কলকাতা: জমি নিয়ে পারিবারিক বিবাদ ঘিরে হাওড়ায় দুই মন্ত্রীর কাজিয়া চরমে উঠেছে। ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মনোজ তিওয়ারি (Manoj Tiwari) বৃহস্পতিবার তাঁর বিধায়ক অফিসে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে তোপ দাগেন সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায়কে (Arup Roy)। মনোজ বলেন, অরূপ রায় সব না জেনে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলে ঠিক করেননি। তিনি আমার সঙ্গে কথা বললে ভালো করতেন। পাল্টা অরূপ বলেন, জোর করে কেউ কারও জমি কেড়ে নিতে পারে না। দল এসব বরদাস্ত করবে না। মগের মুলুক নাকি। মনোজের অভিযোগ, তাঁর এবং বিধায়ক অফিসের কর্মীদের কালিমালিপ্ত করার চক্রান্ত চলছে। তিনি বলেন, আমি নতুন মন্ত্রী হয়ে মানুষের জন্য কাজ করার চেষ্টা করছি। আর আমাকে কালিমালিপ্ত করা হচ্ছে।
ঘটনার সূত্রপাত শিবপুরের কামারডাঙায় বেশ কয়েক কাঠার একটি জমি নিয়ে। ওই জমির শরিকি মালিকানা রয়েছে। মধ্য হাওড়ার কাসুন্দিয়ার বাসিন্দা মানস রায় এবং তাঁর স্ত্রীর মৌমিতার লোহার ফেব্রিকেশনের ব্যবসা রয়েছে ওই জমিতে। গত বছর পুজোর পর থেকে সেই জমি নিয়ে পারিবারিক বিবাদ শুরু হয়।
আরও পড়ুন:Karnataka Cabinate Updates | কর্নাটকে মন্ত্রিসভা গঠনের জট কাটল, প্রথম ধাপে ঠাঁই ২৫ জনের
মানসের অভিযোগ, গত ৩ মে বিধায়ক তথা ক্রীড়ামন্ত্রীর অফিসে তাঁকে ডেকে পাঠিয়ে কারখানা ছেড়ে দিতে বলা হয়। কয়েকজন তাঁদের কাছে কম দামে জমি বিক্রি করার জন্য চাপ দেয়, এমনকী হুমকিও দেওয়া হয়। ১০ মে মানস মুখ্যমন্ত্রী এবং মুখ্যসচিবকে মেল করে বিষয়টি জানান। এরই মধ্যে মঙ্গলবার মানসকে দাসনগর থানায় ডেকে পাঠানো হয়। অভিযোগ, তাঁকে কয়েক ঘণ্টা থানায় বসিয়ে রেখে মোবাইল বন্ধ করে রাখতে বলা হয়। সেই সময়ের মধ্যে কারখানায় তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়। প্রবীণ মন্ত্রী মানসের হয়ে কথা বলায় খেপে যান তরুণ মন্ত্রী মনোজ।
রায় পরিবারের এক শরিক পিয়ালি রায় বলেন, এই জমির মালিকানা অনেকের। জমি নিয়ে বিবাদ রয়েছে। মানসের ভাগে আধ কাঠা জমি রয়েছে। কিন্তু তিনি বাড়তি জমি দখল করে আছেন। সেই জমিতে মানস গ্যাসের সিলিন্ডার ফেলে রেখেছেন, পাখির ব্রিডিং করাচ্ছেন। এ সব মানব না। এদিন মনোজ তিওয়ারি রায় পরিবারের বাকি সদস্যদের পাশে নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন। তিনি বলেন, গতকাল কিছু সংবাদমাধ্যম খবর প্রচার করে, বিধায়কের অফিসে ডেকে নাকি মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠরা হুমকি দিয়েছেন। মনোজের দাবি, এই অভিযোগ ভিত্তিহীন। আমাকে কালিমালিপ্ত করার জন্য অনেকদিন ধরেই চক্রান্ত চলছে। তাঁর ইঙ্গিত অরূপ রায়ের দিকেই। অরূপ পাল্টা বলেন, কারও জমি কেউ জোর করে দখল করতে পারবে না। মুখ্যমন্ত্রী নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নেবেন। আমরা বেআইনি কাজের বিরুদ্ধে।
শেয়ার করুন