Placeholder canvas

Placeholder canvas
Homeচতুর্থ স্তম্ভচতুর্থ স্তম্ভ: মুসলমান জনসংখ্যা বাড়ছে, নজর না দিলে,ওরাই হবে সংখ্যাগরিষ্ঠ

চতুর্থ স্তম্ভ: মুসলমান জনসংখ্যা বাড়ছে, নজর না দিলে,ওরাই হবে সংখ্যাগরিষ্ঠ

Follow Us :

ইদানিং একটা গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার বিষয় হল, কংগ্রেস, তৃণমূল, বাম ও অন্য বিজেপি বিরোধী দলগুলো জাতীয় ও রাজ্যস্তরে রাজনীতিতে রাজনৈতিক জোট নিয়ে কোন অবস্থান নেবে? এক এক রাজ্যে এক এক রকম? নাকি গোটা দেশ জুড়ে এক ঐক্যবদ্ধ বিজেপি-আরএসএস বিরোধী জোট? এই আলোচনা চলছে সর্বস্তরে। ইতিমধ্যে আর একটা বিষয় উঠে আসছে, সেদিকেও নজর আছে সবার৷ সেটা হল দেশের মুসলমান জনসংখ্যা, তাদের ভোট, তাদের অবস্থানের পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় দলগুলোর অবস্থান। বিজেপি কিন্তু এই অবস্থান নিতে এক ফোঁটাও সময় নষ্ট করেনি৷ তারা দেশের ৮০% হিন্দুদের ভোট নিয়েই চিন্তিত৷ সেই ভোটকে কিভাবে নিজেদের দিকে আনা যায়, সেই ভোটকে কিভাবে মেরুকরণ করা যায় তা নিয়ে তারা রীতিমতো গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে৷ তাতে তারা খানিক সফলও বটে। সেই জন্য তাকিয়ে দেখুন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় একজনই মাত্র মুসলমান প্রতিনিধি ছিলেন মুখতার আব্বাস নকভি৷ সেও সংখ্যালঘু দফতরের মন্ত্রী হিসেবে৷ এখন নেই। এরপর রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি, রাজ্যপাল, নির্বাচন কমিশন, সৈন্যবাহিনীর শীর্ষপদ সমেত যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের মাথায় একজনও মুসলমান নেই। আরএসএস-বিজেপির তাদের দরকার নেই৷ তাদের ভোটও চাই না৷ তাদেরকে নির্বাচিতও করতে চায় না৷ তাদেরকে প্রশাসনেও চায় না৷ এনআরসি, সিএএ সেই জন্যই৷

মানে বিজেপির এনিয়ে কোনও ঢাক ঢাক গুড় গুড় নেই৷ উচ্চ নেতৃত্বের একটা অংশ মুখ বন্ধ রেখেছেন৷ সেখানেও যোগীজি বা সাধ্বী প্রজ্ঞা গোছের লোকজনেরা আছে৷ কিন্তু গ্রাসরুট লেভেলে তীব্র মুসলিম বিরোধী ঘৃণা প্রচার চালু কেবল নয়, তা সীমাহীন হয়ে উঠেছে। সোশাল মিডিয়ার পেজগুলো খুললেই দেখা যাবে সেই কুৎসিত প্রচারের নমুনা। ফেসবুক, টুইটার জুড়ে যেকোনও ইস্যুতে নন স্টপ হেট ক্যাম্পেইন। গ্রামে শহরে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে কথা বলুন, ওদের কে দেখেছেন? ওদের সংখ্যা ২০৫০-এ আমাদের চেয়ে বেড়ে যাবে জানেন? ওদের নেতারা বাড়িতে অস্ত্র জমাচ্ছে, ওরা আমাদের মেয়েদের বিয়ে করে ধর্মান্তরণ করতে চায়, দেশের ৭০% ক্রিমিনাল হল ওই ওরা৷ ওদেরকে গ্রামে জমি বেচা যাবে না, ওদেরকে শহরে বাড়ি ভাড়া দেওয়া যাবে না৷ পরিষ্কার স্ট্যান্ড৷ ওরা মানে দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানে দেশে ২০% মানুষের মতামতের তোয়াক্কাও করে না আরএসএস-বিজেপি৷ 

