরবার করেন মন্ত্রীর কাছে। তিনি জানান, ১৫ বছর আগে ছেলে পরেশের সঙ্গে বিয়ে হয় হরিণঘাটার মাঝের গ্রামের স্বপ্না সরকারের সঙ্গে। সাত বছর আগে স্বামীর বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতনের অভিযোগ এনে থানায় ডায়েরি করে স্বপ্না। তখন থেকেই সে শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে দেয়। চলে যায় বাপের বাড়ি। মন্ত্রীর কাছে শাশুড়ি গীতার দাবি, যেভাবেই হোক বউমাকে ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।গীতার এরকম দাবি শুনে মন্ত্রী প্রথমে কিছুটা হকচকিয়ে যান। পরে তিনি গীতাকে বলেন, এটা একেবারেই পারিবারিক ব্যক্তিগত বিষয়, এতে আমাদের কিছু করণীয় নেই। তবু স্থানীয় পঞ্চায়েতকে বিষয়টি দেখতে বলছি।
আরও পড়ুন:Khelo India Youth Games: দু’দিন পরেই খেলো ইন্ডিয়া ইয়ুথ গেমস, কোন কোন ইভেন্টে থাকছে নজর?
এরপর বনমন্ত্রী গো-পোল এলাকায় একটি উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্র দেখতে যান। সেখানে সাধারণ মানুষের অভিযোগ, স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পর্যাপ্ত চিকিৎসক নেই। পাওয়া যায় না ঠিকমতো ওষুধও। এছাড়া আরও অনেক পরিকাঠামোগত সমস্যা আছে। মন্ত্রী সেখানে হাজির স্বাস্থ্যকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি তাঁদের নির্দেশ দেন, দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করতে হবে।