অভিনেত্রী তৃনাকে খোঁচা দিয়ে ফেসবুক পোস্ট করেছিলেন অভিষেক পত্নী। তার মোতে অভিষেকের মেয়ে নিজের মতো হবে, অন্য কারোর মতো নয়. তিনি আসলে যে তৃনাকে খোঁচা মেরে এই কথাটি বলেছিলেন তা বুঝতে ইন্ডাস্ট্রির অসুবিধে হয়নি। তবে তার এই মন্তব্যে রীতিমতো ক্ষুব্ধ টলিপাড়া। বেশিভাগ অভিনেতার মতে, শোকের এই মুহূর্তে এই ধরণের ঝগড়াঝাটি আর যায় হোক, কোনো সুচিন্তিত নাগরিকের মন্তব্য হতে পারে না. বরং ব্যাক্তিগত কাদা ছোড়াছুড়ি বন্ধ হোক। আলোচনা হোক অভিষেকের কাজ নিয়ে।
সম্প্রতি আন্দামান চলচ্চিত্র উৎসব অভিষেক কে সেরা অভিনেতার পুরস্কার দিয়েছেন। মেয়ে ডল বাবার হয়ে এই পুরস্কার গ্রহণ করেছেন। এই ধরণের প্রাপ্তি নিয়ে আলোচনা হোক, যে মানুষটা চলে গেছেন তার কাজের মূল্যায়ন হোক, সমালোচনা হোক. কিন্তু নিজেদের মধ্যে আকচা আঁকছি করে কি লাভ. অভিষেকের ঘনিষ্ট এক পরিচালকের মতে, তৃনা এতদিন অভিষেকের সঙ্গে কাজ করেছেন। সেই জায়গা থেকে তার একটা খারাপ লাগা জন্মাতেই পারে। অন্যদিকে অভিষেককে হারিয়ে তার স্ত্রী এবং কন্যা শোকে মুহ্যমান। এই অবস্থায় সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝগড়া! ব্যাপারটা ভাবতেই কষ্ট হচ্ছে। আসলে আমরা সবাই যদি একটু কম কথা বলি, তাহলে অনেক সমস্যা এমনি এমনি মিটে যায়.
গত শনিবার অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের শেষ ছবি ‘পঞ্চভুতে’র ট্রেলার, পোস্টার লঞ্চের অনুষ্ঠান। সেখানে হাজির ছিলেন অভিষেকের স্ত্রী সংযুক্তা ও মেয়ে সাইনাও(ডল)। হাজির ছিলেন ‘খড়কুটো’ ধারাবাহিকে অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের সহঅভিনেত্রী ‘গুনগুন’ ওরফে তৃণা সাহাও। এছাড়াও ছিল ছবির গোটা টিম। সেখানেই অভিষেকের স্মৃতিচারণায় তৃনা বলেন, অভিষেক নাকি চাইতেন তাঁর একমাত্র মেয়ে ডল নাকি তৃনার মতোই হোক।
এই ঘটনার পরেই ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করে লম্বা একটা পোস্ট দেন অভিষেকের স্ত্রী সংযুক্তা। সেখানে তিনি লেখেন, “মেয়ে ডলকে খুবই ভালবাসত অভিষেক। ডল যেভাবে ইংরেজি ও ফরাসি ভাষায় কথা বলতে পারত, তা নিয়ে খুব গর্ব ছিল তাঁর। গত সেমিস্টারে ৯২ শতাংশ নম্বর পাওয়ায় অভিষেক আনন্দে পার্টি থ্রো করেছিল। আমি আর অভিষেক প্রথম থেকেই চাইতাম আমাদের মেয়ে একেবারে নিজের মতোই বড় হোক। আমরা চাই না ডল অন্য কারও মতো হোক। এদিকে অভিষেকের সহঅভিনেতা জানিয়েছে, অভিষেক নাকি চাইত ডল ওর মতো হোক।” তিনি যে নাম না করে খড়কুটোর গুনগুনকেই খোঁচা মেরেছেন তা একেবারে স্পষ্ট।