ইলামবাজার: গরু পাচার কাণ্ডে (Cattle Scam) এবার নাম উঠে এল বোলপুর পুরসভার চেয়ারম্যান পর্না ঘোষ ও তাঁর স্বামী সুদীপ্ত ঘোষের। বীরভূমের ইলামবাজার ব্লকের গোপালনগর গ্রামে অনুব্রতর মণ্ডলের (Anubrata Mandal) হিসাব রক্ষক মণীশ কোঠারি (Manish kothari) সঙ্গে যৌথভাবে জমি কিনেছে সুদীপ্ত ও তাঁর স্ত্রী পর্না। এই খবর চাউর হতেই রাজনৈতিক চর্চা শুরু হয়েছে বীরভূম (Birbhum) জুড়ে।
সুদীপ্ত ঘোষ বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তথা বোলপুর পুরসভার স্যানিটারি ইন্সপেক্টর। অনুব্রতর প্রভাবে বোলপুর পুরসভার (Bolpur Municipality) নিয়ন্ত্রকও তিনি। তাঁর স্ত্রী পর্না ঘোষ পুরসভার চেয়ারম্যান। সুদীপ্ত ও তাঁর স্ত্রীর নামে ইলামবাজার ব্লকের গোপালনগর গ্রামে বিঘে বিঘে জমি রয়েছে তাঁদের। যার বাজার মূল্য কোটি টাকার কাছাকাছি। মণীশ কোঠারির (Manish kothari) সঙ্গে সুদীপ্ত যৌথভাবে জমি কেনার পাশাপাশি একাধিক ব্যবসায় নাম জড়িয়েছে। এমনই তথ্য মিলেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে। খুব স্বাভাবিকভাবেই সুদীপ্ত ও তাঁর স্ত্রীকে তদন্তের স্বার্থে ডাকা হতে পারে। এর আগেও সুদীপ্ত ঘোষকে সিবিআই শান্তিনিকেতনের অস্থায়ী ক্যাম্প অফিসে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: Patna Station Incident । পাটনা স্টেশনে ৩ মিনিট ধরে চলল নীল ছবি, সমালোচনার ঝড়
গত শুক্রবারই কালীঘাটে তৃণমূলের বৈঠকে দলীয় সংগঠনের দায়িত্বে ব্যাপক রদবদল করেছেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অনুব্রতহীন বীরভূম আপাতত তিনিই সামাল দেবেন বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন। রাত পোহাতেই বীরভূম জেলার তৃণমূল সহ-সভাপতি সুদীপ্ত ঘোষের এক ফেসবুক পোস্ট ঘিরে জোর বিতর্ক শুরু হয়েছে। ফেসবুকে সুদীপ্ত লিখেছিলেন, বোলপুর টাউনে কোনও ফালতু রাজনীতি হতে দেব না। এখানে আমরা মিলেমিশে থাকি। ধান্দাবাজ রাজনীতিকদের এখানে কোনও জায়গা নেই।
কাকে নিশানা করে এই পোস্ট করেছেন সুদীপ্ত, তা অবশ্য স্পষ্ট নয়। প্রশ্ন উঠেছে, ধান্দাবাজ রাজনীতিক বলতে সুদীপ্ত কাকে বোঝাচ্ছেন? বীরভূমের এক প্রবীণ তৃণমূল নেতা বলেন, এখনও পর্যন্ত নেত্রী বীরভূমের দায়িত্ব ব্যক্তিগতভাবে কাউকেই দেননি। জেলা সামাল দেওয়ার জন্য আট সদস্যের কোর কমিটি গঠন করেছেন। আর বীরভূম তিনি নিজে দেখবেন বলে জানিয়েছেন। নিজের ফেসবুক পোস্ট নিয়ে শনিবার মুখ খোলেন তৃণমূলের এই নেতা। কলকাতা টিভি ডিজিটালকে সুদীপ্ত বলেন, আমি যে ফেসবুক পোস্টটি করেছি সেটা আমার ব্যক্তিগত মত। বোলপুর শহের দীর্ঘদিন ধরে বামেরা রাজনীতি করেছে। সেই সময়ই অনুব্রত মণ্ডল, বিকাশ রায় চৌধুরীরা বিরোধী বোর্ড চালিয়েছেন। বোলপুরে বরাবর শান্তি ছিল। তবে এখন বীরভূমের রাজনীতিতে স্বার্থান্বেষীদের প্রভাব বেড়েছে। বোলপুরের মাটিতে এই সব ধান্দাবাজকে বরদাস্ত করব না।
সুদীপ্ত বলেন, গতকাল দিদি বলেছেন, তিনিই বীরভূমের দায়িত্ব সামলাবেন। বীরভূমে তৃণমূল নামে বাসের চালক খোদ দিদি। কাজেই জেলা কমিটি,কোর কমিটির কোনও মানে নেই। জেলা কমিটি বা কোর কমিটিতে আমি থাকলাম কী থাকলাম না, তাতে কিছু যায় আসে না। দিদি বীরভূমের চালকের আসনে, আমি দিদির অনুগত সৈনিক। ওই সব কোর কমিটি ফমিটি মানি না।
শেয়ার করুন