হিজাব-বিরোধী প্রতিবাদ আন্দোলনে (Anti-Hijab Protest) গোটা ইরান (Iran) জ্বলছে। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সরকারি দমনপীড়ন। বিক্ষোভের আঁচে জেরবার প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি (Ebrahim Raisi) এবার চরম হুঁশিয়ারি দিলেন আন্দোলনকারীদের। হুমকির সুরে তিনি জানিয়ে দিলেন, এবার আর সহ্য করা হবে না। প্রতিবাদ আর দাঙ্গা এক নয়। ইরান জুড়ে আন্দোলনের নামে যা চলছে, তা নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী।
রাইসি আরও বলেন, মাহসা আমিনির (Mahsa Amini) মৃত্যু গোটা দেশের পক্ষে দুঃখজনক। ফরেনসিক ও বিচারবিভাগীয় তদন্তকারীরা শীঘ্রই চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দেবেন। কিন্তু, আন্দোলনের নামে দেশে অরাজকতা তৈরির চেষ্টা হলে সরকার আর বরদাস্ত করবে না।
আরও পড়ুন: PFI Ban: অধ্যাপক থেকে তথ্যপ্রযুক্তিবিদ, সরকারি কর্মী থেকে গবেষক, কারা পিএফআইয়ের মাথা?
এক টিভি সাক্ষাৎকারে রাইসি বলেন, যারা দাঙ্গা বাধাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধ সরকার ব্যবস্থা নেবে। ইসলামিক রিপাবলিক অফ ইরানের কাছে দেশের জনসাধারণের নিরাপত্তা অন্তিম রেখা। সেটাকে ভঙ্গ করলে শাস্তি পেতেই হবে। আইন ভেঙে কেউ রক্ষা পাবে না। এই আন্দোলনের পিছনে আমেরিকার (USA) হাত রয়েছে বলে উল্লেখ করে রাইসি বলেন, শত্রুরা চাইছে ইরানের শান্তি নষ্ট করতে। দেশের একতা, সংহতিকে ধ্বংস করতে। ইরানি জনতাকে একে অপরের বিরুদ্ধে লড়িয়ে দিতে চায় তারা বলে মন্তব্য করেন অতি কট্টর প্রেসিডেন্ট রাইসি।
প্রসঙ্গত, গত ১৬ সেপ্টেম্বর হিজাব না পরায় ২২ বছরের কুর্দিশ তরুণী আমিনিকে ইরানের নীতি-পুলিশ গ্রেফতার করে। তারপর পুলিশ হেফাজতেই তাঁর মৃত্যু হয়। সেই থেকে ইরানের যুবসমাজ, এমনকী মহিলারাও রাস্তায় নেমে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। নারী, জীবন ও স্বাধীনতার অধিকার আদায়ে ১২ দিন ধরে রক্তক্ষয়ী লড়াই চলছে।