নয়াদিল্লি: মুখ্যমন্ত্রী বাছাই নিয়ে দীর্ঘ টানাপোড়েনের মতোই এবার কর্নাটকের মন্ত্রিসভা গঠন নিয়ে ফাঁপরে পড়ে কংগ্রেস। বুধ ও বৃহস্পতিবার দিনভর আলোচনার শেষে প্রথম দফায় ২৫ জন মন্ত্রীর নাম চূড়ান্ত করল দল। মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া এবং উপমুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমারের লবি মিলিয়ে এই তালিকা তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে ব্রাহ্মণ ২ জন, লিঙ্গায়ত ২ জন এবং শিবকুমারের নিজের সম্প্রদায় ভোক্কালিগার একজন মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পেয়েছেন। লিঙ্গায়ত গোষ্ঠীর প্রাক্তন বিজেপি নেতা জগদীশ শেট্টারও মন্ত্রী হচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে।
রাজ্যে বিপুল ভোটে ক্ষমতায় আসার পর সব জাত-ধর্ম ও সম্প্রদায়কে খুশি করার ভারসাম্য বজায় রেখে মন্ত্রিসভা গঠন করা সহজ কাজ ছিল না। সেই দুরূহ কাজটি হাইকমান্ডের কাঁধে সঁপে দিতে বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীতে পা রাখেন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া এবং উপমুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমার। গতকালই দলের নেতা কেসি বেণুগোপালের সঙ্গে প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে বৈঠক করেন দুই নেতা। সেইমতো এদিনও সিদ্দা-শিব জুটি দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেন। মন্ত্রিসভার মুখ ও দফতর বণ্টন নিয়ে তাঁদের মধ্যে আলোচনা হলেও এদিন বিকেল পর্যন্ত বরফ গলেনি। পরে সন্ধ্যায় আরও একদফা বৈঠকের শেষে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়।
আরও পড়ুন: Amit Shah-Manipur | শান্তি আলোচনার জন্য মণিপুর যাচ্ছেন অমিত শাহ
কংগ্রেসের সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপাল এবং কর্নাটকের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা রণদীপ সুরজেওয়ালার সঙ্গে কংগ্রেসের মন্ত্রণাকক্ষ ১৫ গুরুদ্বার রাকাবগঞ্জ রোডে আলোচনা হয়। এর আগে সকালেও দুই নেতা বেণুগোপালের সঙ্গে তাঁর বাড়িতে গিয়ে কথা বলেন। মূল সমস্যা হচ্ছে, সিদ্দারামাইয়া ও শিবকুমার লবিকে একমঞ্চে বসিয়ে মন্ত্রিসভা গঠন করা।
কংগ্রেসের দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সিদ্দারামাইয়া ও শিবকুমারের অনুগামীরা কর্নাটক ভবন ও শিবকুমারের দাদা ডিকে সুরেশের বাড়িতে মিলিত হন। সেখানেও কাকে কাকে, কোন দফতরের দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে, তা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়। দুপক্ষই চাইছে শাঁসালো দফতর হাতে পেতে। তা নিয়েই দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রীসহ কর্নাটকে ৩৪ জন মন্ত্রী হতে পারবেন। এখনও পর্যন্ত যেটুকু জানা গিয়েছে, আপাতত ২৫ জনের নাম চূড়ান্ত করা হল। বাকিটা পরে হবে। দলের বেশ কয়েকজন নবনির্বাচিত বিধায়কও দিল্লিতে এসে সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে, বেণুগোপাল ও সুরজেওয়ালার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে মন্ত্রী হওয়ার দাবি জানান।
শপথের দিন সিদ্দারামাইয়ার সঙ্গে ৮ জন মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেও তাঁদের এখনও দফতর বণ্টন করা হয়নি। কংগ্রেসের মূল সমস্যা হচ্ছে, রাজ্যের লিঙ্গায়ত, ভোক্কালিগা, দলিত এবং সংখ্যালঘুদের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রেখে মন্ত্রিসভা গঠন ও সম্প্রসারণ করা। এছাড়াও নবীন ও প্রবীণ নেতাদের সামঞ্জস্য রক্ষা করে চলা।
শেয়ার করুন