এই প্রচারের সঙ্গে তাল রেখেই জনসংখ্যা দিবসে যোগী আদিত্যনাথ ইঙ্গিত দিলেন, জনসংখ্যার বৃদ্ধির ক্ষেত্রে জনগোষ্ঠীর ভারসাম্য থাকছে না৷ এদিকে নজর দিতে হবে৷ খুব পরিষ্কার তিনি কী বলতে চাইছেন। তারপরের দিন থেকেই সোশাল মিডিয়াতে প্রচার শুরু হয়ে গিয়েছে, মুসলমান জনসংখ্যা বাড়ছে৷ এমন হারে বাড়ছে যে কিছুদিনের মধ্যেই তারাই হবে সংখ্যাগরিষ্ঠ৷  বিজেপি জানে মুসলমান মানুষজনের ভোট, সাধারণভাবে উত্তরপ্রদেশে মুলায়মের দিকে, বিহারে লালুর দিকে, বাংলায় বামফ্রন্টের দিকে, অসমে অগপ-র দিকে৷ মানে যেখানে বিজেপি বিরোধী অকংগ্রেসি শক্তি আছে তাদের দিকে৷ যেখানে অকংগ্রেসি শক্তি দুর্বল, সেখানে অগত্যা কংগ্রেসের দিকে। গুজরাতে মুসলমান ভোট কংগ্রেসেই যায়, এখনও। মজার কথা হল, তাদের ভোট যায় কিন্তু হিন্দু নেতাদের দিকেই। 

সারা ভারতে ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগ ছাড়া মুসলমান সম্প্রদায়ের কোনও দল ছিল না৷ এই আইইউএমএল কেরালার মধ্যেই সীমাবদ্ধ৷ বাকি সব জায়গায় মুসলিম ভোট যায় লালু, মুলায়ম, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, জগন রেড্ডি, কে চন্দ্রশেখর রাও-এর দিকে। মোদ্দা কথা যে যেখানে বিজেপিকে আটকাতে পারবে, তাদের কাছে মুঠো ভরা মুসলমান ভোট। আর ঠিক সেটাই মাথায় রেখে বিজেপির প্রচার, মুসলমান বাড়ছে৷ হিন্দু খতরে মে হ্যায়৷ কংগ্রেস দেশ কো খোকলা বনা কে ছোড়া, কংগ্রেসের পারিবারিক শাসন, পাপ্পু আর ইতালিকে হাথ মে দেশ কা শাসন জায়গা, কেয়া? ঘরমে ঘুস কর মারেঙ্গে, সার্জিকাল স্ট্রাইক, দেশপ্রেমের বাণী প্রতিটা জনসভায়৷ যেন বিরোধীরা সব্বাই দেশদ্রোহী৷ জাতের ভোট, আদিবাসী ভোটের ঘুঁটি সাজানো হয়ে গিয়েছে৷ এবার নতুন অস্ত্র চাই। নতুন অস্ত্রে শান দেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। 

অসমে জনসংখ্যা বিল আনা হয়েছে৷ উত্তর প্রদেশে আনার তোড়জোড় শুরু হয়েছে৷ ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশ ল কমিশন এই বিলের এক খসড়াও বানিয়ে ফেলেছে৷ গোদি মিডিয়া এক ধাপ এগিয়ে, সেটাকেই উত্তরপ্রদেশ সরকারের বিল বলে চালানো শুরু করেছে৷ ইউনিয়ন সরকারও নাকি এরকম একটা বিল আনবে, এরকম কথা হাওয়ায় ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ নিজের দলের নেতাই যাকে জোকার মনে করে, সেই দিলীপ ঘোষ দাবি করেছেন, উত্তরপ্রদেশের মতো বাংলাতেও জনসংখ্যা বিল আনা হোক৷ উনি রাজ্য ল’কমিশন আর সরকারের ফারাক বুঝবেন না এটা স্বাভাবিক৷ কিন্তু দাবি করেছেন, বাংলায় জনসংখ্যা বিল চাই৷ 

