ওয়েব ডেস্ক: কিং সিনেমার শ্যুটিং নিয়ে বর্তমানে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন শাহরুখ খান। এই ছবিতে দ্বিতীয়বারের মতো সুহানা খানের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করবেন তিনি। তবে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, এই সিনেমার মাধ্যমেই বড় পর্দায় অভিষেক হতে চলেছে বাদশাহ-কন্যার। বেশ কিছুদিন ধরে এই সংক্রান্ত খবর সামাজিক মাধ্যমে প্রচারিত হচ্ছিল। তবে গত ৭ই এপ্রিল ‘কিং’(King) সিনেমাকে কেন্দ্র করে একটি নতুন তথ্য সামনে আসে, যা শুনে অনেকেই বিস্মিত হন।
প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, এই সিনেমায় দীপিকা পাড়ুকোন(Deepika Padukone) সুহানার(Suhana Khan) মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করবেন এবং শাহরুখ খানের বিপরীতে দেখা যাবে তাঁকে। এই খবরটি প্রচারিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই অনেকে ‘জওয়ান’(Jawan) সিনেমার প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন। আবার কেউ কেউ মনে করেন, সুহানার মায়ের চরিত্রের জন্য দীপিকার বয়স তুলনামূলকভাবে কম।
আরও পড়ুন:শাহরুখ খানের সঙ্গে ফের জুটি বাঁধছেন দীপিকা
মুম্বইয়ের একাধিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, দীপিকা পাড়ুকোন সম্ভবত এই ছবিতে একটি বিশেষ চরিত্রে (ক্যামিও) স্বল্প সময়ের জন্য উপস্থিত হবেন। চরিত্রটির স্বল্প ব্যাপ্তি জানা সত্ত্বেও তিনি অভিনয়ে সম্মতি জানিয়েছেন বলে খবর।
শাহরুখ খান ও দীপিকা পাড়ুকোনের নতুন জুটি নিয়ে যখন ভক্তকূল আনন্দে উদ্বেলিত, ঠিক তখনই ‘কিং’ সিনেমার পরিচালক সিদ্ধার্থ আনন্দের একটি পোস্ট সেই উৎসাহে জল ঢেলে দেয়। তিনি তাঁর X হ্যান্ডেলে কেবল ‘মিথ্যা’ শব্দটি পোস্ট করেন। এর বাইরে তিনি আর কোনো মন্তব্য করেননি, এমনকি দীপিকা বা সিনেমাটির বিষয়েও কোনো উল্লেখ করেননি।
পরিচালক সিদ্ধার্থ কোনো সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা না দিলেও, অনেকেই ধরে নিয়েছেন যে তিনি ‘কিং’ সিনেমায় দীপিকার অনুপস্থিতির দিকেই ইঙ্গিত করেছেন। সম্ভবত শাহরুখের বিপরীতে দীপিকার অভিনয়ের খবরটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন একটি গুজব। পরিচালকের এই পোস্টের পর ভক্তরা রীতিমতো ধন্দে পড়ে যান।
সিদ্ধার্থের পোস্টের প্রতিক্রিয়ায় একজন লিখেছেন, ‘এর অর্থ কি দীপিকা কিং সিনেমায় নেই?’ অন্য একজন মন্তব্য করেছেন, ‘আমি নিশ্চিত দীপিকা কিং সিনেমার অংশ নন।’ তৃতীয় একজনের বক্তব্য, ‘দক্ষিণ ভারতীয় চলচ্চিত্র জগৎ থেকে কাউকে নেওয়া হোক।’ চতুর্থ একজন লিখেছেন, ‘দীপিকাকে কখনোই সুহানার মায়ের চরিত্রে মানাত না।’
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পূর্বে এই সিনেমায় সুহানার বাবা-মায়ের চরিত্রে টাব্বু এবং সাইফ আলি খানের অভিনয়ের কথা ছিল। ‘কিং’ সিনেমার প্রাক্তন পরিচালক সুজয় ঘোষ প্রাথমিকভাবে সরে দাঁড়ালে সিদ্ধার্থ আনন্দ পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। সিদ্ধার্থের সিদ্ধান্তেই মূলত অভিনেতা-অভিনেত্রী নির্বাচনের ক্ষেত্রে পরিবর্তন আসে।