Placeholder canvas

Placeholder canvas
Homeচতুর্থ স্তম্ভFourth Pillar: আ গুজরাত, আমে বনাউ ছে, এই গুজরাত আমিই বানিয়েছি 

Fourth Pillar: আ গুজরাত, আমে বনাউ ছে, এই গুজরাত আমিই বানিয়েছি 

Follow Us :

উন্নয়ন? পরে হবে। সংসদের অধিবেশন, আলোচনা? চুলোয় যাক। উত্তর পূর্বাঞ্চলের সীমান্তে কেবল চীন রাস্তা, বাড়ি, ব্রিজ বানাচ্ছে তা-ই নয়, উত্তর পূর্বাঞ্চল থেকে বিচ্ছিন্নতাবাদের নতুন নতুন তথ্য আসছে। সেগুলো নিয়ে আলোচনা? এখন সময় নেই। কেন সময় নেই? কারণ মোদিজি এবং তাঁর মন্ত্রিসভা আপাতত গুজরাত নিয়ে ব্যস্ত, হাজার বাগাড়ম্বরের পর গুজরাতে যেন মুখ না পোড়ে তার জন্য মোদি-অমিত শাহ তো বটেই, মোদি মন্ত্রিসভার মন্ত্রীসান্ত্রীদের যাওয়া আসা শুরু হয়ে গেছে। লক্ষ কোটি টাকা জমা হয়েছে সেই ভোট প্রচারের জন্য। আপাতত প্রথম কাজ গুজরাত নির্বাচন। বিদ্রোহ বিভিন্ন আসনে, রুপানি আর নীতিন প্যাটেলের অনুগামীরা তলায় তলায় কী করছে, তা বোঝার উপায় নেই। অতএব মোদি শুরুতেই জানিয়ে দিয়েছেন, আমাকে ভোট দিন, ১৮২টা আসনেই আমিই প্রার্থী, বাংলায় এসে শুনেছিলেন প্রথম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিক এই কথাই বলেছিলেন, তিনি গুড লার্নার, ঝেপে দিয়েছেন, কেবল ভুলেই গেছেন যে তিনি মুখ্যমন্ত্রী নন, তিনি প্রধানমন্ত্রী। এইসব বলার মাঝে তিনি একটা  গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন, তাই নিয়েই আজকের আলোচনা। তিনি বলেছেন, আ গুজরাত, আমে বনাউ ছে, এই গুজরাত আমিই বানিয়েছি। যখন তখন মিথ্যে কথা বলেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী, কেবল মিথ্যেই নয় আত্মম্ভরিতা কাকে বলে ওঁর কাছ থেকেই শিখতে হবে। আমি ৫৬ ইঞ্চির সিনা নিয়ে জন্মেছি, আমি তো ফকির, ঝোলা লেকে নিকল পড়েঙ্গে, না খাউঙ্গা, না খানে দুঙ্গা, এসব আমরা মোদিজির মুখে শুনেছি। তিনিই বলেছেন তিনি কত মেরিটোরিয়াস, কীভাবে জি মেল আসার আগেই ছবি অ্যাটাচ করে ই-মেল পাঠিয়েছিলেন। নিজের মুখেই জানিয়েছেন তাঁর বীরত্বের কথা, পুকুর থেকে কুমির ধরার কথা। এসব আমরা জানি। এবার তিনি জানালেন, আ গুজরাত, আমে বনাউ ছে, এই গুজরাত আমিই বানিয়েছি। আজকের গুজরাতের এই শিল্প, ইনফ্রাস্ট্রাকচার, এই নতুন গুজরাত, সব উনিই বানিয়েছেন। আসুন এই মিথ্যের পেছনের সত্যিটাকে দেখে নিই। গান্ধিজি স্বয়ং নিজেকে বেনিয়া বলেছিলেন, ট্রেডার। কেন? ঐতিহাসিক সত্যটা হল আমাদের দেশে উড়োজাহাজ বা জাহাজ আবিষ্কারেরও আগে, মানে ডাচ ওলন্দাজদেরও আগে, ব্রিটিশদের বহু আগে বাণিজ্য হত পশ্চিম থেকে। শক, হুন, পাঠান, মোঘল, এমনকী ইউরোপীয়রাও এসেছে ওই পশ্চিম দিক থেকেই, ঘোড়ায় চেপে, উটে চেপে। পারস্য মানে ইরান থেকে পশরা এসেছে, ইরাক থেকে এসেছে। তারও আগে মেসোপটেমিয়া সভ্যতার সঙ্গে মহেঞ্জোদারো সভ্যতার যোগাযোগ ওই পশ্চিমের স্থলভূমির, যার দোরগোড়ায় গুজরাত, যে দেশ তখনও নর্মদার জল ধরে রাখতে পারেনি, চাষবাস হয় না, নানান ভবঘুরে উপজাতি বিভিন্ন প্রান্তে, এমনকী আফ্রিকান নিগ্রয়েডদেরও বাস ছিল, এখনও আছে। চাষ নেই, তেমনভাবে পশুপালন নেই, কিন্তু পণ্য আসছে, এলাকার মানুষজন সেই বিকিকিনিতে হিসসা নিচ্ছে, লাভ কামাচ্ছে, ঐতিহাসিকভাবেই বেনিয়া হয়ে উঠছে, উনবিংশ শতাব্দীতে গান্ধীজি সেই ঐতিহাসিক সত্যটা উচ্চারণ করেছিলেন মাত্র। ইংরেজদের প্রথম উপনিবেশ হওয়ার ফলে বাংলায় নবজাগরণ এসেছিল, জ্ঞানচর্চায় এক জোয়ার এসেছিল, ঐতিহাসিকভাবেই