চুঁচুড়া: ডিআই অফিসে ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশনের (Document Verification) আগের দিন গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হলেন এক শিক্ষক (School Teacher)। মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে কোদালিয়ার সুকান্তনগরে। পুলিশ জানায়, মৃত শিক্ষকের (School Teacher) নাম ভক্তদাস অধিকারী(৩৬)। দাদপুরের বাবনান হাইস্কুলের অঙ্কের শিক্ষক ছিলেন তিনি। ২০১৯ সালে চাকরিতে যোগ দেন। রবিবার সকালে ভক্তদাসকে নিজের ঘরে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলতে দেখে তাঁর পরিবার। ঘরে একটি বোর্ডে বাবা-মায়ের উদ্দেশে দুঃখ প্রকাশ করে লেখা ছিল, তাঁর মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। এই আত্মহত্যার সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবেও কেউ জড়িত নয়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে চুঁচুড়া (Chinsurah) থানার পুলিশ (Police)। মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ইমামবাড়া জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে শিক্ষকের পরিবার ছেলের মৃত্যু নিয়ে কিছু বলতে চায়নি। ভক্তদাসের এক আত্মীয় মনোতোষ অধিকারী জানান, কেন ও এমন করল কিছুই তিনি বুঝতে পারছেন না। একটা সুইসাইড নোট পাওয়া গিয়েছে। কেন লিখেছে সেটাও বোঝা যাচ্ছে না। পরিবারের একমাত্র সন্তান। বাড়িতে কোনও ঝগড়া-অশান্তিও ছিল না। কোনও অবসাদও ছিল না বলে দাবি প্রতিবেশীদের। ছেলের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে কথা বলার মতো অবস্থায় নেই শোকাহত বৃদ্ধ বাবা-মা।
আরও পড়ুন:West Bengal Assembly: বিধানসভায় বিধায়কদের ওরিয়েন্টেশন কোর্স হল বটে, কিন্তু সফল হল কি?
স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য বলরাম অধিকারী বলেন, খুবই মর্মান্তিক ঘটনা। খুব ভদ্র ও শান্তশিষ্ট ছিলেন ভক্তদাস। বাবনান স্কুলে চাকরি করতেন। আমি সকালে খবর পেয়ে বাড়িতে যাই। বাবনান স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালের ২৮ নভেম্বর অঙ্কের শিক্ষক হিসাবে যোগ দিয়েছিলেন ভক্তদাস অধিকারী। নিয়মিত স্কুলেও যেতেন। আগামী কাল হুগলি ডিআই অফিসে তাঁর ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন হওয়ার কথা ছিল। তার আগে কেন তিনি এমন কাণ্ড ঘটালেন, বুঝে উঠতে পারছেন না আত্মীয় পরিজন থেকে প্রতিবেশীরা।