বজবজ: দিদির সুরক্ষাকবচ (suraksha kavach) কর্মসূচি উপলক্ষে গ্রামে গ্রামে গিয়ে দিদির দূতদের (Didir Doot) বারবার সাধারণ মানুষের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে। শাসকদলের নেতা-মন্ত্রী-বিধায়ক-সাংসদদের দলীয় কর্মীদেরও তোপের সামনে পড়তে হচ্ছে কোথাও কোথাও। তা নিয়ে দিন কয়েক আগেই মুখ খুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Chief Minister Mamata Bandyopadhyay)। তিনি বলেন, রাস্তা দিয়ে গেলে কেউ যদি অভিযোগ জানায়, সেটা তো ভালোই। একে বিক্ষোভ বলা চলে না। এই ইস্যুতেই এবার মুখ খুললেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়(Abhisekh Banerjee) । শনিবার তিনি বলেন, মানুষ তৃণমূলের কাছে ক্ষোভ উগরাবে না তো কি বিজেপির কাছে উগরাবে? আমরা সারা বছর মানুষের পাশে থাকি। বিজেপি বা অন্য দলের মতো ভোটপাখি নয়।
পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন প্রশাসনিক বৈঠক করেন। নোদাখালিতে ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক, পুলিশ সুপার থেকে শুরু করে তামাম সরকারি অফিসাররা, ছিলেন জেলার বিভিন্ন স্তরের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা। অভিষেক অবশ্য এটিকে প্রশাসনিক বৈঠক না বলে পর্যালোচনা বৈঠক বলে চিহ্নিত করেছেন।
তৃণমূল সাংসদ এভাবে মুখ্যমন্ত্রীর ধাঁচে প্রশাসনিক বৈঠক করতে পারেন কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। ওই বৈঠকের জন্য জেলাশাসকের বিজ্ঞপ্তি জারি করা কে ঘিরেও বিতর্ক শুরু হয়েছে। সাংসদের বৈঠকের কথা জেলাশাসক কী করে মন্ত্রীদের জানান, বিরোধীরা সেই প্রশ্ন তুলেছেন।
ওই বৈঠকে অভিষেক মিড ডে মিল, স্বাস্থ্যসাথী, বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি। কী কী জানালেন, দেখে নেওয়া যাক-
বগটুই কাণ্ডে ক্ষতিপূরণ বিতর্ক (Bogtui compensation controversy)
বগটুই কাণ্ডে ক্ষতিপূরণ নিয়ে বিজেপি প্রশ্ন তুলেছে। সেই প্রসঙ্গে অভিষেক বলেন, ওঁরা কী চান? গরিব মানুষকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না। অভিযোগ উঠেছে মিডডে মিলের টাকায় ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। অভিষেকের জবাব, সেটা প্রশাসন দেখবে।
আরও পড়ুন: Suvendu slams Mamata: মিড ডে মিলের টাকায় বগটুই কাণ্ডে নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ?
স্বাস্থ্যসাথী কার্ড (Swasthya Sathi Card)
এখনও অনেক বেসরকারি হাসপাতাল স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ফিরিয়ে দিচ্ছে। এটা কোনও মতেই বরদাস্ত করা হবে না। মুখ্যমন্ত্রীও বলেছেন, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড না নিলে লাইসেন্স বাতিল করে দেওয়া হবে। আমাদের কাছে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু বড় হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে এখনই তাদের নাম করতে চাই না। সময়মতো কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসনকেও সতর্ক থাকতে বলা হচ্ছে।
উন্নয়ন প্রকল্প (Development works)
ডায়মন্ড হারবারে প্রচুর উন্নয়নের কাজ হয়েছে। এমপি ল্যাডের টাকাতেও অনেক কাজ হয়েছে। ফলতা থেকে মথুরাপুর পর্যন্ত পানীয় জল প্রকল্পের বড় কাজ চলছে। ২০২৪-র লোকসভা ভোটের আগেই ১৪০০কোটি টাকার এই বৃহৎ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে বলে আশা করা যায়।