এটা বিজেপির সামনের নির্বাচনে এক নতুন অস্ত্র হতে চলেছে৷ সেই নয়া হাতিয়ার নিয়ে কয়েকটা কথা, সবথেকে আগে দিলু ঘোষের কথায় আসা যাক। উনি বলেছেন, উত্তরপ্রদেশের মতো আমাদেরও জনসংখ্যার বিল আনা উচিত। মানে ওনার ধারনা, জনসংখ্যার সমস্যা সারা দেশে একরকম, তাই বাংলাতেও ওইরকম একটা বিল আনা উচিত। প্রথমত, উত্তরপ্রদেশ সরকার এখনও কোনও বিল আনেনি৷ খসড়া তৈরি করেছে একটি স্বশাসিত সংস্থা, উত্তরপ্রদেশ ল কমিশন৷ তার মানে আসলে জল মাপা হচ্ছে। তো জনসংখ্যার বৃদ্ধি কী দিয়ে মাপা যায়? ফার্টিলিটি রেট দিয়ে, একজন নারীর সারা জীবনে কটা সন্তান হচ্ছে, তার পরিসংখ্যান দিয়ে। তো উত্তরপ্রদেশের ফার্টিলিটি রেট কত? ৩.১৷ মানে উত্তরপ্রদেশের তিনজন মহিলা প্রায় ৯টি সন্তানের জন্ম দেয়, আর বাংলায়? আমাদের রাজ্যে ফার্টিলিটি রেট ১.৬৷ মানে উত্তরপ্রদেশের অর্ধেকরও কম। এটা দিলীপ ঘোষের জানা নেই, যেমন জানা নেই সারা দেশের গড় ফার্টিলিটি রেট ২.২৷ অর্থাৎ আমাদের বাংলা সারা দেশের চেয়ে অনেক, অনেক ভালো জায়গায় আছে৷ তথ্য বলছে এরাজ্যে ফার্টিলিটি রেট যে ভাবে কমছে তাতে আগামী ১০/১৫ বছরে এই ফার্টিলিটি রেট ১.১ এ পৌঁছে যাবে। এসব না জানা থাকায় দিলীপ ঘোষ কথা বলছেন, যাকে সাধারণ ভাবে ভাট বকা বা বাজে বকা বলা চলে। 

এবার আসুন দেখি, ওই খসড়াতে কী আছে। অসমের বিল, উত্তর প্রদেশের ল কমিশনের খসড়াতে বলা হয়েছে মোদ্দা দুটো কথা। এক, দুটোর বেশি সন্তান হলে সরকারি চাকরি পাওয়া যাবে না। এমন নয় যে যাদের দুটোর বেশি বাচ্ছা আছে, তাদের ওপর এই আইন লাগু হবে৷ আইন হওয়ার এক লেজিটিমেট, যুক্তিযুক্ত সময়ের পরেই তা লাগু হবে এবং তাদেরকে স্থানীয় নির্বাচনে, মানে পঞ্চায়েত, মিউনিসিপালিটি, কর্পোরেশন ইত্যাদি নির্বাচনে অংশ নিতে দেওয়া হবে না৷ তো প্রথমেই একটা কথা ভাবুন, কতজন সরকারি চাকরি পায়? কতজন নির্বাচনে দাঁড়ায়? এই আইনের খেলাপকারিদের কিছু কিছু ভর্তুকিও না দেবার কথা আছে৷ তো তার সংখ্যাই বা কত? আসলে এই আইনের কথা, আইন আনার কথা এক নির্বাচনী অস্ত্র, যার প্রথমভাগ আগেই ছোঁড়া হয়ে গিয়েছে। মুসলমানদের জন্য আমাদের জনসংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে, ওদের জন্যই আসলে দেশের এই অর্থনৈতিক দুরবস্থা, অতএব সেটা আটকাতে জনসংখ্যা বিল আনতে হবে৷ বিজেপি শাসিত রাজ্যে আনা হচ্ছে৷ অবিজেপি শাসিত রাজ্যে আনা হচ্ছে না৷ ওরা মুসলমানদের জনসংখ্যার এই বৃদ্ধির কারণ৷ অতএব সুখি সমৃদ্ধ ভারতবর্ষের বিজেপিকে ভোট দিন৷ নির্বাচন এলে এটাই প্রচার৷

সত্যিটা কী? উত্তরপ্রদেশে মুসলমান জনসংখ্যা ১৩/১৪ %৷ বাকি হিন্দু। ওখানে ফার্টিলিটি রেট ৩.১। আর বাংলায় মুসলমান জনসংখ্যা ৩৩% এর বেশি৷ ফার্টিলিটি রেট ১.৬। ভারতবর্ষে বিহার, মধ্যপ্রদেশ, হরিয়ানা, রাজস্থান, অন্ধ্রপ্রদেশ ইত্যাদি বহু রাজ্যের থেকে কম, এমন কী কেরালার থেকেও কম৷ দেশের সবচেয়ে বেশি ফার্টিলিটি রেট কোথায়? পুরো হিসেবটা পাচ্ছি ২০১৬ সালের৷ উত্তর প্রদেশ ৩.১, বিহার ৩.৩, মধ্যপ্রদেশ ২.৮, ঝাড়খণ্ড ২.৬, গুজরাত ২.২, অসম ২.৩ আর বাংলা ১.৬। অর্থাৎ হিন্দি গোবলয় আমাদের দেশের জনসংখ্যা বিস্ফোরণের জন্য দায়ী৷ সেই সব রাজ্য, যেখানে মুসলমান জনসংখ্যা অপেক্ষাকৃত বেশী, সেই রাজ্যগুলোতে ফার্টিলিটি রেট কম, যেমন পশ্চিমবঙ্গ৷ এমন কি অধুনা বিজেপি শাসিত অসমেও অপেক্ষাকৃত কম৷ 

