বোলপুর: কংগ্রেস বিধায়ক বায়রণ বিশ্বাসের দলবদলকে অনৈতিক বলে মন্তব্য প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়কের। সোমবার বায়রন বিশ্বাসের দলবদল নিয়ে দলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক তথা বোলপুরের শহর সভাপতি নরেশচন্দ্র বাউরির।
এদিন নরেশ বলেন, গণতন্ত্রে যারা বিশ্বাস করেন সেই সমস্ত মানুষদের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন বায়রন গণতন্ত্রের ক্ষেত্রে এই দলবদল অনৈতিক।
আরও পড়ুন: Bairon Biswas | বায়রন তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় বিক্ষোভ মুর্শিদাবাদে
তিনি আরও বলেন, হয়তো অনেকে প্রশ্ন করবেন, আমি তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক হয়ে এ ধরনের কথা বলছি কেন। কারণ, যেটা সঠিক সেটা ঠিক বলা উচিত। এমনিতেই বলা আছে দলবদল করলে তাঁর সদস্যপদ খারিজ হওয়া উচিত। বায়রন ঠিক কাজ করেননি।
সারা দেশে এটা দেখা যাচ্ছে দলবদল করছে। বিধায়ক-সাংসদরা নিজেদের ব্যক্তি স্বার্থে দলবদল করছে। এটার ক্ষেত্রে কঠিন আইন নিয়ে আসা উচিত। দলবদল করলেই সদস্যপদ খারিজ হয়ে যাবে। গণতন্ত্রের পক্ষে আঘাত আনা হচ্ছে। গণতন্ত্রের প্রতি বিশ্বাস রেখে যারা ভোট দিচ্ছে, সেই সমস্ত মানুষদের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। তবে তাঁর যোগদানে তৃণমূলের অন্দরে উঠেছে প্রশ্ন। দলের অন্দরে এই যোগদান অনৈতিক বলে উল্লেখ করায় ফের একবার দলীয় কোন্দল প্রকাশ্যে এল তৃণমূলে।
উল্লেখ্য আজই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে কংগ্রেস বিধায়ক বিশ্বাস তৃণমূলে যোগদান করেন। কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী বিরুদ্ধে ক্ষোভপ্রকাশ করে তিনি তৃণমূলে যোগদান করেন বলে জানান। বায়রন তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় বিধানসভায় কংগ্রেস ফের শূন্য হয়ে গেল। পাশাপাশি এর ফলে সাগরদিঘি মডেলও ধাক্কা খেল। কংগ্রেস সূত্রে খবর, বায়রন তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর থেকে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে দলীয় কর্মীরা তাঁর বিরুদ্ধে পথে নেমে পড়েছেন। সাগরদিঘির কংগ্রেস কর্মীরা রীতিমতো ক্ষোভে ফুঁসছেন। অধীর বলেন, কংগ্রেস কর্মীদের ক্ষোভ থাকাটা খুবই স্বাভাবিক। সেই ক্ষোভেরই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে সাগরদিঘিতে। আমি খবর পেলাম জেলার অন্যত্রও কংগ্রেস কর্মীরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন বিশ্বাসঘাতক বায়রনের বিরুদ্ধে।