কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: বিশ্বে মাঙ্কিপক্সের প্রার্দুভাব ক্রমশ বাড়ছে৷ এখনও পর্যন্ত ৫০টির কাছাকাছি দেশে ছড়িয়েছে মাঙ্কিপক্স৷ যদিও বিশেষজ্ঞদের মতে, বাস্তবে করোনা মহামারীর জেরে সাধারণ মানুষ যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেই তুলনায় মাঙ্কিপক্সের প্রাদুর্ভাব নগণ্য৷ তাই এখনই আতঙ্কিত হয়ে পড়ার মতো কিছু হয়নি৷ মাঙ্কিপক্সের প্রাদুর্ভাব চিন্তায় ফেলেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে৷ সংস্থার ডিরেক্টর জেনারেল টেড্রস আধানম ঘেব্রেইসাস শনিবার বলেন, ‘মাঙ্কিপক্সের প্রাদুর্ভাব নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন৷ জনস্বাস্থ্যে বিপজ্জনক হয়ে ওঠার লক্ষণ মাঙ্কিপক্সে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে৷ পরিস্থিতির উপর আমি এবং আমার সহকর্মীরা নজর রাখছি৷’
মাঙ্কিপক্স নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কমিটির মধ্যে ভিন্ন মত উঠে এসেছে৷ যা মেনে নিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা৷ যদিও তারা এই ব্যাপারে একমত যে, ৪৮টি দেশে ছড়িয়ে পড়লেও মাঙ্কিপক্স এখনও জরুরি অবস্থা ঘোষণার পর্যায়ে পৌঁছয়নি৷ বর্তমানে করোনা ভাইরাসকে ‘গ্লোবাল এমার্জেন্সি’ তকমা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা৷ মাঙ্কিপক্স কোনও নতুন রোগ নয়৷ গত কয়েক দশক ধরে পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকার বাসিন্দারা মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হচ্ছেন৷ এই বছরেই সেন্ট্রাল আফ্রিকাতে ১৫০০ জন আক্রান্ত হয়েছেন৷ মারা গিয়েছেন ৭০ জন৷ অধিকাংশ মৃত্যু ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অফ কঙ্গোতে হয়েছে৷ কিন্তু ছোঁয়াচে এই রোগ বর্তমানে বিশ্বের ধনী দেশগুলিতে ছড়াচ্ছে৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্বেগের কারণ এই জায়গাতে৷ সর্বশেষ পাওয়া পরিসংখ্যা অনুযায়ী, মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৩২০০ জন৷ গত ছ’সপ্তাহে প্রথম একজন মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন৷
মাঙ্কিপক্সের চিকিৎসায় টিকা রয়েছে৷ কিন্তু সেগুলির সরবরাহ কম৷ এর লক্ষণগুলি সাধারণত জ্বর, মাথাব্যথা, পেশিতে ব্যথা, পিঠে ব্যথা, ঠান্ডা লাগা এবং ক্লান্তি থেকে শুরু হয়। এই রোগে আক্রান্ত হলে সাধারণত দুই থেকে চার সপ্তাহ স্থায়ী হয় এবং সংক্রমণের পাঁচ থেকে ২১ দিনের মধ্যে যে কোনও জায়গায় উপসর্গ দেখা দিতে পারে। একবার মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়ে জ্বর হলে, প্রথমে বসন্ত রোগের মতোই একটি দুটি করে গুটি দেখা যায় শরীরে। এক থেকে তিন দিন পর তা সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মুখ থেকে শুরু হয়ে শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: US gun control law: ঐতিহাসিক অস্ত্র আইনে সই বাইডেনের, স্বাধীনতা দিবসের আগেই বিপ্লব আমেরিকায়