আমাদের দেশে, জনসংখ্যা নিয়ে এই চিল চিৎকার, আগেও হয়েছে। জরুরি অবস্থার সময় নসবন্দি অভিযান চলেছিল৷ ফলাফল কী? ল্যান্সেটের তথ্য বলছে, ১৯৭৫-৮০ তে ফার্টিলিটি রেট ছিল ৪.৯৭ আর ১৯৮০-৮৫ তে সেই হার কমে দাঁড়ায় ৪.৬৮৷ অর্থাৎ সেরকম কোনও উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন নেই। অথচ ১৯৯৫-২০০০ ফার্টিলিটি রেট ছিল ৩.৪৮, ২০১০- ২০১৫ তে তা কমে দাঁড়াল ২.৪, কেন? এই সময়ের মধ্যে তো কোনও জনসংখ্যার আইন আনা হয়নি৷ তাহলে? আসলে খেয়াল করুন, এই সময়ের মধ্যে দেশের অর্থনীতি অনেকটা ভালো হয়েছিল৷ জিডিপি বেড়েছিল, গড় আয় বেড়েছিল, মানুষের হাতে কিছু টাকা এসেছিল, বাচ্চাদের স্কুলে পাঠানোর জন্য মিড ডে মিল দেওয়ার ফলে বাচ্চারা স্কুলে যাচ্ছিল, ১০০ দিনের কাজের টাকা পাচ্ছিল গরিব মানুষেরা৷ অর্থনীতির উন্নয়ন জনসংখ্যা হ্রাসের প্রথম শর্ত৷ মানুষের জীবনযাত্রার মানের উন্নতি হলেই তারা সন্তানকে আরও বেশি সুযোগ দিতে চায়, স্কুলে পাঠাতে চায়, ভালো করে মানুষ করতে চায়৷ তারা নিজেরাই চায় কম সন্তান হোক, উন্নত দেশের জনসংখ্যা কম বা কমেছে এই কারণেই৷ এতটাই কমেছে যে তাদের সরকার এখন বলছে, ৩টে সন্তান হলে কিছু বেশি সুযোগ সুবিধে দেওয়া হবে৷ চীনেও একই অবস্থা৷ তাদের জন বিস্ফোরণ থামাতে তাদের সরকার বলেছিল একটার বেশি সন্তান নয় এবং অনিচ্ছা সত্ত্বেও চীনের মানুষজন সন্তানের সংখ্যা কমিয়ে ছিল৷ কিছুদিন আগে চীনের সরকার বলেছিল ২ টো সন্তান হতেই পারে৷ এখন বলছে ৩টে সন্তান হোক৷ কিন্তু মানুষ রাজি নয়৷ 

আসলে ফার্টিলিটি রেট কমে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির কারণে৷ সারা দেশে আয় কমবে, বেকারত্ব বাড়বে, জীবনযাপনের মান কমবে আর জনসংখ্যা আইন করে সামলানো যাবে এমন তত্ত্ব হাস্যকর এবং মিথ্যে৷ কিন্তু আরএসএস-বিজেপি, দিলীপ ঘোষ থেকে নরেন্দ্র মোদি ঠিক এটাকেই অস্ত্র করতে চান৷ ইশারা অন্য দিকে৷ মুসলমানদের জনসংখ্যা বাড়ছে৷  উত্তরপ্রদেশের ফার্টিলিটি রেট আর পাকিস্তানের ফার্টিলিটি রেট প্রায় এক, কেন? আগেই বলেছি। সারা পৃথিবীতে গরিব, পিছিয়ে পড়া দেশের ফার্টিলিটি রেট বেশি৷ জনসংখ্যা বিস্ফোরণ সেখানে বেশি, কেন? আগেই বলেছি। আমাদের দেশে হিন্দু এবং মুসলমানদের ফার্টিলিটি রেট বেশি, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, জৈনদের অনেক কম। হিন্দুদের ফার্টিলিটির হার কমছে, কিন্তু তারচেয়ে অনেক দ্রুত কমছে মুসলমান জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার৷ এটা দিলীপ ঘোষ, মোদি- শাহরা জানেন, কিন্তু চেপে যাচ্ছেন। তাঁদের, মানে সরকারের তথ্য বলছে, সাধারণভাবে দক্ষিণের রাজ্যগুলোতে, মুসলমান জনসংখ্যার ফার্টিলিটি রেট, উত্তর ভারতের হিন্দু জনসংখ্যার ফার্টীলিটি রেটের চেয়ে অনেক কম। ২০০০ সাল থেকে, মুসলমান জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার কমছে ৫%, তুলনায় হিন্দু জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার কমছে ১.৫%। এই বাংলায় ফার্টিলিটি রেট দুই জনসমুদায়েরই প্রায় সমান৷ 