বাংলায় সাহিত্য, সঙ্গীত, শিল্পচর্চা শুরু হয়েছিল, এখনও সেই ধারা বজায় আছে, এর জন্য বিধান রায়, জ্যোতি বসু বা মমতা বন্দ্যোপাধায় বিরাট ভূমিকা নিয়েছেন এমন তো নয়। ঠিক সেইরকম ভাবে এখনও গুজরাট ট্রেডিংয়ে এক বিরাট উচ্চতায়, তার কৃতিত্ব ইতিহাসের, ভূগোলের, নরেন্দ্রভাই দামোদরদাস মোদির নয়। এবার আসুন স্বাধীনতার পরে গুজরাতের বিকাশের ইতিহাসে। দুটো বড় উল্লেখযোগ্য ঘটনা, প্রথমটা হল জওহরলাল নেহরু নর্মদা প্রকল্পের শিলান্যাস করলেন, সে নদী প্রকল্প নিয়ে বহুতের আপত্তি আছে, বহু মানুষ তাদের ঘর হারিয়েছে, বহু মানুষকে চলে যেতে হয়েছে অন্যত্র, সেই বিস্থাপনের বিরোধিতাও অনেকেই করেছেন। কিন্তু এটাও ঠিক যে ওই নর্মদা প্রকল্পের ফলে গুজরাতের বিরাট জমি কৃষিযোগ্য হয়ে উঠেছে, জওহরলাল নেহরু এই প্রকল্পের উদ্বোধন করেছিলেন, হ্যাঁ মোদিজির সময়ে সেই প্রকল্প পুরোপুরি চালু হয়েছে। এমনটা নয় যে উনি এলেন আর সর্দার সরোবর ড্যাম চালু হয়ে গেল। তাহলে তার জন্য এই বাওয়ালির কি দরকার আছে? আ গুজরাত, আমে বনাউ ছে, এই গুজরাতো আমিই বানিয়েছি বলার কোনও যৌক্তিকতা আছে? এরপরের গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হল যৌথখামারের স্বপ্ন বেচনেওয়ালা সিপিআই, সিপিএমকে চমকে দিয়ে গুজরাতে ভার্গিজ ক্যুরিয়েন শুরু করলেন হোয়াইট রেভেলিউশন, সঙ্গে গান্ধী-প্যাটেলের শিষ্য ত্রিভুবনদাস প্যাটেল, যিনি প্রথম দুগ্ধ সমবায় গড়ে তুলেছিলেন আনন্দতে ১৯৪৬ সালে। ভার্গিজ ক্যুরিয়েন ১৯৬০-৬১ সালে হাল ধরেন। ৬৪তে লাল বাহাদুর শাস্ত্রী উদ্বোধন করেন তাঁদের পশুখাদ্য কারখানার।  মিল্ক কো অপারেটিভ গুজরাতের গ্রামের চেহারা পালটে দিল, যে সময়ে দেশের দুধ উৎপাদন কমছে, সেই সময়ে গুজরাতে দুধের উৎপাদন কেবল বাড়ল না, সারা দেশে আমুল পৌঁছে গেল বহু প্রডাক্ট নিয়ে— ঘি, মাখন, প্যাস্তুরাইজড মিল্ক, কনডেন্সড মিল্ক আরও কত কিছু। মোদিজি তখন কোথায়? গ্রামে ক্রয়ক্ষমতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নতুন চাহিদা জন্ম নিল, কংগ্রেসের চিমন ভাই প্যাটেল। যাঁকে অনেকেই চোর প্যাটেল বলতেন, তাঁর সময়েই কিন্তু শিল্পায়ন শুরু হল, এই চিমন ভাই প্যাটেল আদানিদের হাতে তুলে দিলেন মুন্দ্রা পোর্ট, এর মধ্যে কংগ্রেস নেতাদের হাত ধরে ধীরুভাই আম্বানি আম্বানি সাম্রাজ্যের জন্ম দিচ্ছেন, বিড়লা টাটা ডালমিয়া গোয়েঙ্কাদের মতো স্বাধীনতার আগে জন্ম নেওয়া শিল্পগোষ্ঠীর সঙ্গে বেড়ে উঠতে থাকল আম্বানি, আদানি। তখনও মাঠে নেই নরেন্দ্রভাই দামোদরদাস মোদি। এরপরে গুজরাতের শিল্পায়ন পর্ব। মুখ্যমন্ত্রী মাধব সিং সোলাঙ্কি। তাঁর নেতৃত্বে বিধানসভার রেকর্ড জয় মোদিজিরও নেই। ১৮২ আসনের মধ্যে ১৪৯টা আসন কংগ্রেসের। প্রাকৃতিক গ্যাস রিফাইনারি থেকে আরও অনেক শিল্প গড়ে উঠল। গুজরাত তখন দেশে অর্থনৈতিকভাবে তিন নম্বরে, মোদিজি কোথায় তখন? এরপরে বিজেপির প্রথম মুখ্যমন্ত্রী কেশুভাই প্যাটেল, মোদিজি তখনও গুজরাতের দ্বিতীয় স্তরের নেতা, কেশুভাই প্যাটেলের সময়েও শিল্প এসেছে, ফ্যাক্টরি তৈরি হয়েছে। এরপর ৭ অক্টোবর ২০০১ গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বসানো হল মোদিজিকে, হ্যাঁ বসানো হল, পেছনে গুরু আদবানীর হাত, যে লালকৃষ্ণ আদবানীকে পরে এই সিদ্ধান্তের জন্য আফসোস করতে হয়েছে। এই ২০০২ থেকে গুজরাতের রাজনীতি এক অন্যখাতে বইতে শুরু করে, হিন্দুত্বের রাজনীতির, জঙ্গি জাতীয়তাবাদের