কলকাতা: আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ, খুনের ঘটনায় গোটা দেশে। কলকাতা সহ পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি জেলায় জেলায় চলছে প্রতিবাদ, আন্দোলন। সঠিক বিচারের দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন টলিপাড়ার অনেকেই। দফায় দফায় পথে নেমেছেন বিনোদন জগতের তারকারা। আরজি কর কাণ্ডে বিচার চেয়ে রাস্তায় নেমেছিলেন টলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী সোহিনী সরকার (Sohini Sarkar)। প্রতিবাদী মিছিলে পা মিলিয়ে গর্জে উঠেছিলেন তিনি। এবার আবারও তাঁর কণ্ঠে শোনা গেল প্রতিবাদের সুর।
সোমবার কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে আজ গণ কনভেশনের আয়োজন করা হয়েছিল। আর সেই কনভেনশনেই উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা জিতু কমল থেকে শুরু করে অভিনেত্রী সোহিনী সরকার, কিঞ্জল নন্দ ও একাধিক অভিনেতা-অভিনেত্রীরা। গণ কনভেশনের মঞ্চ থেকেই সোহিনী বলছেন, ‘আমি কাঁদতে চাই না কারণ কাঁদলেই কেমন যেন শরীর ছেড়ে দিচ্ছে। আমি এই কান্নাটাকে জমিয়ে রাখতে চাই, চেপে রাখতে চাই যাতে এটা অনেক দূর যেতে পারে। আরজি করের সামনে যখন ১৫ তারিখ রাতে গিয়েছিলাম, হঠাৎ কিছু ছেলেমেয়ের সঙ্গে আলাপ হয়ে যায়। অনেকেই বলছেন, সোহিনীদি নবান্ন চলো, এখানে চলো, ওখানে চলো। একটা মেয়ে ভদ্রেশ্বর থেকে এসেছে। বলল, কী করে বাড়ি ফিরব জানি না, কিন্তু বাড়িতে থাকতে পারছি না। মনে হচ্ছে কিছু একটা করতে হবে। তিলোত্তমার জন্য প্রতিবাদ করছি, আবার মনে হচ্ছে, এই দেশে এই রাজ্যেই থাকতে হবে। কাজ করে খেতে হবে। মনের মধ্যে একটা সংশয়, একটা ভয় কাজ করছে।’ এরপরে এই আন্দোলন নিয়ে লেখা একটি পাঠ করেন তিনি।
সোমবার কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে গণকনভেনশনের মঞ্চ থেকে সোহিনী আরও বলেন, রাজনৈতিক মঞ্চে যাঁরা বক্তৃতা দেন, আমি তাঁদের মত কেউই নই। আমি একেবারেই সাধারণ মানুষ। আমি এমন একজন মানুষ, যে পুলিশ দেখলে ভয় পাই। এখনও সিগনালে পুলিশ দাঁড়িয়ে থাকলে, মনে হয় আমার গাড়ির দিকেই হেঁটে আসছে, হয়তো আমি কিছু একটা ভুল করেছি। আমি সেরকম একজন মানুষ। কিছু বললেই, আমার নামের পাশে রাজনৈতিক ট্যাগ লাগানো হচ্ছে। প্রতিবাদ করলেও ট্রোল হচ্ছি। জানি না কোন দেশে আছি। আমার সবে বিয়ে হয়েছে। আমার স্বামীকে আমি বলেছি, আমি এই দেশে মা হতে পারব না। কোন দেশে মা হব? সন্তানকে নিয়ে এসে এই দেশে রেখে দিয়ে যাব? এই দেশে দুর্নীতি যতক্ষণ আছে আমি আমার সন্তানকে রেখে দিয়ে যেতে পারব না।”
দেখুন বিনোদনের আরও খবর