আমাদের প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচনী অফিসার, এসওয়াই কুরেসি, এই নিয়ে দীর্ঘ গবেষণা করেছেন৷ সেই তথ্য অনুযায়ী, যদি একই অবস্থা চলতে থাকে তাহলেও, ২১০১ সালে দেশের জনসংখ্যা দাঁড়াবে ১৭০ কোটিতে৷ যার মধ্যে হিন্দু জনসংখ্যা হবে ১২৭ কোটি, মুসলমান জনসংখ্যা হবে ৩২ কোটি৷ সেই বছরে তাঁর হিসেব অনুযায়ী ফার্টিলিটি রেট দাঁড়াবে ২.১ এ৷  হ্যাঁ দুই ধর্মের মানুষজনের। আসলে তার বহু আগেই কমবে চাবিকাঠি ওই অর্থনৈতিক অগ্রগতির মধ্যে লুকিয়ে আছে। সেই মূল সমস্যা না সামলাতে পেরে, সেই মূল সমস্যা থেকে মানুষের চোখ ঘোরানোর জন্য, তারা জনসংখ্যা বিলের কথা বলছেন।

তবে একটা উল্লেখযোগ্য বিষয় আছে, তা হল দেশের জনসংখ্যার ওপর নির্ভর করে সাংসদ, বিধায়ক ইত্যাদির সংখ্যা, এইভাবে গোবলয়ের জনসংখ্যা বাড়লে, অবিবেচক রাজ্য এবং রাজ্য সরকারের কাছে থাকবে বেশি সংখ্যক এমএলএ, এমপি, সেটা একটা সমস্যা বটে৷ তাহলে কী দাঁড়াল? আরএসএস–বিজেপি, নরেন্দ্র মোদি–অমিত শাহ, যোগী আদিত্যনাথ, দিলীপ ঘোষ আসলে মানুষকে ভুল বোঝাতে চায়৷ এক চরম অন্যায়, মিথ্যে অস্ত্র নিয়ে মানুষের ভোট পেতে চায়৷ একথা আজ প্রত্যেককে বুঝতে হবে, বোঝাতে হবে।

RELATED ARTICLES

Most Popular

Video thumbnail
বাংলার ৪২ | ঘাটালে কোন দল এগিয়ে?
05:59
Video thumbnail
আজকে (Aajke) | অমিত শাহের ভোট প্রচার মানে মিথ্যের ফুলঝুরি
10:46
Video thumbnail
Fourth Pillar | মোদিজির পায়ের তলায় ধস নামছে, উন্নয়ন নয়, এবার হিন্দু-মুসলমান খেলায় নেমে পড়েছেন
15:25
Video thumbnail
বাংলা বলছে | চাকরি বাতিল, হাই কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সরকার ও SSC
53:28
Video thumbnail
Politics | পলিটিক্স (24 April, 2024)
15:13
Video thumbnail
Abhishek Banerjee | বিজেপি দলটাকে উঠিয়ে দেব: অভিষেক
10:43
Video thumbnail
নারদ নারদ | তৃণমূলপ্রার্থীর প্রচারে গিয়ে বিরোধী সুকান্তর প্রশংসা! দেবের মন্তব্যে শোরগোল রাজনীতিতে
15:36
Video thumbnail
Stadium Bulletin | Sachin Tendulkar | কালের মন্দিরা 'শচীন'
26:44
Video thumbnail
Sera 10 | ভোটের আগে ভাটপাড়ায় মিষ্টির ড্রামে ৪৭টি তাজা বোমা উদ্ধার
15:20
Video thumbnail
District Top News | দেখে নিন আজকের জেলার গুরুত্বপূর্ণ খবরগুলি
13:56