রাজনীতির ল্যাবরেটরি ছিল এই গুজরাত। এটা মোদিজির ক্রেডিট। কেবল বিরোধী নয়, দলের মধ্যেও বিরোধীশূন্য করে এক নয়া গুজরাত গড়ে তুললেন মোদিজি। অটলবিহারী মন্ত্রিসভার মন্ত্রী, আমেদাবাদের সাংসদ হারীন পাঠক বলেছিলেন, মোদি ইজ গুজরাত, গুজরাত ইজ মোদি। খানিকটা দেবকান্ত বড়ুয়ার মতো, যিনি বলেছিলেন ইন্দিরা ইজ ইন্ডিয়া, ইন্ডিয়া ইজ ইন্দিরা। মজার কথা হল এই হারীন পাঠককেই ২০১৪তে তাঁর আসন থেকে টিকিট না দিয়ে তাঁর জায়গায় আনা হল অভিনেতা পরেশ রাওয়ালকে। হারীন পাঠক আজ বিস্মৃতির অতলে। মানে ২০০১ অক্টোবর থেকে ২০১৪ পর্যন্ত গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নরেন্দ্রভাই দামোদরদাস মোদি। তিনি বলছেন, আ গুজরাত, আমে বনাউ ছে, এই গুজরাত আমিই বানিয়েছি। তাঁর আমলে শতাব্দীর জঘন্যতম দাঙ্গা এই গুজরাতে হয়েছে, আজও সেই ঘা শুকোয়নি। ছেড়ে দিন সেসবের কথা। যে গুজরাত তিনি বানিয়েছেন, আসুন তার প্রকৃত চিত্রটা দেখে নেওয়া যাক। কৃষিক্ষেত্রের অবস্থা কী? ২০০৯-২০১০ পর্যন্ত কৃষিক্ষেত্রের অগ্রগতি বা বৃদ্ধি ছিল বটে, কিন্তু তারপর থেকে চাষযোগ্য জমি পড়ে থাকছে জল আর বিদ্যুতের অভাবে, ২০১৯ পর্যন্ত ১২-১৩ শতাংশ চাষ কমেছে, কৃষকদের মিনিমাম সাপোর্ট প্রাইস নেই, গুজরাতে কার্পাস আর বাদামের চাষ হু হু করে বেড়েছিল, দুটো ক্ষেত্রেই কনট্রাক্ট ফার্মিং চালু হওয়ার ফলে কৃষকরা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। শিল্পে বিরাট ভরতুকি চালু করেছিলেন মোদিজি, যার অনেকটাই বজায় আছে, কিন্তু এর সুফল জমিনে কোথায়? ৯৩-৯৪ শতাংশ শ্রমিক এখনও ইনফর্মাল সেক্টরেই কাজ করছেন, তাঁদের কাজের যন্ত্রপাতি বা ব্যবস্থাও এখনও প্রাচীন, সেখানে আধুনিকীকরণ এখনও হয়নি। ৪০-৪৫ শতাংশ মানুষ এখনও কৃষি, পশুপালন, মাছচাষ, দুধ ইত্যাদির ওপর নির্ভরশীল, তাহলে ওই বিরাট সাবসিডি দিয়ে শিল্পপতিদের ডেকে এনে হলটা কী? সরকারি হিসেব বলছে রাজ্যের ৪০ শতাংশ মানুষ মাল্টিডাইমেনশনাল পভার্টি লাইনের নীচে, যা দেশের অন্যান্য বহু রাজ্যের থেকে অনেক নীচে। আর সেই সত্যটা সামনে বাইরে এল প্যান্ডেমিকের সময়ে, দুনিয়া সেদিন দেখেছিল গুজরাতের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। হাসপাতালে ডাক্তার নেই, ওষুধ, নেই অক্সিজেন নেই, এটা তো ছিল গোটা দেশেরই ছবি, গুজরাতের ছবি হল প্রশাসনও ভ্যানিশ হয়ে গিয়েছিল ওই দিনগুলোতে, লকডাউন কন্ট্রোল করার মানুষও ছিল না, স্বেচ্ছাসেবীরা হাল ধরেছিলেন। এমনি এমনি মুখ্যমন্ত্রী বদল হয়নি, বিজয় রুপানিকে মুখ্যমন্ত্রী রাখলে ওই সময়ে সরকারের অপদার্থতা সামনে আসবে ভেবেই ভূপেন্দ্র প্যাটেলকে সামনে আনা হল। হিউম্যান ইনডেক্স-এ গুজরাত কোথায়? প্রাথমিক শিক্ষায়, শিশুমৃত্যুর হারে গুজরাতো বাংলার থেকেও পিছিয়ে, কিন্তু জনসভায় দাঁড়িয়ে দেশের প্রধানমন্ত্রী গর্ব করে বলছেন, আ গুজরাত, আমে বনাউ ছে, এই গুজরাত আমিই বানিয়েছি। আপনি যাকে গুজরাত মডেল বলে দেখাতে চাইছেন তা এক অমানবিক জমি দখলের মডেল, সরকারি সম্পত্তি বেচে দেওয়ার মডেল, দু’ তিন জন শিল্পপতিকে নির্লজ্জভাবে তৈলমর্দন করার মডেল। এবং এই নির্লজ্জ মিথ্যে কথা বলতে হচ্ছে কারণ নৌকা টলোমলো, নৌকো ডুবতেই পারে, আর কে না জানে ডুবতে হুয়ে কো তিনকে কা সহারা চাহিয়ে। ডুবন্ত মানুষ খড়কুটোও ধরে বাঁচার চেষ্টা করে, মোদিজি মিথ্যে কথা বলে নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার চেষ্টা করছেন।

