বলাগড়: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (Recruitment Scam) এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)-এর হাতে ধৃত তথা বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Shantanu Banerjee) বিপুল সম্পত্তি হদিশ মিলেছে। শনিবার সকাল থেকে সেখানেই একযোগে ইডি হানা (ED Raid) দিয়ে তল্লাশি শুরু করেছে। এদিন ইডির তদন্তকারীরা হুগলির বলাগড়ে (Balagarh) শান্তুনুর গেষ্ট হাইজে হানা দেয়। চূঁচুড়া বালির মোড়ে শান্তনুর স্ত্রীর নামে কেনা বাড়িতে হানা দেয় ইডি আধিকারিকরা। বলাগড়ের বাসিন্দাদের বিস্ফোরক দাবি, কয়েকদিন আগেই শান্তনুর গেষ্ট হাইজে এসে নথি সরানো হয়েছে। বাইকে নিয়ে দু'জন এসে ব্যাগে করে কিছু নিয়ে যায় বলে জানান স্থানীয়রা। পাশাপাশি তাঁদের আরও দাবি, বন্দুকের নল ঠেকিয়ে একের পর এক জমি দখল করেছে শান্তনু। এভাবেই নিজের সাম্রাজ্য বিস্তার করেছে বহিষ্কৃত যুব তৃণমূল নেতা শান্তনু।
এদিকে স্বামীর যে এত বিপুল সম্পত্তি রয়েছে, সে বিষয়ে কোনও ধারণাই নেই শান্তনুর স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাঁর কথায়, তিনি কিছুটা জানলেও, শান্তনুর একাদিক সম্পত্তির বিষয় তিনি জানতেন না বলেই দাবি করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন:Road Accident | সমস্ত প্রতিকূলতাকে উপেক্ষা করে হাপাতালেই চললো উচ্চমাধ্যমিক
এদিন শান্তনু ঘনিষ্ঠ জিরাট কলেজের টিএমসিপি নেতা সুপ্রতিম ঘোষ (TMCP Leader Supratim Ghosh) ওরফে আকাশকে বলাগড়ের গেষ্ট হাইজে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে তদন্তকারীরা। বলাগড় কলেজের অস্থায়ী কর্মী সুপ্রতিম। তিনি শান্তনুর ছায়াসঙ্গি বলেই পরিচিত এলাকায়। এদিন সকালে আকাশের বাড়িতে যান ইডির দুই আধিকারিক। আকাশ বাড়িতে না থাকায় তাঁকে ফোন করে ডাকা হয়। এরপর আকাশ এলে তাঁকে নিজেদের গাড়িতে তুলে নিয়ে বলাগড়ের চাঁদড়া বটতলা এলাকার ওই রিসর্টে যান ইডি অফিসাররা। ওই রিসর্টের পাশেই বাড়ি সুকুমার নন্দী বলে এক প্রতিবেশীর। তিনি দাবি করেন, এই জমি আকাশ নামে এক ব্যক্তির থেকে কেনা হয়েছিল। তবে ওই আকাশই যে শান্তনু ঘনিষ্ঠ আকাশ কি না, তা এখনও জানা যায়নি।
এদিকে স্থানীয় এক প্রবীণ প্রতিবেশী জানান, দিনে রাতে কালো গাড়িতে লোক আসত শান্তনুর ব্যান্ডেলের বালির মোড়ের বাড়িতে। কিন্তু গত ছ’মাসে রহস্যজনক ভাবে কাউকে আর দেখা যায়নি। এদিকে শান্তনুর সহযোগী প্রোমোটার অয়ন শীলের বাড়িতেও তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি। শান্তনুর সহযোগী প্রোমোটার অয়ন শীলের বাড়িতেও তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি।
শেয়ার করুন