রামপুরহাট: বীরভূমে (Birbhum) মাড়গ্রামে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় ধৃত চারজনকে আট দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিল আদালত। বাকি দুই ধৃতকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে রামপুরহাট (Rampurhat) মহকুমা আদালত।
বোমা বিস্ফোরণে মৃত তৃণমূল কর্মী লাল্টু শেখের (Laltu Sheikh) মৃতদেহ সোমবার (Monday) এসে পৌঁছয় বীরভূমের মাড়গ্রামে। দেহ পৌঁছতেই উত্তাল হয়ে ওঠে গ্রাম। মৃতদেহ রাস্তায় রেখে বিক্ষোভ শুরু করেন বাসিন্দারা। তাঁদের একটাই দাবি, অভিযুক্তদের ফাঁসি চাই। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এই দাবি জানাবেন তাঁরা। গ্রামের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে গ্রামে।
আরও পড়ুন: Delhi Mayoral Election: মেয়র নির্বাচন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হবে আপ!
গত ৪ ফেব্রুয়ারি রাতে রামপুরহাটের মাড়গ্রামের ধুলফেলা গ্রামে রাত ১০টা নাগাদ বোমার আঘাতে গুরুতর জখম হন লাল্টু শেখ এবং নিউটন শেখ নামে দু’ই যুবক। লাল্টু মাড়গ্রাম ১ নম্বর পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান ভুট্টো শেখের ভাই দুজনকেই রামপুরহাট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় রাতে। সেখানে নিউটনকে ম্ররত বলে ঘোষণা করা হয়। অবস্থা আরও আশঙ্কাজনক হয়ে পড়ায় লাল্টূকে গভীর রাতেই কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। রবিবার দুপুরে সেখানেই মারা যান লাল্টু।
এই ঘটনায় ওই এলাকারই ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে মাড়গ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। ওই ঘটনায় গোটা এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে ছয় জনকে গ্রেফতার করে মাড়গ্রাম থানার পুলিশ। মাড়গ্রামের কংগ্রেস নেতা সুজাউদ্দিন শেখ, তাঁর দুই ছেলে সহ মোট ছয় জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
তৃণমূলের অভিযোগ, হাসপাতাল মোড় থেকে যখন নিউটন ও লাল্টু বাড়ি ফিরছিলেন তখন বিরোধী জোটের লোকজন ওঁদের লক্ষ্য করে বোমা মারে।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি এবং বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরী বলেন, বীরভূমে নাকি কংগ্রেসকে দেখাই যায় না। অথচ সেখানেই কংগ্রেস সমর্থকেরা বোমা মেরে দুজনকেই মেরে ফেলল, এটা বিশ্বাসযোগ্য? তাঁর দাবি, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পর এলাকা এখনও থমথমে, রয়েছে পুলিশ পিকেট।