RELATED ARTICLES

Most Popular

Video thumbnail
TMC | ‘অভিজিৎকে দেখার পর কে বিচারপতি আর কে নেতা, তা নিয়ে দেশবাসী বিভ্রান্ত’, মন্তব্য ব্রাত্যের
06:14
Video thumbnail
Bikash Ranjan Bhattacharya | SSC মামলার রায় নিয়ে আদালতে বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য
04:36
Video thumbnail
Loksabha Election | জুনকে পাশে নিয়ে নাম না করে দিলীপকে কটাক্ষ, দাঁতন থেকে এবার মেদিনীপুর চান মমতা
28:09
Video thumbnail
Lok Sabha Election | বিধায়কের শিক্ষা নিয়ে কটাক্ষ তৃণমূলের
02:19
Video thumbnail
Murshidabad | বড়ঞা বোমা বিস্ফোরণে রিপোর্ট তলব কমিশনের
02:13
Video thumbnail
SSC Chairman | 'আমরা ধরে নিতে পারি, বাকি ১৯ হাজার যোগ্য', কলকাতা টিভিকে বললেন এসএসসি চেয়ারম্যান
09:14
Video thumbnail
ধমযুদ্ধের দামামা | আরও ৫৯ হাজার চাকরি যাবে: অমরনাথ শাখার
17:00
Video thumbnail
SSC Recruitment | মুখ্যমন্ত্রীর আদালত অবমাননাকর মন্তব্যে পদক্ষেপের আর্জি নিয়ে হাইকোর্টে বিকাশরঞ্জন
01:59
Video thumbnail
আমার শহর (Amar Sahar) | সচেতনতার প্রচারে কমিশনের নয়া উদ্যোগ, পরিবেশ বান্ধব পোস্টের!
02:14
Video thumbnail
Top News | নিয়োগ বাতিলের মধ্যেই ১৫ বছর পর ৮৬৭ জনের চাকরির নির্দেশ হাইকোর্টের
39:01