সেপারেশনে থাকলেও বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য এখনো তাঁরা আইনি কোনো পদক্ষেপ নেননি। যদিও ২৮ বছরের দাম্পত্য সম্পর্কে ইতি টানার সিদ্ধান্ত গত জানুয়ারি মাসে ধনুশ এবং তার স্ত্রী ঐশ্বর্য একইসঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছিলেন। সুপারস্টার রজনীকান্তের বড় মেয়ে ঐশ্বর্যের সঙ্গে ধনুশের বিবাহ-বিচ্ছেদের প্রসঙ্গ ফিল্মি দুনিয়াকে কিছুটা বিস্মিত করেছিল। সে সময় ধনুশের বাবা তামিল ছবির পরিচালক কস্তুরী রাজা মন্তব্য করেছিলেন ‘আদৌ বিচ্ছেদ হচ্ছে না। এটি একটি পারিবারিক বিবাদ। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে এমন বিভাগ হতেই পারে’। বিবাহ+বিচ্ছেদের যৌথ ঘোষণার সময় দম্পতি জানিয়েছিলেন তাদের দুই সন্তান যাত্রা ও লিঙ্গ’র দায়িত্ব যৌথভাবে তাঁরা পালন করবেন। একটি ইংরেজি সংবাদপত্রের খবর অনুসারে ঐশ্বর্য হাসপাতাল ভর্তি হওয়ার পর থেকে দুই সন্তানকে নিজের কাছেই রেখেছিলেন ধনুশ। প্রসঙ্গত,বিচ্ছেদের পর বারংবার অসুস্থ হয়েছেন ঐশ্বর্য। ফের ভর্তি হয়েছেন হাসপাতলে। করোলা পরবর্তী কিছু জটিলতার জন্য হাস্পাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল রাজনীকান্ত-কন্যাকে।
যদিও তাদের দুই সন্তান থাকবে মায়ের সঙ্গে তবে এই মুহূর্তে তারা রয়েছেন ধনুশের সঙ্গে উটিতে। বিবাহ বিচ্ছেদের কথা আগাম ঘোষণা করে এক যৌথ বিবৃতিতে দম্পতি জানিয়েছিলেন,’বন্ধু হিসেবে, জুটি হিসেবে, বাবা-মা হিসেবে ১৮ বছরের এই পথ চলা। সফরটা ছিল মানুষ হিসেবে বেড়ে ওঠার। আজ আমরা এমন এক সিদ্ধান্তে এসে পৌঁছেছি যেখানে আমরা বুঝতে পারছি এবার আমাদের পথ আলাদা হওয়াটাই ভালো। তাই আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি’। এই বিবাহ-বিচ্ছেদ ঠেকাতে ঐশ্বর্য- পিতা সুপারস্টার রজনীকান্ত যথেষ্ট সচেষ্ট হয়েছেন। এখন শোনা যাচ্ছে যৌথভাবে প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে সম্পর্ককে আবার জোড়া লাগানোর। ভক্তদের অনেকেরই ধারণা তাদের দুই সন্তান মা বাবা কে আবার কাছে এনে দেবে।সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে হয়তো তাঁরা মিটিয়ে নেবে নিজেদের বিবাদ।এখন দেখার ধনুশ-ঐশ্বর্য নিজেদের ভাঙ্গা সম্পর্ককে জোড়া লাগাতে কতটা সচেষ্ট হন।