বিরিয়ানির প্রতি খাদ্য রসিক বাঙালির দুর্বলতা ইদানিং যেন একটু বেশিই লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এই বছরের মতো উৎসব প্রায় শেষের দিকে। বাকি শুধু বড়দিন আর নিউ ইয়ার সেলিব্রেশন। তবে উৎসব ফুরোক আর নাই ফুরোক বিরিয়ানি খেতে কামাই নেই বাঙালির। সময়- সময়ে, আনন্দে- উদযাপনে বিরিয়ানিই তার প্রাণ।
বাঙালির এহেন বিরিয়ানি-প্রীতি দেখে এক সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়র হয়ে গেছেন বিরিয়ানিওয়ালা। কী করে? আরে সেই গল্প তো বলব! পেশায় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়র সুনন্দ বন্দ্যোপাধ্যায় বরাবরই খাদ্যরসিক, বিরিয়ানি ছিল তাঁর অন্যতম ফেভরিট ডিশ। বিরিয়ানির প্রতি ভালবাসার টানেই সুনন্দরা তিন বন্ধু মিলে নিউটাউনে খুলে ফেলেছেন এক পকেট ফ্রেন্ডলি বিরিয়ানি জয়েন্ট।
রেস্তোরাঁর উদ্বোধনে এসেছিলেন রেডিও জকি তথা অভিনেতা মীর, ফুড ব্লগার ইন্দ্রজিৎ লাহিড়ি। মীরের বিরিয়ানি-প্রীতি এতদিনে সবারই জানা, নতুন বিরিয়ানি জয়েন্টে এসে ঠিক খুশি মীর। বিরিয়ানি খেতে বাঙালি কোনও দিন ক্লান্ত হবে না। খাদ্য রসিকরা যে কোনও জায়গায় যে কোনও আয়োজনে কব্জি ডুবিয়ে বিরিয়ানি খেতে প্রস্তুত, এমনটাই মনে করেন মীর।
নিউটাউনের মতো জায়গায় বিরিয়ানি জয়েন্ট। শুধু বিরিয়ানির আউটলেট খুললেই তো হল না, বিক্রির কথাটাও মাথায় রাখতে হয়, সেই হিসেবে নিউটাউনের বিরিয়ানি জয়েন্ট রীতিমতো জনপ্রিয়তা পাবে বলেই মনে করেন ফুড ব্লগার ইন্দ্রজিৎ লাহিড়ি।
প্রথম জীবনে বেশ খানিকটা কষ্ট করেই বড় হয়েছেন নতুন বিরিয়ানি জয়েন্টের প্রতিষ্ঠাতা সুনন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাই তাঁর রেস্তোরাঁর বিরিয়ানি বেশ পকেট ফ্রেন্ডলি। শ’পাঁচেক টাকায় দুজনে পেট ভরে খাওয়া যাবে। বিরিয়ানি ছাড়াও মেনুতে থাকছে হাজারো রকমের কাবাব, মটন কষা, মটন হাণ্ডি সহ আরও নানা রকম জিভে জল আনা খাবার- দাবারের সন্ধান।